শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

করোনা আর বন্যায় ভাইসা গেছে ঈদের আনন্দ

আমাগো ঈদের আনন্দ করোনা রোগ আর বন্যার পানিতে ভাইসা গেছে। কোরবানির ঈদে এক টুকরা মাংস তো দূরের কথা, একটু স্যামাইও জুটে নাই।’ কথাগুলো বলছিলেন, দিনমজুর নুরুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি ছিল ভূঞাপুর উপজেলার কোনাবাড়ি চরে। ১০ বছর আগে যমুনায় বাড়িঘর বিলীন হয়ে যায়। তারপর গোবিন্দাসি ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় সরকারি জায়গায় ঘর তুলে বসবাস শুরু করেন। নুরুলের সেই ঘরও এখন বন্যার পানিতে থইথই। তাই গোবিন্দাসি-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।

নুরুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় চার মাস আগে থেকে নিয়মিত কাজ পান না। সঞ্চয় যা ছিল, তা শেষ। এক মাস ধরে বন্যার কারণে এই সড়কের পাশে রয়েছেন। খুব কষ্টে দিন কাটছে তাঁদের। ঈদের আনন্দ বলে কিছু তাঁদের নেই।

শুধু নুরুল ইসলাম নন। তাঁর মতো পাঁচ শতাধিক বন্যাকবলিত মানুষের পরিবার আশ্রয় নিয়েছে গোবিন্দাসি-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কে। ১আগস্ট শনিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলো কেউ পলিথিন দিয়ে, কেউ টিন দিয়ে ডেরা বানিয়ে বসবাস করছেন। ঈদের আনন্দ নেই মানুষগুলোর মধ্যে।

সড়কের চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় আশ্রয় নেওয়া মামুন মিয়া বলেন, ‘এহানে যারা আছে তাগোরে কারও কোরবানি তো দূরের কথা, তিন বেল খাবার সামর্থ্যই নাই।’ কাইঞ্জা শেখ বলেন, এক মাস ধরে অভাব-অনটনে দিন কাটাতে হচ্ছে। তাদের মধ্যে ঈদের দিনেও কোনো আনন্দ নেই।

বিকেল চারটার দিকে সড়কটির কষ্টাপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পলিথিনের ডেরার ভেতর জহুরা বেগম নামের এক নারী রান্না করছেন। ঈদের দিন, মাংস রান্না করছেন কি না, জিজ্ঞাসা করতেই বললেন, ‘ডাইল-ভাত জুটে না, মাংস পামু কনে। গ্রামে থাকলে সমাজের মাংস কিছু পাওন যাইত।’ জহুরা বেগমের সঙ্গে কথা বলার সময় আশপাশের ডেরা থেকে লোকজন এসে ভিড় করতে থাকেন। তাঁরা ভেবেছিলেন, ত্রাণ দেওয়ার জন্য নাম লেখা হচ্ছে। তালিকায় নাম তুলতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠেন সবাই। আসলে তা নয়, বিষয়টি জানতে পেরে সবার মন খারাপ হয়ে যায়।

রেনু বেগম নামের এক নারী বলেন, দিনমজুর স্বামী ও দুই মেয়ে নিয়ে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এ সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে একবার ১০ কেজি চাল পেয়েছিলেন। এখন খেয়ে না-খেয়ে দিন কাটছে। তাই ঈদের দিনও তাঁদের কাছে অন্য দিনের মতোই অভাবের।

ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ সূত্র জানায়, এই সড়কটিতে গোবিন্দাসি ও নিকরাইল ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এরা বেশির ভাগই যমুনার ভাঙনে বাড়ি-ঘর ও জমি-জমা হারিয়েছেন। সব হারিয়ে কেউ সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় অথবা আশপাশের গ্রামে অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে থাকছে।

গোবিন্দাসি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন, সড়কে আশ্রয় নেওয়া বন্যাকবলিত লোকজনকে স্থানীয় সাংসদ ও ইউপির পক্ষ থেকে একাধিকবার ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।
সুত্র প্রথম আলো

একই রকম সংবাদ সমূহ

আইভী আটক, কারাগারে পাঠানোর আদেশ

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতিবিস্তারিত পড়ুন

আইভীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের গাড়িবহরে হামলা

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ারবিস্তারিত পড়ুন

যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নয়, নিষিদ্ধ করতে হবে আ.লীগকে: নাহিদ ইসলাম

আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছেবিস্তারিত পড়ুন

  • নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ
  • সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরো বাড়লো
  • এক কোটির অধিক নতুন সদস্য সংগ্রহে কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
  • আবদুল হামিদের দেশত্যাগ : তদন্ত কমিটি গঠন, এবার কিশোরগঞ্জের এসপি প্রত্যাহার
  • রবিঠাকুরের জন্মদিনে
  • আব্দুল হামিদের দেশত্যাগে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে না পারলে পদত্যাগ করবো : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসার বিষয়ে নিয়ে রিজভীর বক্তব্য
  • এই মাসেই বাংলাদেশর সঙ্গে ২৩টি মিটিং করেছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা: হাসনাত
  • শুরুতেই বে-টার্মিনালে দুই বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আসবে: আশিক চৌধুরী
  • মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী ৪৫০ জন বাংলাদেশি আটক
  • দেশের তাপমাত্রা উঠতে পারে ৩৯.৯ ডিগ্রি পর্যন্ত
  • বাবাকে হ*ত্যার পর ৯৯৯-এ কল দিয়ে দায় স্বীকার মেয়ের