মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

একই রানওয়েতে সামরিক ও বেসামরিক ফ্লাইট, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি মাত্র রানওয়েতেই ওঠানামা করে সামরিক ও বেসামরিক বিমান। বিষয়টি আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলেও, স্থানের অভাব ও আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে এই ব্যবস্থাই চালু রয়েছে বহু বছর ধরে।

এদিকে, বিমানবন্দর ঘিরে গড়ে ওঠা আবাসিক এলাকা, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা জননিরাপত্তাকে প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে ফেলছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা থেকে বিমানবন্দর স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত বহু আগেই নেওয়া উচিত ছিল। অন্তত সামরিক ফ্লাইট কার্যক্রম অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে এখনই চিন্তা করা দরকার।

সোমবার (২১ জুলাই) উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনার পর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

কালের পরিক্রমায় ঢাকার এই বিমানবন্দর এখন অভিজাত আবাসিক এলাকা ও শিল্পাঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এর আশপাশে একের পর এক গজিয়ে উঠেছে উঁচু আবাসিক ভবন ও বাণিজ্যিক স্থাপনা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাস্তবতা মেনে নিয়েছে বটে, তবে নিরাপত্তার প্রশ্নে বিষয়টি অগ্রাহ্য করা যাচ্ছে না।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘এমন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যদি কোনো যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়, তাহলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’

অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমডোর ইশফাক এলাহী চৌধুরী বলেন, ‘এত ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালনার পাশাপাশি সেখানে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর মূল বেইসও পরিচালিত হচ্ছে, যা এক অনিরাপদ পরিস্থিতি তৈরি করছে। ২০ বছর আগেই বিমানবন্দর আরিয়াল বিল এলাকায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু স্থানীয় রাজনৈতিক চাপে তা বাস্তবায়ন হয়নি।’

বর্তমানে শাহজালালে একটি মাত্র রানওয়েতে উঠানামা করছে বেসামরিক ও সামরিক উভয় ধরনের ফ্লাইট। এরই পাশাপাশি উত্তর পাশ দিয়ে উড়ছে হেলিকপ্টার।

সাবেক সেনা পাইলট কর্নেল মো. সোহেল রানা বলেন, ‘সিভিল এভিয়েশনের নিয়ম অনুযায়ী সামরিক ও বেসামরিক বিমান একসঙ্গে একটি রানওয়ে ব্যবহার করতে পারে না। কিন্তু আমাদের দেশে জায়গা ও অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে বাধ্য হয়ে একই জায়গা থেকে উড্ডয়ন করতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি স্থানান্তরের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন। তাই তা সহজ নয়।’

বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্য বিমানবন্দরগুলো—বিশেষত চট্টগ্রাম বিমানবন্দর, যা সমুদ্রের কাছাকাছি এবং অতটা ঘনবসতিপূর্ণ নয়—সামরিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বিকল্প হতে পারে।

পাইলটরা জানান, শুধু নিরাপত্তা নয়, একই রানওয়ে ব্যবহারের কারণে ফ্লাইট শিডিউলও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। টেক-অফের জন্য ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের, যার ফলে বিমানেই ভোগান্তি বাড়ছে।
সূত্র: ইত্তেফাক

একই রকম সংবাদ সমূহ

‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রত্যেকটি নেতাকর্মী অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করবে’ : তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, যেকোনো মূল্যে যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের প্রিয়বিস্তারিত পড়ুন

দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা হুমকি নেই, সন্ধ্যার আগেই প্রতিমা বিসর্জন : : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দুর্গাপূজায় সন্ধ্যা ৭টার আগেই প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রবিস্তারিত পড়ুন

নির্বাচন নিয়ে সেনাবাহিনী প্রস্তুত, ইসির নির্দেশনার অপেক্ষা

সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘আগামীবিস্তারিত পড়ুন

  • শেখ হাসিনা সরণিসহ ৬ স্থাপনার নাম পরিবর্তন
  • খালেদা জিয়ার নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি, সিআইডির মামলা
  • ডাকসু নির্বাচন : ভিপি প্রার্থী শামীমকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য ইলিয়াসের
  • পুলিশের ৫৯ কর্মকর্তা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
  • ঘুম থেকে উঠে দেখি ফেসবুক আইডি উধাও: ভিপি পদপ্রার্থী আবিদুল
  • নির্বাচনকালে তথ্যে প্রবাহে গণমাধ্যমকে বাধা দেয়া হবে না: মাহফুজ আলম
  • পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব
  • প্রাথমিকের ছুটি কমছে, সাপ্তাহিক ছুটি থাকছে দুদিন
  • নেতাদের তেল দিয়েন না: পুলিশের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ভোটের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে: ইসি আনোয়ারুল ইসলাম
  • ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুদকের অভিযান
  • আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা