জেলে বসে ধর্ষণ মামলার আসামি পেলেন নৌকার মনোনয়ন
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মীর লিয়াকত আলী। ২০১৭ সালে সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর লিয়াকত আলীর খাসকামরায়বোলতলী স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষিত হয়। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়।
এ ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে ২০১৯ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ওই ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত চেয়ারম্যান মীর লিয়াকত আলীকে জেলহাজতে পাঠান। বর্তমানে তিনি জেলেই রয়েছেন। এ খবর স্বাভাবিক আর সেই সঙ্গে পুরানো।
তবে নতু আর অবাক করে দেওয়ার খবর হলো জেলে বসে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন ধর্ষণ মামলার মীর লিয়াকত আলী। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত যেসব প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে তার মধ্যে তিনি রয়েছেন।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. লুত্ফর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মীর লিয়াকত আলী সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়নটির আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। তিনি বর্তমানে জেলে আছেন বলে আমরা অবগত আছি। তার পক্ষে তার ছেলে চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আবেদন জমা দেন। আমরা অন্যদের সঙ্গে তার নামের তালিকাটিও কেন্দ্রে পাঠাই এবং সেখানেও আমরা উল্লেখ করে দিই যে তিনি বর্তমানে জেলে আছেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ তাকে কোলা ইউনিয়নে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে নাম ঘোষণা করেছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার আবুল বাশার জানান, তিনি (লিয়াকত) ধর্ষণ মামলায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কিছুদিন ছিলেন। বর্তমানে তিনি জেলে আছেন, না জামিনে রয়েছেন তা তার জানা নেই।
লিয়াকত আলীর ছোট ভাই মীর জুয়েল জানান, তার বড় ভাই লিয়াকত কিছুদিন ধরে অসুস্থ। বর্তমানে তিনি বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি কথা বলতে পারছেন না। তার ফোন বন্ধ। সুস্থ হয়ে শিগগিরই তিনি এলাকায় ফিরবেন।
তথ্যসূত্র: বিডি-প্রতিদিন
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)