সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে সেনা সদর


সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চার দাবিতে জাহাঙ্গীর গেট অভিমুখে ‘লংমার্চ’ কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে সেনা সদরের প্রতিনিধিদল।
রোববার (১৮ মে) দুপুর ২টার পর জাতীয় প্রেস ক্লাবে চাকরিচ্যুত সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সেনা সদর থেকে আসা প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
সাবেক সেনা সদস্য বিষ্ণ কুমার বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এদিন বেলা ১১টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চার দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ সহযোদ্ধা প্ল্যাটফর্ম (বিসিপি)। এই কর্মসূচি থেকে সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্যরা ঘোষণা দেন দুপুর ২টার মধ্যে তাদের দাবি না মানলে তারা জাহাঙ্গীর গেট অভিমুখে ‘লংমার্চ’ কর্মসূচি পালন করবেন।
এই ঘোষণার পর জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভেতরে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সেনা সদর থেকে আসা প্রতিনিধিদরের সদস্যরা। বৈঠকে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলমও রয়েছেন।
বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে তাদের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক জামাল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য অংশ নিয়েছেন।
তাদের চার দাবি-
১. চাকরিচ্যুতির সময় থেকে এ পর্যন্ত সম্পূর্ণ বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরি পুনর্বহাল।
২. যদি কোনো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের চাকরি পুনর্বহাল করা সম্ভব না হয় তাহলে তাদের সরকারি সব সুযোগ-সুবিধাসহ সম্পূর্ণ পেনশনের আওতাভুক্ত করতে হবে।
৩. যে আইন কাঠামো ও একতরফা বিচারব্যবস্থার প্রয়োগে শত শত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে সেই বিচারব্যবস্থা ও সংবিধানের আর্টিকেল-৪৫ সংস্করণ করতে হবে।
৪. ১৭ মে গ্রেফতার হওয়া তাদের মুখ্য সমন্বয়ক সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত সৈনিক নাইমুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে।
সূত্র: জাগো নিউজ।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
