দোর গোড়ায় উন্নত চিকিৎসা, শার্শার রুদ্রপুরের অজ পাড়া গাঁয়


অজ পাড়া গাঁ শার্শার রুদ্রপুর। ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যাবস্থা। জটিল রোগে একমাত্র ভরসা যশোর শহরের ক্লিনিকগুলো। তাতে অনেক রাস্তা। যাতায়াত খরচ। সময় নষ্ট। শারীরিক কষ্ট ইত্যাদি ইত্যাদি। ডাক্তারের ফি ৫০০/-। তাও অগ্রীম।
এ ক্ষেত্রে আশার আলো জ্বালিয়েছেন ডাক্তার মেহেদী হাসান। শিশু ও গাইনি রোগে অভিজ্ঞ। গ্রামের ছেলে। তাই গ্রামবাসির সেবা আগে। যা ছিলো কল্পনার বাইরে। এলাকার স্বার্থে র নিয়মিত রোগী দেখছেন শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা, রবিবার বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা।
রোগীরা বাড়ী বসেই উন্নত মানের সেবা পাচ্ছেন। পয়সার সাশ্রয় হচ্ছে। ফি নাম মাত্র। গরীব রোগীর জন্য ফ্রী। আলট্রাস্নো, ইসিজি এখানেই করছেন।
স্থানীয় ও রোগীরা জানালেন, ‘ডাক্তার মেহেদী হাসান মাদা মনের ছেলে। অহংকার নেই। ছোট ছোট কথা বলেন। মনের মত করে রোগী দেখেন, ব্যবস্থাপত্র দেন। সৌভাগ্য আমাদের গ্রামের মানুষের। দূরের রোগীও দ্যাখেন।
১৩ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকালে, ১৪ জন রোগী দেখেছেন, ৩ জন ফ্রী। আল্ট্রাস্নো করেছেন ১টা।’
তারা আরো জানান, ‘সবে দু’দিন ধরে রোগী দেখা শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে রোগীর সংখা দিন দিন বাড়ছে। সাইকেল চড়েও দুর দুরান্ত থেকেও রোগী আসছেন। শারীরিক কষ্ট হলেও খরচ হচ্ছে না। অন্য সময় কলারোয়া, বাগআঁচড়া, সাতক্ষীরা অথবা যশোর যেতে হতো রোগীদের। এখন রুদ্রপুর বাজারে মা মেডিকেলে উন্নত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আরকি চাই।
তাই গ্রামের ছেলে হয়ে আশার আলো জ্বালিয়েছেন ডাক্তার মেহেদী হাসান। সকলেই দোয়া করি তার জন্য। ঘরে বসেই চিকিৎসা সেবা নিন, সুস্থ্য থাকুন। এই প্রত্যাশা রইলো।’

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
