মোদির গদি টলমল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি মমতার
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন মোদি নিজে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি তার রাজ্যকে অস্থিতিশীল করা হয়, তাহলে মোদিকে গদি থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
সম্প্রতি আরজি কর হাসপাতালের নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উত্তপ্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। বুধবার রাজ্যে ১২ ঘণ্টার ‘বাংলা বনধ’ কর্মসূচি চালিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি।
এদিন কর্মসূচি পালন করতে আসা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে।
এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মমতা ওই হুঁশিয়ারি দেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেউ কেউ মনে করছেন এটা বাংলাদেশ! আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। ওরা আমাদের মতো কথা বলে। ওদের সংষ্কৃতি আর আমাদের সংষ্কৃতি এক। কিন্তু মনে রাখবেন, বাংলাদেশ একটা আলাদা রাষ্ট্র, আর ভারতবর্ষ একটা আলাদা রাষ্ট্র’।
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘মোদি বাবু, আপনার পার্টিকে দিয়ে আগুন লাগাচ্ছেন। মনে রাখবেন বাংলায় যদি আগুন লাগান, আসামও থেমে থাকবে না। নর্থইস্টও থেমে থাকবে না। উত্তরপ্রদেশও থেমে থাকবে না। বিহার-ঝাড়খণ্ড-দিল্লিও থেমে থাকবে না। আপনার চেয়ারটা টলমল করে দেব’।
বিজেপিকে মতো অত্যাচারী, অহংকারী, চক্রান্তকারী উল্লেখ করে মমতা বলেন, বিজেপির মতো অত্যাচারী, অহংকারী, চক্রান্তকারী, আমি দেখিনি। প্রধানমন্ত্রী শুধু এজেন্সি লাগিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের ঘটনায় তো পদত্যাগ করেননি।
মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছিল ছাত্রসমাজ। এ নিয়েও কথা বলেছেন মমতা। তার দাবি, নবান্ন ঘেরাওয়ের মাধ্যমে লাশ ফেলতে চেয়েছিল বিজেপি। যেন আন্দোলন উস্কে দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ এমনটি হতে দেয়নি।
তিনি বলেন, ‘গতকাল ওরা লাশ চেয়েছিল, পুলিশ সংযত ছিল, রক্ত দিয়েছে, ধৈর্য দেখিয়েছে, পুলিশকে স্যালুট।’
এদিকে আরজি কর ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসি দেওয়া নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। চেয়েছিলাম ফাস্ট ট্র্যাক নিয়ে গিয়ে ফাঁসি দিতে। ধর্ষণ করলে একমাত্র শাস্তি ফাঁসি, রাজ্যের হাতে ক্ষমতা থাকলে ৭ দিনে ফাঁসি দিতাম।
এ সময় তিনি আগামী সপ্তাহে বিধানসভার অধিবেশন ডেকে ধর্ষণবিরোধী বিল পাস করাবেন বলেও যোগ করেন।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)