নিরাপদে কিয়েভ ছাড়তে সাহায্য করবে রুশ বাহিনী
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বাসিন্দাদের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ভাসিলকিভের দিকে চলে যেতে সহায়তা করবে রুশ বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) মস্কোর কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ এ প্রস্তাব দিয়েছেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে ইউক্রেন আক্রমণের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরার সময় তিনি বলেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বেসামরিক লোকজনকে চলে যেতে কোনো বাধা দেবে না।
বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়া এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কিয়েভের বেসামরিক বাসিন্দাদের শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার একটি পথ প্রস্তাব করল।
সোমবারও (২৮ ফেব্রুয়ারি) মেজর জেনারেল কোনাশেনকভ বেসামরিকদের একই প্রস্তাব দিয়ে বলেছিলেন, ভাসিলকিভের পথ খোলা ও নিরাপদ।
এর আগে ভাসিলকিভ শহরটিও রুশ বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়েছে। রুশ বাহিনী শহরটিতে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বলছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রথম পাঁচ দিনে ২২৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, সংঘর্ষের সময় ইউক্রেনে আরও ৫২৫ বেসামরিক লোক আহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ হতাহতের বেশিরভাগই ভারী কামান ও মাল্টি-লঞ্চ রকেট সিস্টেম থেকে গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলাসহ বিস্ফোরক অস্ত্র ব্যবহারের কারণে ঘটেছে।
সংস্থাটি বলেছে, তারা বিশ্বাস করে প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা বেশি। কারণ বিশেষ করে সরকার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে হতাহতের খবর পেতে বিলম্ব হচ্ছে।
প্রায় দুই মাস ধরে ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ২ লাখ সেনা জড়ো করে রাশিয়া। রাশিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বারবার সতর্কতা দিয়েছিল। কিন্তু বরাবরই ইউক্রেনে হামলা চালানোর আশঙ্কা উড়িয়ে দেয় রাশিয়া।
এরপর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ধ্বংস করে বিভিন্ন বিমানঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেন থেকে পালাচ্ছে লাখো মানুষ। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনারা।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)