বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

শুরু হচ্ছে বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা কার্যক্রম, রেজিস্ট্রেশন করবেন যেভাবে

দেশের প্রায় ৫ কোটি শিশু-কিশোরকে টাইফয়েডের টিকা দেবে সরকার। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সীরা (১৪ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়স পর্যন্ত) নিতে পারবেন এই টিকা। আগামী ১ সেপ্টেম্বর টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। প্রথম ১০ দিন শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ স্কুলে এই টিকা দেওয়া হবে।

এদিকে, স্কুলে শিক্ষার্থীদের টিকা নিতে আগেই করতে হবে রেজিস্ট্রেশন। গত ১ আগস্ট থেকে অনলাইনে এ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও পৃথকভাবে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষার্থীদের এ টিকা নিতে রেজিস্ট্রেশনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রেজিস্ট্রেশন করা যাবে যেভাবে
টাইফয়েডের টিকা নিতে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নির্ধারিত তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
অনলাইন নিবন্ধনের জন্য https://vaxepi.gov.bd/registration এই সাইটে গিয়ে জন্ম নিবন্ধন নম্বর বা মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে নিবন্ধন করা যাবে। জন্ম নিবন্ধন থাকলে ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোডও করা যাবে।

রেজিস্ট্রেশনের জন্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে প্রথমে জন্মতারিখ দিতে হবে। দিন, মাস ও বছরের ঘর পূরণ করতে হবে। এরপর প্রয়োজন হবে ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন সনদ। জন্ম নিবন্ধন সনদের নম্বর ইংরেজিতে লিখতে হবে। কারও জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকলেও বাবা-মায়ের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেও নিবন্ধন করা যাবে। এরপর নারী না পুরুষ ঘরটি পূরণ করতে হবে। তারপর একটি ক্যাপচা কোড পূরণের মাধ্যমে আবেদনকারীর সব তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে পরের ধাপে যাওয়া যাবে।

পরের ধাপে গিয়ে আবেদনকারী মা-বাবার মোবাইল নম্বর, ই-মেইল, পাসপোর্ট নম্বর, বর্তমান ঠিকানা না দিতে চাইলেও সাবমিট করা যাবে। ‘সাবমিট’ করার পর মোবাইল ফোনে আসা একটি ‘ওটিপি’ দেওয়ার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষ হবে।

দ্বিতীয় ধাপে টাইফয়েড অথবা মেনিনজাইটিসের মধ্য থেকে একটি বাছাই করতে হবে। টাইফয়েড অংশে ক্লিক করলে দুটি অপশন আসবে- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত নবম শ্রেণি ও সমমান পর্যন্ত সব শিক্ষার্থী অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানবহির্ভূত ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশু।

এখান থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অপশনে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, পুরো ঠিকানা, কোন শ্রেণিতে অধ্যয়নরত তা পূরণ করতে হবে। এরপর সাবমিট করলে টিকাদান কেন্দ্রের তথ্য আসবে। যে স্কুলে শিক্ষার্থী টিকা নিতে চায়, সেটা সিলেক্ট করতে হবে।

তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানবহির্ভূত অপশনে গেলেও নিকটস্থ টিকাদানকেন্দ্র বাছাই করে নিতে হবে। এরপর ‘সাবমিট’ করতে হবে। সাবমিট করার পর ভ্যাকসিন কার্ড আসবে। সেখানে ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করতে হবে। এ কার্ড নিয়ে নির্ধারিত দিনে টিকাদানকেন্দ্রে যেতে হবে।

টিকা দেওয়ার পর অনলাইনেই পাওয়া যাবে টাইফয়েড ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট। এটি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সংগ্রহে রাখতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকলে করণীয়
যেসব শিশু-কিশোরের জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই, তারাও টিকা নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাদের বাবা-মায়ের মোবাইল নম্বর দিতে হবে বলে জানান টিকাদান কর্মসূচির ব্যবস্থাপক ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান। তিনি বলেন, যাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই, তারাও টিকা নিতে পারবে। এক্ষেত্রে বাবা-মায়ের মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। তাদের ভ্যাকসিন গ্রহণের তথ্য কাগজে লিখে দেওয়া হবে।

