বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

মৃত্যুর আগে যেমন দেশ দেখতে চেয়েছিলেন কবি হেলাল হাফিজ

প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজ আর নেই।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) শাহবাগের সুপার হোম হোস্টেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি। এখন তার মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রাখা হয়েছে।

তার মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া। বিকেল পৌনে ৪টায় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, কবি হেলাল হাফিজ আর নেই। জাতীয় প্রেস ক্লাব সদস্য হেলাল হাফিজ কিছুক্ষণ আগে মারা গেছেন।

‘এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’-র মতো অসংখ্য অমর পঙক্তির রচয়িতা কবি হেলাল হাফিজ গত ৭ অক্টোবর ৭৭ বছরে পদার্পণ করেছিলেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে অনেকটা শয্যাশায়ী ছিলেন কবি।

বেশ কয়েক বছর ধরে শাহবাগে ‘সুপার হোস্টেল’ নামের একটি হোটেলে বসবাস করেছেন তিনি। জন্মদিনের সময় নিজের শারীরিক অবস্থা জানিয়ে কবি বলেছিলেন, ‘শেষ সময়ে আছি, লাস্ট-স্টেজ বলা যায়। দম নিতে কষ্ট হচ্ছে। শরীর অনেক নাজুক হয়ে গেছে আমার। একেবারে শয্যাশায়ী। আমি একদম ভালো নেই। দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত। পাশাপাশি কিডনি, ডায়াবেটিস ও স্নায়ু জটিলতার মতো নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছি।’

১৯৮১ সালে প্রকাশিত কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ দিয়ে কোটি ভক্তের হৃদয় জয় করেছেন হেলাল হাফিজ। সে বইয়ের কবিতা ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’তে কবি লিখেছিলেন, ‘এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’। কবির এই পঙক্তি জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানেও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোণায় জন্মগ্রহণ করেন হেলাল হাফিজ। কবিতার জন্য ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

কবি তখন শয্যাশায়ী। চোখে ঠিকঠাক দেখতে পান না। কথা জড়িয়ে যায়। শাহবাগের একটি হোস্টেলে নিঃসঙ্গতায় শেষ দিনগুলো কাটছে তার। ঠিক সে সময়টাতেই ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল ঢাকার রাজপথ। সেই আন্দোলনের তীর্থও শাহবাগ।

তরুণ বয়সে থাকলে হয়ত কবি নিজেই রাজপথে নেমে যেতেন। কবি-ই তো লিখেছিলেন, ‘এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’-র মতো অমর পঙক্তি। যুগে যুগে দেশের তরুণ সমাজকে যে লাইন অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার পথ দেখিয়েছে।

কবি সশরীরে হয়ত আন্দোলনে যোগ দিতে পারেননি। তবে মন পড়েছিল যৌবনের দাবি মেনে অধিকার আদায়ের আন্দোলনে পথে নামা তরুণদের মিছিলে। ছাত্রদের সে আন্দোলন সফল হয়েছে। স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। কবিও নিভৃত থেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বুনেছেন।

গত ৭ অক্টোবর ছিল কবির ৭৭তম জন্মদিন। একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ‘যৌবনের কবি’ হেলাল হাফিজ বলেছিলেন, ‘অকল্পনীয় বিজয় এনেছে আমাদের ছাত্র-জনতা। এখনো এটা অবিশ্বাস্য আমার কাছে।’

বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে অনুরোধ জানিয়ে কবি যোগ করেন, ‘একটা অনুরোধ, বারবার রক্ত না, এবারের রক্তের ত্যাগে যেন দেশ সুন্দর হয়। সবাই যেন মিলেমিশে থাকে। মানুষের অধিকার যেন রক্ষা হয়। যে ক্ষমতায় আসে সে যেন এই খেয়াল রাখে।’

১৯৮১ সালে প্রকাশিত কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ দিয়ে কোটি ভক্তের হৃদয় জয় করেছেন হেলাল হাফিজ। সে বইয়ের কবিতা ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’তে কবি লিখেছিলেন, ‘এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’। কবির এই পঙক্তি জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানেও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) অসংখ্য গুণগ্রাহীকে কাঁদিয়ে পরপারে চলে গেছেন কবি। শাহবাগের সেই হোস্টেলেই নিভেছে দ্রোহের আগুন।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোণায় জন্মগ্রহণ করেন হেলাল হাফিজ। কবিতার জন্য ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবো : ছাত্রদলের আবিদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে ছাত্রদল সমর্থিতবিস্তারিত পড়ুন

ডাকসু নির্বাচনে হেরেও প্রশংসায় ভাসছেন ছাত্রদল নেতা হামিম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিস্তারিত পড়ুন

জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভা অনুষ্ঠিত

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় অনুষ্ঠিতবিস্তারিত পড়ুন

  • নির্বাচনে সিসিটিভি ও বডিওর্ন ক্যামেরার বিষয়ে ‘করণীয় কিছু’ নেই: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসি
  • আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ
  • ডাকসু নির্বাচন : বিজয়ীদের অভিনন্দন বিএনপির
  • ১০ ভোটও পাননি ২১ ভিপি প্রার্থী, যে যত ভোট পেলেন
  • ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে ১, ২ ও ৩টি করে ভোট পেলেন যারা
  • স্ত্রীর চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা ফখরুল
  • ডাকসু নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা
  • ঢাবির ইতিহাসে প্রথম ডাকসু নির্বাচনে জয়ী স্বামী-স্ত্রী
  • যে মতেরই হোক না, সবাই একসঙ্গে কাজ করবো: সাদিক কায়েম
  • ডাকসু নির্বাচনে কে কোন পদে জয়ী হলেন
  • ডাকসু নির্বাচনে সাদিক ভিপি, ফরহাদ জিএস, মহিউদ্দীন এজিএস নির্বাচিত
  • ডাকসু নির্বাচনে জয়ের পথে শিবিরের সাদিক কায়েম ও ফরহাদ