শনিবার, জুলাই ৫, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

শার্শায় সাদা ফুলে ফুলে ভরে গেছে সজিনা গাছ

সাদা ফুলে ফুলে ভরে গেছে সজিনার গাছ। থোকায় থোকায় ঝুলছে ফুল। ফুলের পরিমাণ এতোটাই যে গাছের পাতা পর্যন্ত দেখার উপায় নেই। ফুলের গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে মৌমাছি মধু সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বসন্তের শুরুতে সাদা ফুলে ফুলে ভরে গেছে সজিনার গাছ। রাস্তার পাশে সজিনা ফোটা সাদা ফুল পথচারীদের আকৃষ্ট করছে।

যশোরের শার্শা উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে এ সজিনা বাহিরের জেলায় সরবরাহ করার কথা ভাবছেন চাষিরা। রোগ বালাই কম হওয়ায় এখন বাণিজ্যিক ভাবেও চাষ করা হচ্ছে সজিনা।

এক সময় বাড়ির আশপাশের উঠানে সজিনার গাছ লাগানো হতো। সজিনার চাহিদা বাড়ায় এবং সময়ের পরিক্রমায় কৃষকরা এখন ফসলি জমিতে অনেকে সজিনার চাষ করছেন। পরিকল্পিত ভাবে সজিনার চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।

মৌসুমের শুরুতে সজিনা প্রতি কেজি ১০০/১৫০ টাকা দরে বিক্রি হলেও শেষ সময়ে দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৪০/৫০ টাকা। ফাল্গুনের শেষ ও চৈত্রের শুরুতে সজিনার ডাটা খাওয়ার উপযোগী হয়। সাধারণত শাখা কেটে রোপণ করার মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার হয়। এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে গাছ থেকে সজিনা সংগ্রহ করা যায়। ডাটার পাশাপাশি ফুল, পাতাও সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। সবজি হিসেবে এটি যেমন উপাদেয়, তেমনি এর ভেষজ গুণাবলী অসাধারণ। নানা রোগব্যাধি নিরাময়, রোগ প্রতিরোধ ও শক্তি বৃদ্ধিতে সজিনা অত্যন্ত কার্যকর।

শার্শা উপজেলার যাদবপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম (মন্টু) বলেন, জমির পাশে রাস্তার ধারে কয়েকটি সজিনা গাছ লাগিয়েছি। বাড়িতে খাবার পর অতিরিক্ত সজিনা বাজারে বিক্রি করা হয়। রোগ বালাই কম। খরচ তেমন না হলেও দাম ভাল পাওয়া যায়। প্রতিটি গাছে প্রায় এক থেকে দেড় মণ সজিনা হয়।

উপজেলার মাটিপুকুর গ্রামের আফছার আলী বলেন, সজিনা এখন জমির আইলে ও আবাদি জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে লাগানো হচ্ছে। গাছে ফুল আসার পর এবং সজিনা ধরার পর একটু কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। এতে ভালো সজিনা হয়। গাছে যে হারে ফুল আসছে তাতে মনে হচ্ছে সজিনা আসার পর এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ অন্যান্য জেলাতেও পাঠানো সম্ভব।

উপজেলার লাউতাড়া গ্রামের মুসলিমা বেগম জানান, আগে বাড়ির উঠানে সজিনা গাছ লাগানো হতো। এখন আবাদের জন্য জমিতে লাগানো হচ্ছে। গত বছর বাড়িতে খাবারের পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করেছি। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভালো সজিনা পাবো।

উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা প্রতাপ মন্ডল বলেন, আমরা জনগণকে সজিনার গাছ লাগানোর জন্য উৎসাহিত করছি। এবার উপজেলায় বর্তমানে দেশীয় জাতের ১৭ হাজার ৫০টির মতো সজিনা গাছ আছে। গত বছর ছিল ১৫ হাজারের মতো।

তিনি আরো জানান, যেসব এলাকায় সজিনার গাছ নেই সেসব এলাকায় কৃষকদের সজিনার গাছ লাগানোর জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সজিনার পুষ্টিগুণ অনেক। সরকারি জায়গায় সজিনার গাছ লাগানো হচ্ছে। আগামীতে সজিনার গাছ আরো বৃদ্ধি পাবে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

মনিরামপুর মহাসড়কে পথচারীদের জন্য শ্যামল ছায়া পরিবেশ

হেলাল উদ্দিন: নিজস্ব অর্থায়নে যশোর-চুকনগর মহাসড়কের দু’ধারে ফলজ, বনজ এবং ঔষাধি প্রজাতিরবিস্তারিত পড়ুন

বেনাপোল বন্দরে সাইবেরিয়ার ভিসা লাগানো ২০টি বাংলাদেশী পাসপোর্টসহ ভারতীয় ট্রাক চালক আটক

মোঃ ওসমান গনি, বেনাপোল (যশোর) : ভারত থেকে ট্রাক ড্রাইভারের মাধ্যেমে আসাবিস্তারিত পড়ুন

যশোরের শার্শা উপজেলায় আপ বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলায় আপ বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে।বিস্তারিত পড়ুন

  • বেনাপোল কাস্টমসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায়
  • জুলাই বিপ্লব উদযাপনে যবিপ্রবিতে র‌্যালি
  • যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের কার্নিশ ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ নিহ*ত ৩
  • এনবিআরের আন্দোলন প্রত্যাহার: কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে বেনাপোল বন্দরে
  • মনিরামপুরে মাটিচাপা দেয়া ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার
  • ভারতে যাওয়ার সময় নেত্রকোনার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বেনাপোলে আটক
  • বেনাপোলে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলের সন্ধান চান অসহায় পিতা
  • বেনাপোলে শুল্কফাঁকির চেষ্টায় দুই কোটি টাকার পণ্য চালান আটক
  • বেনাপোলে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হুমকি, প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • যশোরে ৫টি স্বর্ণের বারসহ পাচারকারী আট*ক
  • সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে যশোরের শার্শার বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জহির
  • মনিরামপুরে উপজেলা পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা