কেশবপুরে সরকারী কালভাট বন্ধ করে মাছের ঘের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ
কেশবপুর উপজেলার কলাগাছি টু কাটাখালী সড়কের আজির মোড়ে সরকারী কালভাট বন্ধ করে মাছের ঘের করেছে হাবিবুর রহমান নামে এক ঘের মালিক। যার ফলে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে ৩০ পরিবারে মারাতœক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বাড়ি ঘর পানিতে ডুবে যাওয়ায় অনেকে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। হাস, মুরগী, গরু, ছাগল নিয়ে তারা মহা বিপদে পড়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর-চেয়ারম্যানকে জানিয়েও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন জলাবদ্ধ পরিবারের ভুক্তভোগি জনগণ।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার কলাগাছি টু কাটাখালী সড়কের আজির মোড়ে আড়–য়া গ্রামের আব্দুল হামিদ মোল্যার ছেলে হাবিবুর রহমান এক বিঘা জমিতে একটি মাছের ঘের নির্মাণ করে। তার ঘের সংলগ্ন একটি সরকারী কালভার্ট রয়েছে। যে কালভার্ট দিয়ে ঐ এলাকার প্রায় ৩ শত পরিবারের পানি নিষ্কাশিত হয়। কিন্তু ঘের মালিক হাবিবুর রহমান চলতি বর্ষা মৌসুমে ঐ সরকারী কালভাটটি মাটি দিয়ে ভরাট করে বন্ধ করে দেয়। যার ফলে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে কালভার্ট সংলগ্ন আড়–য়া গ্রামের নাহিদ হাসান, রেজাউল করিম, আব্দুল গফুর, সাখাওয়াত বিশ^াস, আব্দুল ওহাব, আব্দুল মজিদ সরদার, এনামূল বিশ^াস, আব্দুল গণি, সিরাজুল ইসলামের বাড়ি সহ প্রায় ৩০ টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
পানিবন্দি পরিবার তাদের হাস, মুরগী, গরু, ছাগল নিয়ে তারা মহা বিপদে পড়েছে। এব্যাপারে পানিবন্দি রেজাউল করিম জানান, আমাদের ঘরে পানি, রান্না ঘরে পানি, আমাদের রান্না করে খাওয়ার কোন ব্যাবস্থা নেই। ইউপি সদস্য সেলিম মোল্যা ও ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমানকে বারবার জানেলেও তাঁরা কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করেনি। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারে সুদৃষ্টি কামনা করছি।
পানিবন্দি সৈয়দ নাহিদ হাসান জানান, আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছি। অবিলম্বে সরকারী কালভার্টের মুখ খুলে দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা করার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
পানিবন্দি বৃদ্ধ ইউনুস আলী মোল্যা জানান, এখন যদি কেউ মৃত্যুবরণ করেন, তবে তাকে মাটি দেওয়ারও জয়গা নেই। তিনি অবিলম্বে সরকারী কালভার্টের মুখ খুলে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)