বুধবার, আগস্ট ২০, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

একই রানওয়েতে সামরিক ও বেসামরিক ফ্লাইট, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি মাত্র রানওয়েতেই ওঠানামা করে সামরিক ও বেসামরিক বিমান। বিষয়টি আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলেও, স্থানের অভাব ও আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে এই ব্যবস্থাই চালু রয়েছে বহু বছর ধরে।

এদিকে, বিমানবন্দর ঘিরে গড়ে ওঠা আবাসিক এলাকা, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা জননিরাপত্তাকে প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে ফেলছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা থেকে বিমানবন্দর স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত বহু আগেই নেওয়া উচিত ছিল। অন্তত সামরিক ফ্লাইট কার্যক্রম অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে এখনই চিন্তা করা দরকার।

সোমবার (২১ জুলাই) উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনার পর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

কালের পরিক্রমায় ঢাকার এই বিমানবন্দর এখন অভিজাত আবাসিক এলাকা ও শিল্পাঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এর আশপাশে একের পর এক গজিয়ে উঠেছে উঁচু আবাসিক ভবন ও বাণিজ্যিক স্থাপনা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাস্তবতা মেনে নিয়েছে বটে, তবে নিরাপত্তার প্রশ্নে বিষয়টি অগ্রাহ্য করা যাচ্ছে না।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘এমন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যদি কোনো যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়, তাহলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’

অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমডোর ইশফাক এলাহী চৌধুরী বলেন, ‘এত ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালনার পাশাপাশি সেখানে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর মূল বেইসও পরিচালিত হচ্ছে, যা এক অনিরাপদ পরিস্থিতি তৈরি করছে। ২০ বছর আগেই বিমানবন্দর আরিয়াল বিল এলাকায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু স্থানীয় রাজনৈতিক চাপে তা বাস্তবায়ন হয়নি।’

বর্তমানে শাহজালালে একটি মাত্র রানওয়েতে উঠানামা করছে বেসামরিক ও সামরিক উভয় ধরনের ফ্লাইট। এরই পাশাপাশি উত্তর পাশ দিয়ে উড়ছে হেলিকপ্টার।

সাবেক সেনা পাইলট কর্নেল মো. সোহেল রানা বলেন, ‘সিভিল এভিয়েশনের নিয়ম অনুযায়ী সামরিক ও বেসামরিক বিমান একসঙ্গে একটি রানওয়ে ব্যবহার করতে পারে না। কিন্তু আমাদের দেশে জায়গা ও অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে বাধ্য হয়ে একই জায়গা থেকে উড্ডয়ন করতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি স্থানান্তরের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন। তাই তা সহজ নয়।’

বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্য বিমানবন্দরগুলো—বিশেষত চট্টগ্রাম বিমানবন্দর, যা সমুদ্রের কাছাকাছি এবং অতটা ঘনবসতিপূর্ণ নয়—সামরিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বিকল্প হতে পারে।

পাইলটরা জানান, শুধু নিরাপত্তা নয়, একই রানওয়ে ব্যবহারের কারণে ফ্লাইট শিডিউলও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। টেক-অফের জন্য ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের, যার ফলে বিমানেই ভোগান্তি বাড়ছে।
সূত্র: ইত্তেফাক

একই রকম সংবাদ সমূহ

থাকছে না নিবন্ধন পরীক্ষা, নতুন পদ্ধতিতে নিয়োগ দেবে এনটিআরসিএ

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন আসছে। আর থাকছে না নিবন্ধনবিস্তারিত পড়ুন

সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা

সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের বিপুল সম্ভাবনা আছে। কিন্তু আমরা তা এখনো পুরোপুরি আহরণবিস্তারিত পড়ুন

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রথম নারী সচিব রেহানা পারভীন

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নতুন সচিব নিয়োগ পেয়েছেন জাতীয়বিস্তারিত পড়ুন

  • ৩ শর্তে পিতৃত্বকালীন ছুটি দেয়া যেতে পারে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
  • যারা পিআর দাবি করে তাদের উদ্দেশ্য সন্দেহজনক: রিজভী
  • ডিবি হারুনসহ ১৮ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত
  • জাতীয় পার্টি জিন্দা লা/শ: শেখ হাসিনা
  • চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ: ইসি সচিব
  • যিনি সম্মানের যোগ্য, তাকে সেই সম্মান দিতে হবে : জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে মাহফুজ
  • এবার সামনে এলো হাসিনা ও ইনুর চাঞ্চল্যকর অডিও রেকর্ড
  • জুলাই সনদ: ফিরছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, আইনসভা ২ কক্ষের, প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রধান নয়
  • ‘না ভোট’ রাখার প্রস্তাব দেয়নি বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
  • প্রবাসীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • প্রধান উপদেষ্টা ক্লিয়ার করেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই : রিজওয়ানা
  • রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই: রিজওয়ানা