সোমবার, মে ৬, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

মাধ্যমিক শিক্ষায় করোনার তান্ডব

২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর শুরু হওয়া কোভিড-১৯ এর আগে পৃথিবী আরও অনেক মহামারীর শিকার হয়েছে। কিন্তু সেসব মহামারীর প্রকোপ ছিল কোনো দেশ বা অঞ্চলে। প্লেগ, দ্য ব্লাক ডেথ, কলেরা, এশিয়ান ফ্লু, গুটি বসন্ত, এইচআইভি, সার্স, ইবোলা, স্প্যানিশ ফ্লু এরকম অসংখ্য রোগে পৃথিবী আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু সেগুলো পুরো পৃথিবীকে দখল করতে পারেনি। এসব মহামারীর ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে বা দেশে। ফলে ওই সমস্ত দেশ বা অঞ্চল শিক্ষা, অর্থনীতিসহ সর্বক্ষেত্রে ধ্বংসে পরিণত হয়েছিল। লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু যন্ত্রণা তারা দেখেছে। কিন্তু তখন অন্য সব দেশ আক্রান্ত দেশগুলোর প্রতি সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। যে কারণে তারা দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পেরেছিল। কিন্তু পুরো পৃথিবীর এমন ভয়াবহ রূপ এর আগে কেউ কখনো দেখেনি। ১৯০টিরও বেশি দেশের প্রায় ১.৬ বিলিয়ন শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সমস্ত পৃথিবী যখন মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও তার বাইরে নয়। শিক্ষা থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই ভয়ঙ্কর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তারা এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, বাস্তবতার নিরিখে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার যে ক্ষতি হচ্ছে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠা কতটুকু সম্ভব হবে সেটা প্রত্যেক সচেতন নাগরিককে ভাবিয়ে তুলেছে। শিক্ষার্থীদের বইমুখী করার উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যেটা প্রশংসনীয়। যেমন সংসদ টিভিতে ক্লাস, অনলাইন ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট সহ বেশ কিছু পদক্ষেপ। কিন্তু আমাদেরকে দেখতে হবে এই ব্যবস্থাগুলি বাস্তবে কতটুকু কার্যকরী হচ্ছে। আমার ব্যক্তিগত বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমি কিছু তথ্য উপস্থাপন করছি। আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী গ্রামে বাস করে তাদের আর্থসামাজিক অবস্থা যদি আমরা দেখি তাহলে দেখতে পাই অধিকাংশ অভিভাবক তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য এত ব্যস্ত থাকে যে নিজের বাচ্চাদের পড়াশোনার প্রতি তদারকি করতে পারে না। এমনকি কোন ক্লাসে পড়ে সেটাও বলতে পারেনা। এরকম অবস্থায় অনলাইন ক্লাস কতটা কার্যকরী?

