কবর দেয়ার ২১ বছর পরও লাশ অক্ষত!


কবর দেয়ার ২১ বছর পরও লাশ অক্ষত!
ঝালকাঠির বৈদারাপুর গ্রামে দাফন করার ২১ বছর পরও কবর থেকে অক্ষত অবস্থায় মোজাফ্ফর আলীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দলে দলে দূর-দূরান্ত থেকে নারী-পুরুষ মৃত দেহ দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় করছেন। মানুষ ছুটে যাচ্ছে বিষখালী নদীর পাড়ে। যেখানে মোজাফ্ফর আলীকে কবর দেয়া হয়েছিল।
ঝালকাঠির শহর থেকে ৭/৮ কিলোমিটার দূরে বিষখালী নদীর তীরের জনপদ চরকাঠি গ্রাম। এ গ্রামেই বসবাস করতেন মুজাফ্ফর আলী। বিষখালী নদীতে নৌকা চালিয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। মুজাফ্ফর আলী ২১ বছর আগে মারা যান। তাদের পারিবারিক কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়। বিষখালীর ভাঙ্গনে অনেক বসত ভিটা চলে যায় নদীর গর্ভে। রয়েছে গেছে মুজাফ্ফর আলীর কবর স্থান।
মুজাফ্ফর আলী তিন পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের পিতা। তার মেঝ সন্তান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। বর্তমানে কুয়েত মিশনে রয়েছেন।
জানা যায়, তার মেঝ সন্তান একদিন রাতে স্বপ্ন দেখেন তার মরহুম পিতা তাকে বলছেন, কবরে তিনি অক্ষত অবস্থায় আছেন। তারপর তিনি এই বিষয়টি বড় ভাইকে জানান।
তার বড় ছেলে আবুল বাসার বলেন, মাও তিন মাস আগে মারা যান। পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাবা‘র কবর হস্তান্তর করার জন্য মঙ্গলবার দুপুরে কবর খুঁড়তে যাই। করব খুঁড়ে দেখি দাফনের কাপড় যেমন ছিলো সেই ভাবেই আছে। তার দেহ অক্ষত আছে। আমরা পুনরায় বাবার লাশ মায়ের কবরের পাশে দাফন করেছি।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
