রবিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সরকারের নির্দেশে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করছে, একসঙ্গে কাজ করছে: সেনাসদর

সরকার এবং সেনাবাহিনী খুব সুন্দরভাবে ওতপ্রোতভাবে একে অপরের সম্পূরক হিসেবে কাজ করছে। করিডোর ইস্যুতে সরকার ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছে সেনাসদর।

সোমবার (২৬ মে) সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্সের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উল-দৌলা।

করিডোরের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা এবং এ বিষয়ে সেনাবাহিনী কী ভাবছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, করিডোরের বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি প্রশ্ন। এটা আমাদের দেশ আমাদের সবার দেশ। এই দেশের সার্থ এবং সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আমরা সবাই জড়িত। এ দেশকে ভালো রাখতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। সুতরাং আমি মনে করি না যে, এ বিষয়টি এমন একটি পর্যায়ে গেছে যেভাবে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সরকার এবং সেনাবাহিনী খুব সুন্দরভাবে ওতপ্রোতভাবে একে অপরের সম্পূরক হিসেবে কাজ করছে। আমরা প্রতিনিয়ত সরকারের সাথে কাজ করছি এবং সরকারের নির্দেশে দায়িত্ব পালন করছি। সরকার এবং সেনাবাহিনী খুব সুন্দরভাবে একে অপরের সহযোগিতায় কাজ করছে। করিডোরের সঙ্গে বর্ডারে আরসার মুভমেন্টের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এ দুটি বিষয় আলাদা। সরকার ও সেনাবাহিনী ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা করছে এরকম যেন আমরা না ভাবি। সরকার ও সেনাবাহিনী একই সঙ্গে কাজ করছে, ভবিষ্যতেও আমরা আরও সুন্দরভাবে কাজ করে যাব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

চট্টগ্রামের একটি কারখানায় সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফের ৩০ হাজার পোশাক পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উল-দৌলা বলেন, কেএনএফ মূলত বম কমিউনিটি ভিত্তিক সংগঠন। পোশাক পাওয়ার সংবাদটি একটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ। এ সংগঠনটির অস্ত্রের ব্যবহার আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামে দেখছি। তাদের আক্রমণে আমাদের কয়েকজন সেনাসদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন এবং আহত হয়েছেন। সেই প্রেক্ষাপটে নিশ্চয়ই এটা ভালো কোনো খবর নয়। ৩০ হাজার ইউনিফর্ম পাওয়ার ছবি দেখার পর আমরা সঙ্গে সঙ্গে কথা বলেছি- এটা আসলে ব্যাপারটা কি এ বিষয়ে আমাদের জানতে হবে।

তিনি বলেন, এ পোশাক কাদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল সেটা আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এটা নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ চলছে। এই সংগঠনের সঙ্গে অন্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। কিন্তু বম কমিউনিটির জনসংখ্যা মাত্র ১২ হাজার। সুতরাং এই ৩০ হাজার ইউনিফর্ম কেএনফের জন্য ছিল কিনা সেটা খুঁজে দেখার সুযোগ আছে। এ বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে নিয়েছি। বিষয়টি দেশের নিরাপত্তার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিষয়টিকে আমরা হালকাভাবে নেইনি নিশ্চিত করে বলতে পারি। এ ব্যাপারে যতটুকু ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমাদের দায়িত্বের মধ্যে যেটা পড়ে সেটা আমরা করব।

বাংলাদেশ একটা ছায়া যুদ্ধের মধ্যে আছে সেটা বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হচ্ছে। আরসা বাংলাদেশের লোকজনকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশে ঢুকে তারা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অনেক সময় বিভিন্ন মাধ্যমে খবর আসছে তাদের কাছে ভারি ভারি অস্ত্র আছে, তাদের কাছে এ অস্ত্র কোথায় থেকে আসছে। এসব বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আসলে বর্ডার কি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে নাকি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি যদি এক লাইনে উত্তর দিতে চাই অবশ্যই আমরা বর্ডার কম্প্রোমাইজ করিনি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের গায়ে বিন্দুমাত্র শক্তি থাকবে আমরা কখনোই বর্ডার কম্প্রোমাইজ করব না। এটা আমাদের দেশ আর দেশকে আমরা যে কোনো মূল্যে রক্ষা করব।