গত ২১-০৫-২০২১ খ্রিস্টাব্দ তারিখ থেকে ২৬-০৫-২০২১ খ্রি: তারিখ পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশ মোতাবেক আমরা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে ৭৪০ জন শিক্ষার্থীর বাড়িতে জরীপ কার্য পরিচালনা করি। সেখানে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে যেটা জানতে পারি সেটা খুবই হতাশাব্যঞ্জক। অনলাইন ও সংসদ টিভিতে ক্লাস করার জন্য আমরা ইতোপূর্বে বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকার প্রত্যেক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় করি। তার পরেও এমন হতাশাব্যঞ্জক ফলাফল আমরা লক্ষ্য করি। কারণ হিসেবে যেটা প্রতীয়মান হয়, সেটা হল অভিভাবকদের উদাসীনতা ও শিক্ষার্থীদের অনীহা। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ১.০৮ শতাংশ, ইন্টারনেট সংযোগ নেই ৩৯.৫৯ শতাংশ, ডিভাইস নেই ৪৭.২৯ শতাংশ, অনলাইন ক্লাসে অনীহা ৮৬. ৩৫ শতাংশ। জরিপ কাজ পরিচালনা এলাকা উপজেলা সদর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে সম্পূর্ণ গ্রামীণ এলাকা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন আসক্তি কোভিডকালীন সময়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি বড় বিপর্যয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও শিক্ষকগণ কিন্তু অনলাইন ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নে ও সরকারি নির্দেশনা নিরলসভাবে পালন করে চলেছে। সরকারি নির্দেশ থাকলেও গ্রামীণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় বেতন আদায় করতে পারছে না, ফলে শিক্ষকদের ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনার যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে নন এমপিওভুক্ত স্কুল ও শিক্ষকদের দুর্দশা অবর্ণনীয়। এছাড়া গত ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে আজ পর্যন্ত অধিকাংশ মাধ্যমিক স্তরেরশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর এডহক কমিটি গঠন কমপক্ষে দুইবার হয়ে গেছে। তৃতীয় বার করতে হচ্ছে। প্রত্যেকবার বোর্ড ফিসসহ অন্যান্য খরচ তিন থেকে চার হাজার টাকা। শুধু তাই নয়, কোভিড-১৯ এর ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রধান শিক্ষককে ছুটতে হয় উপজেলা নির্বাহী অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস এবং সভাপতিকে শুধুমাত্র স্বাক্ষর পরিবর্তনের জন্য ছুটতে হচ্ছে বিভিন্ন ব্যাংকে- এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। এক্ষেত্রে যদি কোনো ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকে তাহলে একই কমিটি বহাল রাখা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা উচিত বলে আমি মনে করি।

লেখক :
আখতার আসাদুজ্জামান চান্দু
প্রধান শিক্ষক, সোনাবাড়ীয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
সভাপতি, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ স্কাউটস্, কলারোয়া উপজেলা, সাতক্ষীরা।
মুঠোফোন : ০১৭১৬-৪৯৫৪৯৮

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ায় আ.লীগ নেতার নির্বাচনী সভায় ভোট চাইলেন বিএনপি নেতা!

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুলবিস্তারিত পড়ুন

মানবিক কলারোয়া গড়ার প্রত্যয়ে লাল্টু-খুকু-ইমরান পরিষদের নির্বাচনী সভা

আগামিতে মানবিক ও সুস্থ ধারার কলারোয়া উপজেলা গড়ার প্রত্যয়ে নির্বাচনী কর্মী সমাবেশবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ার চান্দুড়িয়ায় লাল্টু-ইমরান-খুকুর পক্ষে নির্বাচনী সভা

কলারোয়ার সীমান্তবর্তী চন্দনপুর ইউনিয়নের চান্দুড়িয়া বাজারে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুবিস্তারিত পড়ুন

  • সাতক্ষীরার উন্নয়নে পাঁচ এমপিকে এক টেবিলে বসার আহবান নাগরিক কমিটির
  • কলারোয়ায় প্রচন্ড গরমে খামারে খামারে মুরগীর মৃত্যু, আতংকিত পোল্ট্রি খামারীরা
  • কলারোয়ার অপরূপ পুরাকীর্তি শ্যামসুন্দর মঠ-মন্দির, সংরক্ষণে নেই কার্যকরী উদ্যোগ
  • কলারোয়ায় তৃষ্ণার্তদের মাঝে শরবত ও পানি বিতরণ করলো ‘মানবতার কল্যাণে আমরা ফাউন্ডেশন’
  • কলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
  • হিট ষ্ট্রোকে আতঙ্কে আছেন কলারোয়ার পোল্ট্রি খামারীরা
  • কলারোয়ায় ক্লাইমেট- স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিতে পরিকল্পনা প্রনয়ণ ও মূল্যায়ন কর্মশালা
  • ৮ মাস বন্ধ কলারোয়ার বেত্রবতী সেতু নির্মাণ কাজ, ভাঙা সেতু দিয়ে ঝুঁকিতে পারাপার
  • একই দিনে কলারোয়ার দেয়াড়া হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের যোগদান
  • কলারোয়ায় কৃষির জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পের কর্মশালা
  • কলারোয়ায় আস্থা প্রকল্পের যুব ফোরামের ত্রৈমাসিক সভা
  • ‘কলারোয়ায় শুদ্ধাচার ও ভদ্র রাজনীতির সূচনা করতে চাই’: স্বপন এমপি