সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা! মিথ্যা মামলায় পাঁচ সহোদর ও চাচাতো ভাইয়েরা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলনে ্অভিযোগ আপন ভাই ও ভাইপোর দায়েরকৃত ১৫টি মিথ্যা মামলায় দিশেহারা পাঁচ সহোদর ও চাচাতো ভাইয়েরা। হয়রানি থেকে পরিত্রাণ পেতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পাঁচ ভাই ও তাদের পরিবার।
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরে সহোদর ভাই ও ভাইপোর দায়েরকৃত মামলায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অপর পাঁচ সহোদর ও চাচাতো ভাইয়েরা। ঘটনাটি শহরের কাটিয়া টাউন বাজার এলাকার মরহুম আলহাজ মোঃ গোলাম আকবর পরিবারের। গোলাম আকবরের মেজ ছেলে মহসিন আলী ও তার ছেলে আবজাল হোসেনের চক্রান্তে অপর পাঁচ বর্তমানে দিশেহারা।
তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে দায়ের করা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে পরিত্রাণ পেতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন পাঁচ সহোদর ও তাদের চাচাতো ভাইয়েরা। সোমবার ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ দুপুরে সাতক্ষীরা সাংবাদিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে এসব অভিযোগ জানান কাটিয়া টাউন বাজার এলাকার মৃত গোলাম আকবরের ছেলে আবুল বাসার। সংবাদ সম্মেলনে শহরের কাটিয়া এলাকার মৃত গোলাম আকবরের ছেলে আবুল বাসারের সমাথে এসময় তার ভাই আবু জাফর, মৃত আব্দুল্লাহ ও মৃত আবুল আহসানের পরিবারের সদস্য ও চাচাতো ভাইয়েরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলন লিখিত বক্তেব্যে আবুল বাসার আরও বলেন, তাদের পিতা মরহুম গোলাম আকবর সাতক্ষীরা শহরের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী ছিলেন। তারা ছয় ভাই। তার বাবার মৃত্যুর পর তার আপন বড়ভাই মহসিন আলী ও তার ছেলে আবজাল হোসেন তাদের ভাইদের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হয়রানি করে আসছে মহসিন ও তার ছেলে আবজাল হোসেন।
আমরা শহরের কাটিয়া টাউন বাজার এলাকার মরহুম গোলাম আকবরের ছেলেমেয়েরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি, আমাদের পিতা গোলাম আকবরের মৃত্যুর পর তার জমিজমা নিয়ে আমাদের ভাই ও চাচাতো ভাইদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। যা বর্তমানে চরম আকার ধারণ করেছে। এই নিয়ে আমাদের পরিবারের মধ্যে অশান্তির রূপ নিয়েছে। আমাদের পিতা মরহুম গোলাম আকবর জীবিত থাকা অবস্থায় আমাদের কাটিয়ার সমস্ত জমিজমা ‘সরদার ইসমাইল ট্রাস্ট’ এর নামে দুটি দলিল করে যান। ওই দলিল দুটি থাকার কারনে কাটিয়ার জমিজমা ‘সরদার ইসমাইল ট্রাস্ট’ এর নামে ডিপি/মাঠপর্চা ও খতিয়ান প্রস্তুত হয়।
কিন্তু ওই ট্রাস্ট পরিচালনা কমিটি থেকে আমরা ও আমাদের ভাইয়েরা অথাৎ ট্রাস্ট পরিচালনা কমিটি বসে সকলের সম্মতির মাধ্যমে ট্রাস্ট দলিল দু্িট বাতিলের প্রার্থনা করে যুগ্ম জেলা জজ প্রথমম আদালত দেং- ৪২/২০১ন নং মোকদ্দমা দাখিল করি। ওই মোকদ্দমা গত ০৬/০৫/১৯ তারিখে আমাদের মধ্যে সেলেনামা সূত্রে ডিক্রী হয় এবং ওই ট্রাস্ট দলিল দুটি বাতিল মর্মে ঘোষণা করা হয়।
এই ডিক্রী অনুযায়ী আমরা পরবর্তীতে খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস থেকে আমরা সবাই একত্রে এবং সসলের সম্মতিতে ওই জমিজায়গা আমাদের নিজেদের নামে রেকর্ড প্রস্তুত করি। যা বর্তমানে চূড়ান্ত রূপে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের মেজ ভাই মহসিন আলী উপরোক্ত বিষয়গুলি অস্বীকার করে আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আদালতে বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় ১৫টি ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলা করেছেন। এরই প্রেক্ষিতে আমরা আর্থিক এবং সামাজিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, গত ২৮/১১/২০২৩ তারিখে আমাদের মেজ ভাই মহসিন আলী সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে গণমুখী ক্লাবের পার্শ্বে হাবিবুল্লাহ মাস্টারের বাড়ির সামনে সড়ক দূঘর্টনায় আক্রান্ত হয়। এ ঘটনায় তার ছেলে আবজাল হোসেন তার তিন চাচার (আমাদের তিন ভাই) নামে থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ করে। পরবর্তীতে থানার পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক সুষ্ঠু তদন্তে ওই বিষয়টি সড়ক দুর্ঘটনা বলে প্রমানিত হয়।
মহসিন আলী ও তার ছেলে আবজাল হোসেন কর্তৃক একের পর এক মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মনগড়া ঘটনা দিয়ে মামলা করে আমাদের নাজেহাল করে চলেছে। বর্তমানে আমরা আমাদের পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। নিজেরা কোন ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের ঘায়েল করার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে পিতা-পুত্র। সুষ্ঠু তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে পিতা-পুত্রের ষড়যন্ত্র। এ ঘটনায় তারা জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)