শার্শায় কলাগাছ কাটলো জমির মালিক, ভয় দেখিয়ে চাঁদা নিলো কথিত ৪ সাংবাদিক!
নিজের জমিতে থাকা কলাগাছ কর্তনের অভিযোগ এনে সাংবাদিক পরিচয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩ (তিন) হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শার্শা উপজেলার ৭নং কায়বা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড় বাগুড়ী গ্রামে।
জানা গেছে, উপজেলার বাগুড়ী গ্রামের বাসিন্দা ও বেলতলা বাজারের স্থানীয় আমের আড়ৎদার মোঃ ইজ্জত আলী তার বাসার সামনে ৪ (চার) টি কলাগাছ জায়গা পরিষ্কারের জন্য কেটে দেয়। আর এ কারনে তাকে মামলার ভয় দেখিয়ে ৩ হাজার টাকা নেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী মোঃ ইজ্জত আলী জানান, সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মচারী বাবু ও সাংবাদিক পরিচয়ে আরিফুজ্জামান আরিফ, মোঃ জয়নাল আবেদিন, মোঃ শহিদুল ইসলামসহ চার পাঁচজন এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করে আমি কলাগাছ কেন কাটলাম। তখন আমি বলি জায়গাটা অপরিষ্কার ছিলো এবং সামনে আমাদের ব্যবসার সিজেন এজন্য জায়গাটা পরিষ্কার করার জন্য কলাগাছ কেটেছি। তখন তারা বলে গাছ কাটা অপরাধ আপনার নামে মামলা হবে, এই ভয় দেখিয়ে তারা আমার কাছ থেকে ৩ (তিন) হাজার টাকা নিয়ে চলে যাই।
যশোর সড়ক ও জনপদ বিভাগের ওই কর্মচারী মোঃ বাবুর কাছে জানতে চাইলে সে বলেন, টাকা আমি নেইনি সাংবাদিক আরিফুজ্জামানসহ ওরা তিন চারজন নিয়েছে।
সাংবাদিক পরিচয় দানকারী আরিফুজ্জামান আরিফ জানান, ঘটনা স্থলে আমি ছিলাম, কিন্তু আমি টাকা নেয়নি।
বেলতলা বাজার কমিটির সভাপতি ও কায়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলতাফ হোসেন জানান, বিষয়টি আমি জানি না, আমি আপনার মাধ্যমে জানলাম, যদি ঘটনাটি সত্য হয়ে থাকে আসলে এটা একটা অপরাধ। আমি কোন অপরাধ কাজের সমর্থন করিনা, যারা এ ধরনের অপরাধ মুলক কাজ করেছে তাদের বিচার হওয়া উচিত।
আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ লোকমান হোসেন জানান, এর আগেও সাংবাদিক পরিচয়ে আরিফ সহ কয়েকজন বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে গত আম মৌসুমী বিভিন্ন আম ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সাংবাদিক পরিচয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে সড়ক বিভাগ যশোর এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, সিএন’বি অথবা সরকারি জায়গার কেউ যদি গাছ কাটে তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কিন্তু এভাবে টাকা নেওয়ার আইন নাই। বিষয়টি আমরা দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)