কলারোয়ার আনাচে-কানাচে খেজুর গাছে ধরেছে কমলা রঙের খেজুর
বছরে দুই ফলন আসে খেজুর গাছে, শীতকালে ফলন দেয় মিষ্টি আর সুস্বাদু রস, আর গরমকালে দেয় কমলা রঙের খেজুর। এখন গরম কাল, তাই সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বিভিন্ন পথে প্রান্তরে রাস্তা-ঘাট, খাল-বিল এবং বাড়ির আনাচে-কানাচে খেজুর গাছে ধরেছে কমলা রঙের খেজুর।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, থোকায় থোকায় খেজুর গাছে ঝুলছে। তা দেখে প্রতিটি মানুষের চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে। এখনো প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে খেজুরগুলো পাকতে। ইতিমধ্যে কলারোয়ার টু খোরদো সড়কের খেজুর গাছের খেজুরগুলো পাকতে শুরু। গ্রামের স্থানীয় ছেলে-মেয়েরা পেড়ে তা খেতে শুরু করেছেন। তবে এখনো খাওয়ার উপযোগী হয়নি খেজুরগুলো, এখন খেতে অনেকটায় কষ কষ, পাকলে তা মিষ্টি হবে। কিছু দিন পর পাকলে খাওয়ার উপযোগী হবে এবং অনেকেই এই পাকা খেজুর বাজারেও বিক্রি করবেন। উপজেলা র রাইটা গ্রামের সাবান আলী বলেন, আমার বাড়ির পাশে তিনটি খেজুরের গাছ আছে, বয়স অনেক হয়েছে। ছোটবেলায় বাবা নিজেই গাছগুলো দেখাশোনা করতেন ও রস সংগ্রহ করতেন। শীতের সময় মুড়ি দিয়ে খুব মজা করে খেতাম। এখন তিনটি গাছেই প্রচুর খেজুর ধরেছে। কিছু দিনের মধ্যেই তা পাকবে। কিন্তু গ্রামের ছেলেরা এখনি পেড়ে খাওয়া শুরু করেছে। রায়টা বাজারের রাস্তার পাশে খেজুর পাড়ছে কিশোর রমেশ। সে বলে, এই গাছে অনেক খেজুর ধরেছে। দেখতেও ভালো লাগছে, আবার পেড়েও খাচ্ছি। এখনো পাকেনি, একটু কোষ্টা (কষ)। তবে দেখে মন মানছে না। কিন্তু গাছ মালিক দেখলে তাড়া দেবে।
খোরদো গ্রামের আকরাম হোসেন বলেন, এখন তো আর আগের মতো খেজুরের গাছ নাই। আমার একটা খেজুরে গাছ হয়েছে, এইবার প্রথম ফল আসছে। অনেক খেজুর ধরেছে, দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। আর কয়েক দিন পর খেজুরগুলো পারবো এবং আগামী শীত মৌসুমে রসের জন্য গাছে চাঁছ দেবো।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)