তিনি বলেন, এটা আপনার দেশ, এটা আমাদের দেশ। কোনো একটা সম্প্রদায়ের মাধ্যমে এ দেশের সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট হতে পারে সেটা কখনোই হবে না‌। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার বর্ডার অত্যন্ত জটিল একটি পরিস্থিতির মুখে আছে। মিয়ানমারের সরকারের অস্তিত্ব বিলীনের মুখে। আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যটিকে প্রায় দখল করে নিয়েছে। তাদের দখলে রাখাইন রাজ্যের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ রয়েছে। আরাকান আর্মি কোনো অথরাইজ সংগঠন নয়। এ জায়গাটাতে না আছে কোনো সরকারের অস্তিত্ব, না আছে আরাকান আর্মিকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি।

এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বর্ডারে যে পরিস্থিতি যে কোনো সময়ের তুলনায় সংবেদনশীল। সেক্ষেত্রে এই সময়ে ওই এলাকায় কিছু সশস্ত্র গ্রুপের মুভমেন্ট করাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তার মানে এই নয় যে, এটাকে আমরা স্বীকৃতি দেব বা দেখেও না দেখার ভান করব। এ ধরনের ঘোলাটে পরিস্থিতিতে এ ধরনের মুভমেন্ট হতে পারে, কিন্তু আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই- বিজিবি প্রাথমিকভাবে ডিফারেন্টলি সাপোর্টেড বাই আর্মি- আমরা এই বর্ডারে প্রচণ্ডভাবে নজরদারি রাখছি। এখানে যেন সার্বভৌমত্ব বিঘ্নিত হতে না পারে এমন পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে আমরা ওয়াকিবহাল আছি। তবে অবশ্যই এই মুভমেন্টটি উদ্বেগের বিষয় এবং কাঙ্ক্ষিত নয়।

তথ্যসূত্র: কালবেলা

একই রকম সংবাদ সমূহ

আগামী ৫ মাসে অনেক কিছুই ঘটবে, যা আমরা কল্পনাও করতে পারছি না: মান্না

আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা থাকলেও তা কেটে গিয়ে নির্বাচন হবে বলেবিস্তারিত পড়ুন

হাজার কোটি টাকার মালিকেরা এখন দৌড়ে বেড়াচ্ছেন: অর্থ উপদেষ্টা

হাজার কোটি টাকার মালিকেরা এখন দৌড়ে বেড়াচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টাবিস্তারিত পড়ুন

৭৭টি অতি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ২৪টি : প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ৭৭টি অতি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মধ্যেবিস্তারিত পড়ুন

  • ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডকে বিশ্বমানের প্রতীক করতে চায় সরকার : শিল্প উপদেষ্টা
  • অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার দায় নিতে হচ্ছে এনসিপিকে: হাসনাত আবদুল্লাহ
  • বাহানা দিয়ে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছেন কেন : সালাহউদ্দিনের প্রশ্ন
  • ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
  • দুর্গাপূজাকে ঘিরে পার্শ্ববর্তী দেশ মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ‘বাংলাদেশ-চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে’
  • ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যগ্রহণ : শেখ হাসিনাসহ দায়ীদের কঠোর শাস্তি চাইলেন নাহিদ
  • ইসলামী দলগুলোর কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় : মির্জা ফখরুল
  • নির্বাচনী দায়িত্বে অবহেলা ও অপরাধের সাজা বাড়ছে
  • যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আরো গভীর করতে চান প্রধান উপদেষ্টা
  • ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে ‘মহোৎসবের নির্বাচন’: প্রধান উপদেষ্টা
  • ১২ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন