প্রেমিকের বাবার সঙ্গে পালাল তরুণী, অতপর…
সম্পর্ক ছিল অনেকদিনের। প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল বিয়েরও। কিন্তু আচমকাই লাপাত্তা পাত্রী। না, প্রেমিক নয় বরং তার বাবাকেই যে মনে ধরেছিল তার। তাই প্রেমিকের বাবার সঙ্গেই ঘর ছাড়েন তরুণী।
সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরে।
সেখানেই এক তরুণী তার প্রেমিকের বাবার সঙ্গে পালিয়ে যান। ২০২২ সালের মার্চে ঘর ছাড়ার পর এক বছরের বেশি ধরে ওই তরুণী তার ৫০ ছুঁইছুঁই মনের মানুষের সঙ্গে নিখোঁজ ছিলেন। সম্প্রতি তাদের একসঙ্গে খুঁজে পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর কানপুরের বাসিন্দা কমলেশ তার ছেলে অমিতের প্রেমিকার সঙ্গে আচমকাই পালিয়ে যান। ঘটনাটিতে তরুণীর পরিবার কানপুরের চাকেরি থানায় কমলেশের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করে। কিন্তু দীর্ঘ এক বছর ধরে অনেক খোঁজার পরও তাদের কোনো খোঁজ মেলেনি। সম্প্রতি দিল্লি থেকে যুগলকে হাতেনাতে পাকড়াও করে পুলিশ।
ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল?
অমিত ও তার প্রেমিকা ছিলেন সমবয়সী। দুজনের মধ্যে তেমন কোনো সমস্যাও ছিল না। ওই তরুণীর প্রেমিক অমিতের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। আর এভাবেই কমলেশের সঙ্গে আলাপ হয় তার। ধীরে ধীরে প্রেমিককে লুকিয়ে তার বাবার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। দুজনে ঘর ছাড়ারও পরিকল্পনা করেন। আর সেইমতোই গত বছর সবার চোখকে ধুলো দিয়ে তরুণী তার প্রেমিকের বাবার সঙ্গে পালিয়ে যান। গত এক বছর ধরে তারা একসঙ্গে ভাড়াবাড়িতে ছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
কথায় বলে, ভালোবাসা বয়স, জাত, ধর্ম কোনো বাধাই মানে না। যেমনটা নাকি হয়েছে কমলেশ এবং তার ছেলের প্রেমিকার সম্পর্কেও। এমনটাই দাবি করেছেন তারা।
পুলিশকে কমলেশ এবং তার ছেলের বয়সী প্রেমিকা জানিয়েছেন, তারা পরস্পরকে ভালবাসেন এবং একসঙ্গে থাকতে চান। প্রেমিকের বাড়িতে যাতায়াতের সময়ে তার বাবার সঙ্গে সময় কাটানোর আগ্রহ বেড়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে তরুণী। যদিও আপাতত অপহরণের অভিযোগে হাজতবাসে কমলেশ।
এদিকে ঘটনাটি নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই এ নিয়ে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ যেমন বেশ মজার ছলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, আবার অনেকেই প্রেমিকের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য ওই তরুণীর সমালোচনাও করেছেন।
সূত্র: এই সময়
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)