দুই ধাপে দেওয়া হবে টাইফয়েডের টিকা
টিকাদান কর্মসূচির ব্যবস্থাপক ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, টাইফয়েডের এ টিকা দুই ধাপে দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে সেপ্টেম্বরের প্রথম ১০ দিন বিদ্যালয়ভিত্তিক ক্যাম্পে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। এ ধাপে যারা বাদ পড়বেন, তারা দ্বিতীয় ধাপের ৮ দিনে ইপিআইয়ের কেন্দ্রগুলোতে টিকা নিতে পারবেন।

তিনি বলেন, এক ডোজের ইনজেকশনে টিকা দেওয়া হবে। এ টিকা তিন থেকে সাত বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স টাইফয়েডের টিকা সরবরাহ করেছে। টিকাগুলো কেনা হয়েছে ভারত থেকে। এরইমধ্যে সব টিকা চলে এসেছে।

টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, শতভাগ পরীক্ষিত
টাইফয়েডের এ টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না, কিংবা টিকা দেওয়ার আগে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ হবে কি না, সে বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল ফজল বলেন, টিকাগুলো ক্রয় করে গ্যাভি। তারা তাদের সুবিধামতো দেশ থেকে এটা কিনে দেয়। টিকাগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী তৈরি করা।

তিনি বলেন, এটা শতভাগ পরীক্ষিত টিকা। আমাদের উপমহাদেশের নেপাল, পাকিস্তান ছাড়া আরও কয়েকটি দেশে এ টিকাদান শুরু হয়েছে।

টাইফয়েড কীভাবে ছড়ায়, উপসর্গ কী
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, টাইফয়েড জ্বর হলো স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি সিস্টেমিক সংক্রমণ, যা সাধারণত দূষিত খাদ্য বা পানি গ্রহণের মাধ্যমে হয়ে থাকে।

এ রোগের উপসর্গ হলো- দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, বমিভাব, ক্ষুধামন্দা। কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য, আবার কখনো ডায়রিয়াও হতে পারে। উপসর্গগুলো প্রায়ই অস্পষ্ট থাকে। অনেক ক্ষেত্রে অন্যান্য জ্বরজনিত রোগ থেকে আলাদা করা কঠিন হয়।

রোগের তীব্রতা ভিন্ন হতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে কিংবা মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। টাইফয়েড মূলত এমন অঞ্চলে বেশি হয়, যেখানে স্যানিটেশন ব্যবস্থা দুর্বল এবং নিরাপদ পানির অভাব রয়েছে।

ডব্লিউএইচওর তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর আনুমানিক ৯০ লাখ মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়। তাদের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

একই রকম সংবাদ সমূহ

বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবো : ছাত্রদলের আবিদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে ছাত্রদল সমর্থিতবিস্তারিত পড়ুন

ডাকসু নির্বাচনে হেরেও প্রশংসায় ভাসছেন ছাত্রদল নেতা হামিম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিস্তারিত পড়ুন

জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভা অনুষ্ঠিত

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় অনুষ্ঠিতবিস্তারিত পড়ুন

  • নির্বাচনে সিসিটিভি ও বডিওর্ন ক্যামেরার বিষয়ে ‘করণীয় কিছু’ নেই: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসি
  • আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ
  • ডাকসু নির্বাচন : বিজয়ীদের অভিনন্দন বিএনপির
  • ১০ ভোটও পাননি ২১ ভিপি প্রার্থী, যে যত ভোট পেলেন
  • ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে ১, ২ ও ৩টি করে ভোট পেলেন যারা
  • স্ত্রীর চিকিৎসায় সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা ফখরুল
  • ডাকসু নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা
  • ঢাবির ইতিহাসে প্রথম ডাকসু নির্বাচনে জয়ী স্বামী-স্ত্রী
  • যে মতেরই হোক না, সবাই একসঙ্গে কাজ করবো: সাদিক কায়েম
  • ডাকসু নির্বাচনে কে কোন পদে জয়ী হলেন
  • ডাকসু নির্বাচনে সাদিক ভিপি, ফরহাদ জিএস, মহিউদ্দীন এজিএস নির্বাচিত
  • ডাকসু নির্বাচনে জয়ের পথে শিবিরের সাদিক কায়েম ও ফরহাদ