বেনাপোলে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলায় যুবকের মৃ*ত্যু


এম ওসমান, বেনাপোল (যশোর): যশোরের বেনাপোলের পল্লীতে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় সুমন হোসেন (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহত সুমন বেনাপোল পোর্ট থানার খড়িডাঙ্গা গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে।
শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যায় তাকে প্রতিপক্ষরা বেনাপোলের খড়িডাঙ্গা গ্রামে জনৈক আনিছুরের দোকানের সামনে নির্মম ভাবে পিটিয়ে আহতবস্থায় ফেলে রেখে গেলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
শনিবার (১০ মে) সকাল ১১টার সময় সে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিস্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
স্থানীয়রা জানায়, বেনাপোলের খড়িডাঙ্গা গ্রামের মৃত মইরদ্দিনের ছেলে মশিয়ার, মফিজুর ও শহিদুল্লাহর কাছ থেকে কয়েক বছর পূর্বে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ১২ কাঠা জমি বন্ধক রাখে সুমন হোসেন। ইতিমধ্যে সুমনের সাথে তাদের বনিবনা না হওয়ায় উক্ত টাকা ফেরত দিতে বলেন সুমন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার সময় মশিয়ার গংদের বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরতের তাগিদ দেয় সুমন। একপর্যায়ে কথা কাটাকাটি ও তর্কবিতর্ক শেষে সুমন চলে আসে এবং গ্রামের দোকানদার আনিছুরের দোকানে এসে বসে।
কিছুক্ষণ পর প্রতিপক্ষ মশিয়ার, মফিজুর ও শহিদুল্লাহসহ তাদের সাথে আসা লোকজন আনিছুরের দোকান থেকে সুমনকে ধরে রাস্তায় ফেলে দেশীয় অস্ত্র লাঠি সোটা ও ইট দিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা ও শারিরিক নির্যাতন চালায় তারা। একপর্যায়ে মৃত ভেবে তাকে ফেলে রেখে গেলে গ্রামবাসীরা তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বেলা ১১টার সময় মারা যায় সুমন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখনও পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি। তবে, এ হত্যার সাথে জড়িতদের আটক করতে পুলিশ কাজ করছে। দ্রুত আসামী আটক করা হবে। সুমন এর লাশ ময়না তদন্তেও করা হবে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
