ঝিনাইদহে আ.লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের গোলকনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শৈলকূপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আবু সাঈদ (৪২) ওই গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন ও নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
এদিকে সাঈদ বিশ্বাস নিহত হওয়ার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজ ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক গ্রুপের সমর্থকরা দেশি অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। শুক্রবার দুপুরে দুপক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শৈলকূপা থানার ওসি জানান, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ দুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়।
তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই বেশ কিছু বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শৈলকূপা থানার এসআই আমিরুজ্জামান জানান, মাঠে মাছ ধরা জাল হারানোকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে একই গ্রামের শাহিনের সঙ্গে আবু সাঈদের তর্ক-বিতর্ক হয়। তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে শাহীন ও তার লোকজন ছুরিকাঘাত করে আবু সাঈদকে হত্যা করে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শাহীন বিশ্বাস ও বকুল কাজী নামে দুজনকে আটক করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রূপচাঁদ মণ্ডল জানান, নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন ও সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধিতাকে কেন্দ্র একাধিক ব্যক্তি নিহতও হয়েছেন। বর্তমানে জেলা আ.লীগের সহসভাপতি ও বিশ্বাস বিল্ডার্সের এমডি আলহাজ নজরুল ইসলাম দুলাল রাজনীতির মাঠে সরব হলে শৈলকূপার বর্তমান এমপি আব্দুল হাই বিরোধীরা দুলাল গ্রুপে যোগদান করে। নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন এখন দুলাল গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)