সাতক্ষীরায় কারারক্ষী আল মামুনের ফাঁদে সর্বস্বান্ত ছয় জেলার ব্যবসায়ীরা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে কর্মরত মো. আল মামুন নামের এক কারারক্ষীর ফাঁদে সর্বস্বান্ত হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), কারা অধিদপ্তরের আইজি প্রিজন ও সাতক্ষীরা-নড়াইল পুলিশ সুপার এবং জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযুক্ত কারারক্ষী আল মামুন নড়াইল জেলার বাশগ্রাম থানার চররামসিদ্দী গ্রামের শেখ হাবিবুর রহমানের ছেলে।
লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শেখ মোহাম্মদ আলী। অভিযোগে তিনি বলেন, আল মামুন সামান্য বেতনের একজন কারারক্ষী হয়েও সে বর্তমানে কয়েক কোটি টাকার মালিক। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল সহ বিভিন্ন জেলায় কোটি কোটি টাকা অগ্রিম প্রদান করে ইট ভাটাই ফরোয়ার্ড সেল ইট ক্রয় করেন। ফরোয়াড সেল ইট ক্রয়ের সময় ইটভাটার মালিকদের কাছ থেকে ব্যাংক চেক গ্রহণ করে পরবর্তীতে ওই চেকে মোটা অংকের টাকা বসিয়ে ব্যাংক থেকে ডিসঅনার করে তাদের বিরুদ্ধে চেকের মামলা করে ওই টাকা আদায় অব্যাহত রেখেছে।
অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ফরোয়ার্ড সেল ইট গ্রহণ করার পরেও ইটভাটার মালিকদের ব্যাংক চেক ফেরত না দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে দিনের পর দিন হয়রানি করছে। কখনো নিজে বাদী হয়ে আবার সে সরকারি চাকরি করার কারণে কৌশল হিসেবে সে নিজে বাদী না হয়ে কখনো ভাই, বাবা, ভগ্নিপতি, বন্ধুদেরকে বাদি সাজিয়ে আদালতে মিথ্যা মামলা করছে। কারারক্ষী আল মামুন এ পর্যন্ত প্রায় ছয় থেকে সাত কোটি টাকার চেকের মামলা করেছে।
এছাড়াও কারারক্ষী পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে শেখ মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। চাকরিও দেয়নি, টাকাও ফেরত দেয়নি। এই মর্মে শেখ মোহাম্মদ আলী বাগেরহাট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারণা মূলক একটি মোকদ্দমা দায়ের করে। যার নং সি আর ১৫৫/২৪ (ফকিরহাট) মোকদ্দমা আনায়ন করেন। একজন কারারক্ষী হয়ে কোটি কোটি টাকার উৎস কোথায়?
আল মামুনের অত্যাচারে পাঁচ-ছয়টি জেলার ব্যবসায়ীরা অতিষ্ট। ফাঁদে ফেলে চেক নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিদের দ্বারা মামলা করিয়ে নেপথ্যে থেকে উক্ত আল মামুন ফায়দা লুটছে। ভুক্তভোগীরা কারারক্ষী আল মামুনের এ ধরনের অবৈধ কর্মকান্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রণের জন্য জোর দাবি জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কারারক্ষী মো. আল মামুনকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল দিলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার বিষ্ণুপ পাল জানিয়েছেন, আমি এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি অবহিত করবো।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)