মঠবাড়িয়ায় অনুমতি ছাড়াই রাস্তার পাশের গাছ কাটলেন প্রধান শিক্ষক
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ১৫ নং পশ্চিম পাতাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রশিকার সহায়তায় লাগানো সামাজিক বনায়নের ৮ টি চাম্বল গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই খেয়ালখুশিমতো লক্ষাধিক টাকার এ গাছগুলো কেটে ফেলেছে প্রধান শিক্ষক শেফালি রানী মন্ডল।বিষয়টি স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) অবগত করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিনের সাথে যোগসাজশ করে প্রধান শিক্ষক শেফালি রানী মন্ডল গাছগুলো কেটে বিক্রি করার পাঁয়তারা চালান।এজন্য সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে কোন অনুমোদন নেওয়া হয়নি।বনবিভাগেও কোন আবেদন করা হয়নি।এমনকি মূল্য নির্ধারন না করেই গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে।
নিয়মবহির্ভূতভাবে গাছ কাটার বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন ও প্রধান শিক্ষক শেফালি রানী মন্ডল একে অপরকে এখন দোষারপ করছেন।শিক্ষা অফিসার বলেন, আমাকে জানানো হয়নি। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক বলেন,শিক্ষা অফিসার গাছ কাটতে বলেছেন।
গত ২৬ জানুয়ারি (শুক্রবার) কার্পেটিং রাস্তার পাশে থাকা এ গাছগুলো কেটে ফেলার পর প্রশিকা নামে একটি এনজিও বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। প্রশিকার বিভাগীয় সমন্বয়কারী মনিমোহন রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন,২০২০ সালে প্রশিকার সহায়তায় সামাজিক বনায়নের এ গাছগুলো বিক্রয়ের অনুমোদনের জন্য বনবিভাগে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি প্রক্রিয়াধীন আছে।এরমধ্যেই প্রশিকার সহায়তায় রাস্তার পাশে থাকা এ গাছগুলো স্কুলের বলে প্রধান শিক্ষক খামখেয়ালিভাবে কেটে ফেলেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল কাইয়ুম জানান, ফরেষ্টার – মঠবাড়িয়া এসএফপিসি’র সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)