অস্ত্রের মুখে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ; গ্রেফতার প্রধান হোতা


বাগেরহাটে কচুয়া উপজেলায় ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) অস্ত্রের মুখে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান হোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার গভীর পাশ্ববর্তী শাকারীকাঠি গ্রাম থেকে তাকে কচুয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।
এদিকে, দলবদ্ধ ধর্ষণে গুরুতর অসুস্থ ওই ছাত্রীকে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বাঁধাল ইউনিয়নের কলমিবুনিয়া গ্রামে এই দলবদ্ধ এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
বাঁধাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নকিব ফয়সাল অহিদ ও ভিকটিমের বাবা জানান, বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে স্থানীয় চার বখাটে বৃহস্পতিবার রাতে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে ওই ছাত্রীকে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রী জানায়, বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাবা-মা তার বড় বোনের বাড়ি বেড়াতে যায়। সেই সুযোগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোরপূর্বক ঘরে ঢোকে গলায় ছুরি ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে স্থানীয় এজাজুল মোল্লা, সোহেল শেখ, টিপু শেখ ও সজিব মোল্লা আমাকে ধর্ষণ করে। তাদের নির্যাতনে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
এলাকার এসব বখাটেরা স্থানীয় অনেক মেয়ের সাথে এর আগেও খারাপ ব্যবহার করেছে।
ভিকটিমের বাবা জানান, প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাড়িতে এসে মেয়ের কাছে বিষয়টি শুনে স্থানীয় জনপ্রনিধিদের সহযোগিতায় শুক্রবার রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসি। মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তির পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আছাদুজ্জামান খবর পেয়ে দেখতে এসে ধর্ষকদের গ্রেফতার ও নিরাত্তার আশ্বাস দিলে শনিবার দুপুরে আমি বাদী হয়ে কচুয়া থানায় মামলা করেছি। আমি মেয়ের ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, স্কুল ছাত্রীটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষণের ফলে সে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আছাদুজ্জামান বলেন, খবর শুনে শুক্রবার রাতে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর কাছ থেকে বিস্তারিত জেনেছি।
অভিভাবকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থাসহ ভয় না পেয়ে মামলা করতে ও মেয়েটির চিকিৎসা চালিয়ে যেতে বলেছি। মামলা দায়ের আগেই প্রযুক্তির সহায়তায় পার্শ্ববর্তী শাকারীকাঠি গ্রাম থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান হোতা ধর্ষক এজাজুল মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে কচুয়া থানায় মামলা করেছে। অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
