হাসপাতালে ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ খালেদা জিয়া
শারীরিক নানা জটিলতার কারণে ১০ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। বর্তমানে ওই হাসপাতাল মেডিকেল বোর্ডের ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি।
তিনি জানান, ম্যাডাম কেবিনেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সবসময় সব কিছু মনিটর করছেন।
এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার রাত ১০টার দিকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন।
এর আগে ১০ আগস্ট গুলশানের বাসা ফিরোজায় খালেদা জিয়ার অসুস্থতা বেড়ে গেলে এভারকেয়ার হাসপাতাল মেডিকেল বোর্ড স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়।
৭৮ বছর বয়সি খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি ও লিভারের জটিলতা ও হৃদরোগে ভুগছেন। এর আগে গত জুন মাসেও তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। সে সময় পাঁচ দিন তাকে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকতে হয়েছিল।
২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতার কারণে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা। পরে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তার হৃৎপিণ্ডে স্টেন্ট বসানো হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর।
এর পর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি নেত্রীর। তিনি তখনো পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদার দণ্ড স্থগিত করেন ছয় মাসের জন্য। ওই বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে তার বাড়িতে রয়েছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)