নাটকীয় ফাইনালে ভারতের শিরোপা জয়
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নতুন চ্যাম্পিয়ন নাকি প্রথম শিরোপা জয়ীকে বরণ? এই প্রশ্ন নিয়ে বার্বাডোজের শুরু হয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল। দুই দলই অপরাজিতভাবে জায়গা করে নেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে।
এ দিক থেকে আসরের সেরা দুই দলের লড়াই ছিল এটি। মাঠের লড়াইয়েও তা প্রমাণ করেছে দুদল।
দুই সেরার লড়াইয়ে জয়ী ভারত। নাটকীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে রোহিত শর্মার দল।
এতে ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ভারত। আর ১৩ বছর পর জিতল আইসিসির বৈশ্বিক আসরের ট্রফি। টস জিতে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৭৬ রান করে ভারত। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ উইকেটে ১৬৯ রান করে।
কোহলির তাণ্ডবে ইয়ানসেনের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড
এর আগে ঘরের মাঠে ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল ভারত। কিছুটা হলেও সেই হারের কষ্ট লাঘব হয়েছে ভারতীয়দের।
৬ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। হার্দিক পান্ডিয়ার করা ২০তম ওভারের প্রথম বল ছিল ফুলটস। মিড অফের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন ডেভিড মিলার। হয়ত ছক্কা পেতেন। কিন্তু সীমানার ওপর অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ ধরেন সূর্যকুমার যাদব।
ভারতের বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্যাচ। এই ক্যাচেই ম্যাচের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বকাপও জিতেছে ভারত। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে অক্ষর প্যাটেলের করা ১৫ ওভারে ২৪ রান তোলেন হাইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার।
সমীকরণ চলে আসে ৩০ বলে ৩০ রান। হাতে ৬ উইকেট। দুর্দান্ত ব্যাটিং অর্ধশতক তুলে নিয়েছিলেন ক্লাসেন। পান্ডিয়ার করা ১৬তম ওভারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ২৭ বলে ৫২ রান করা ক্লাসেন।
এরপর বুমরার ওভারে ২ আর অর্শদীপের ওভারে ৪ আসলে শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন পরে ১৬ রান। প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলতে এসে শিরোপার খুব কাছে চলে এসেছিল প্রোটিয়ারা।
তবে চাপ সামলে ফাইনাল জিতে নিল ভারত। অন্যদিকে হাতের মুঠোয় আসা ফাইনালটি হেরে এক অর্থে ট্রফিটি ফেলে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পেল অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন।
এর আগে ৭ ম্যাচে ৭৫ বলে ৭৫ রান করেছিলেন বিরাট কোহলি। এ ম্যাচে খেললেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। মার্কো ইয়ানসেনকে ৩ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জানান দেন দিনটি তার। এরপর ৪৮ বলে ক্যারিয়ারের ৩৮ অর্ধশতক করার পর হাত খুলে মারেন তিনি।
দলীয় ৩৪ রানে তিন উইকেট হারানোর পর অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে ৫৪ বলে ৭২ রানের জুটি গড়েন ডানহাতি এ ব্যাটার। ৩১ বলে ৪৭ রান করে আউট হন অক্ষর। ৫৯ বলে ৭৬ রানে আউট হন কোহলি। ৬ বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কা হাঁকান কোহলি। শেষ দিকে শিভম দুবে ১৬ বরে করেন ২৭ রান।
ফাইনাল সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে অবসরের ঘোষণা দেন কোহলি। জানান এটি তার শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)