আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা
কলারোয়ায় সম্পত্তি দখল পূর্বক ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রভাবশালী কর্তৃক জাল দলিল সৃষ্টি করে পৈত্রিক দখলীয় সম্পত্তি জবরদখল পূর্বক সেখানে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
সোমাবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন জেলার কলারোয়া উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত নেতাই চন্দ্র কুন্ডের ছেলে রঞ্জিত কুমার কুন্ড।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কলারোয়ার গোপিনাথপুর মৌজার বি,এস ৪৩৭ হতে ৬৫৪ সহ ৯টি খতিয়ানের মোট ৩৭ টি দাগে ১০.০০ একর সম্পত্তির মধ্যে এক একর জমির পৈত্রিক সূত্রে মালিক আমার জেঠা মশায় গৌরপদ কুন্ডর দুই ছেলে জয়দেব কুন্ড ও সুজয় কুন্ড। বর্তমান প্রিন্ট পর্চায় তাদের নামে রেকড হয়েছে। কিন্তু জয়দেবের ছেলে সুব্রত কুন্ড জাল কাগজ তৈরী করে ও দু’টি দেওয়ানি মামলার কথা গোপন রেখে ২০১১ সালে তাদের এক একরসহ ৩ একর ৫৬ শতক জমি জয়দেবের নামে নাম পত্তন করে। এই জমি নিয়ে জয়দেব ২০১২ সালে সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে দেং ২৪/১২ পার্টিশনার মামলা করলে বিচারক ১৩/১/১৯ তারিখে রায়ে খারিজ করে দেয় এবং আদালতে জাল কাগজপত্র দাখিল করায় জয়দেব ও সুব্রত কুন্ডের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার নির্দেশ দেন। পক্ষান্তরে একই আদালতে আমরা দেওয়ানী ৩৯/১৫ মামলা করলে আদালত ১৪/১০/১৫ তারিখে তপশীল সম্পত্তিতে নতুন কোন স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করে।
রঞ্জিত কুমার কুন্ড অভিযোগ করে বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে জয়দেব কুন্ডকে নামপত্তন করতে সহযোগিতা করায় নামমাত্র বা বিনা টাকায় ২১ শতক জমি লিখে নেয় উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক কাজী আসাদুজ্জামান শাহাজাদা, আমাজাদ হোসেন শাহিন ১০ শতক, আ’লীগ কর্মী মুরারীকাটির তৌহিদ শেখ ১৪, উজ্জল গাজী ৮ শতক, ঝিকরা গ্রামের শুকুর আলী ৪ শতক, আনারুল ৪ শতক, মুজিবর ৪ শতক, উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু ১৪ শতক, গোপিনাথপুর গ্রামের রবিউল ৬ শতক, জাফর পাটনি ১৪ শতক, দাউদ সরদার ৪ শতক, খোদাবক্স ৭ শতক ওতুলশিডাঙ্গও কুরবান আলী ৩২ শতক জমি কিনেছের বলে আমরা জানতে পেরেছি। সব মিলে আমার ভাইদের প্রায় ৪ কোটি টাকা মূল্যেও ৪ বিঘা জমি জবর দখল করেছে ঐ চক্রটি। বর্তমানে কাজী শাহাজাদা, অমজাদ হোসেন, তৌহিদ, জাফরসহ কয়েকজন আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ওই জমিতে পাকা স্থানা নির্মাণ শুরু করলে আমি বাধা দেই। এসময় জয়দেব কুন্ড তার গোয়াল ঘরে পরিকল্পিতভাবে অগুন দিয়ে আমাকেসহ ৬জনের নামে মিথ্যে ঘর জ্বালানো মামলা করে। পরবর্তীতে মামলাটির চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু ওই দাগে তিন শতক জমি কিনলেও ১৪ শতক জমি দখল নিয়ে পানের বরজ করেছেন। যুবলীগ নেতা কাজী শাহাজাদা আদালতের নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে বিলাস বহল ভবন নির্মান কাজ অব্যহত রেখেছেন। গত ১১ এপ্রিল মজিবর ওই জমিতে ভবন নির্মাণ শুরু করলে আমি থানায় অভিযোগ দিলে সে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। কিন্তু লাল্টুর সহযোগিতায় ১২ এপ্রিল মজিবর সহ অন্যরা ঘর বানানোর চেষ্টা চালায়। বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ অ্যাড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহকে জানলে তিনি পুলিশ সুপারকে বিষয়টি অবহিত করেন। সে অনুযায়ী আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও আমিনুল ইসলাম লাল্টুর কথামত কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় মুজিবর রহমান তপশীল জমির ৪ শতকের উপর টিনের ছাউনি দিয়ে ঘর নির্মাণ করে। আমার পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে তাদেরকে ধারালো অস্ত্রেও আঘাতে গুরুতর জখম করে। এঘটনায় আমার ভাই কলারোয়া থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ অদ্যবধি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
তিনি এবিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)