শ্যামনগরের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুন্নত শেখ আজও ধরাছোঁয়ার বাইরে


সাতক্ষীরার শ্যামনগরে একাধিক নাশকতা মামলার আসামি নব্য যুবলীগ কর্মী শেখ সুন্নত বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা, নারী নির্যাতন মামলা, শ্যামনগর প্রেসক্লাব ভাঙচুর মামলা, সাংবাদিক নির্যাতন, চিংড়ি ঘের দখল, সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
সুন্নত আলী শ্যামনগর সদরের সন্নিকটে নকিপুর মাজাট গ্রামের মৃত শেখ আব্দুল জলিল ওরফে সুন্দরী মিস্ত্রির ছেলে।
জানা গেছে, অশিক্ষিত সুন্নত শেখের উত্থান চারদলীয় জোট সরকার আমলে। সংসারের অভাব অনটনের কারণে সুন্নত নব্বইয়ের দশকে ভারতে পাড়ি জমায়। এক পর্যায়ে দ্বিতীয় মেয়াদে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে সে আবার শ্যামনগরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। শ্যামনগরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নিক্সন খানের ক্যাডার হিসেবে সুন্নত ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে তার গুরু নিক্সন খান ভোল পাল্টে আওয়ামীলীগ সেজে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ক্যান্টিনের দায়ীত্বে নিয়োজিত আছেন। এই নিক্সন চৌধুরীর পরামর্শে সুন্নত যুবলীগে অনুপ্রবেশ করে।
যুবলীগ নেতা হারুনার রশীদ জানান, সুন্নত একজন ভারতীয় নাগরিক। দীর্ঘদিন সে ভারতে বসবাস করত। লোকের মুখে শুনেছি সে নাকি পশ্চিমবাংলায় বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি করত। বর্তমানে তার নামে সাতক্ষীরার আদালতে এবং শ্যামনগর থানায় প্রায় দুই ডজন মামলা চলমান রয়েছে।
নুরনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সরদার সাইফুল্লাহ জানান, সন্ত্রাসী সুন্নত শেখের নামে একাধিক নাশকতা মামলা, নারী নির্যাতন মামলা,শ্যামনগর প্রেসক্লাব ভাঙচুর মামলা, সাংবাদিক নির্যাতন, চিংড়ি ঘের দখল, সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন সব মিলিয়ে ১৮ টি মামলা চলমান রয়েছে। এত বড় সন্ত্রাসী একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে গেলেও সবসময় রয়েছে ধরাছোঁয়ার
বাইরে। তার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়, পুলিশ মহা-পরিদর্শকসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) সজিব খান জানান, বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত করা হবে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
