সাতক্ষীরায় পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষায়র দাবিতে ভ্যান চালকের সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরার পরানদাহে মাদ্রাসা ও এতিমখানার নাম করে কথিত হুজুর রবিউল কর্তৃক অসহায় এক ভ্যান চালকের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার সোনারডাঙ্গি হরিসপুর গ্রামের মৃত মোজাহার দালালের ছেলে আতিয়ার রহমান এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জগন্নাথপুর মৌজায় জে.এল নং-৪৪, এস,এ ৭৩০ নং খতিয়ানে ৩৩৯৩/৪১৩১ দাগে.০৪ একর জমি বৈধ মালিক হিসাবে আমি ভোগদখল করে আসছি। উক্ত জমিতে মাটি ভরাট করে সখোনে দোকান ঘর নির্মাণ করি। উক্ত সম্পত্তি ১৯/৬৭-৬৮ সালের ২২৪ নং মোকদ্দামাটি বয়নামা মূলে জমির দখল পেয়ে আমি সেখানে সীমানা নির্ধারন করে ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু একই এলাকার মৃত
আব্দুল ওহাব দালালের ছেলে চিহিৃত ভূমিদস্যু টাউট হুজুর রবিউল ইসলাম ও আতর আলীর ছেলে আবুল হাসান একাধিক জাল দলিল সৃষ্টির মাধ্যমে উক্ত বসতভিটা দখল করে সেখানে মাদ্রাসা ও এতিমখানা নির্মাণের পায়তারা শুরু করেছে। যাতে কেউ বাধা না দেয় সেজন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণের আড়ালে ওই জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমি একজন অসহায় ভ্যান চালক হওয়ার পরও রবিউল আমার বসবাসের শেষ সম্বলটুকু ও মাদ্রাসা নির্মাণের নামে দখলের পায়তারা
চালাচ্ছেন এবং আমাকে খুন জখমের হুমকি দিচ্ছেন।
আতিয়ার রহমান অভিযোগ করে বলেন, শুধু মাত্র আমার নয়, ওই এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাধিক নিরীহ ব্যক্তির সম্পত্তি মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে
দখল করে যাচ্ছে। জাল দলিল সৃষ্টি করে হরিসপুর গ্রামের ইউনুস ও হাফিজুরের সম্পত্তি জবর করে যাচ্ছে। কওমী মাদ্রাসার নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারণ নিরীহ মানুষের জমি গ্রাস করার পায়তারা করছে এবং ফোরকানিয়া মাদ্রাসার ৪/৫ বিঘা জমি জোরপূর্বক দখলিকার থাকার চেষ্টা করছে। তারা আমার বিরুদ্ধে জাল দলিলের
মামলা করে যেটি আদালতে খারিজ হয়ে যায়। আবুল হাসানের সি.আর.পি ৩৬৮/১৯ মামলা তদন্ত ষ্টেটেজে খারিজ হয়ে যায়।
এঘটনার ৮ মাস পরে রবিউল ইসলাম আমার মালিকানাধীন জমি মাদ্রাসার নামে ৩৫৭০/২০ জাল দানপত্র দলিল সৃষ্টি করে দখলের চেষ্টা করে। আমি উক্ত জাল দানপত্র দলিল বাতিলের জন্য আদালতে মামলা
করি যা বিচারাধীন রয়েছে।
তিনি ভূমিদস্যু টাউট হুজুর রবিউল ইসলামের হাত থেকে নিজের বৈধ মালিকানাধীন
পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা
প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা
করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)