‘কোম্পানীগঞ্জের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বুধবার (১০ মার্চ) বিকেলে, নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় হুঁশিয়ার করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কোম্পানীগঞ্জে বিশৃঙ্খলার সাথে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের পরিচয় না দেখে আইনের আওতায় আনা হবে।
নিহত আলাউদ্দিন ও এর আগের ঘটনায় সাংবাদিক মোজাক্কিরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও তাদের পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাণঘাতি সংঘর্ষে একজন দলীয় কর্মী নিহতের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
এ ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতোমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশের আইজিপি, র্যাব এর ডিজি, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা হয়েছে। আইন সমানভাবে প্রযোজ্য, ইতিমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অভিযান চলছে।
শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনকে কারো অপকর্মের জন্য ম্লান হতে দিতে পারি না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দুঃখজনক ঘটনার বিচার কাজ তদন্ত করে রিপোর্ট গঠনের জন্য নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট এলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বেশ কিছুদিন থেকে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট এলাকায় জনজীবন অস্থিরতা বিরাজ করছিলো। সরকার এখন কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করছে, তাই আশা করা হচ্ছে শীঘ্রই জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে। ওবায়দুল কাদের কোম্পানীগঞ্জের জনগণকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় ধৈর্য ধারণ এবং সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে নাকি ৭ মার্চের আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় মিথ্যাচার করেছেন’, এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচার করেননি বরং জাতির সামনে ইতিহাসের প্রমাণিত সত্য তুলে ধরেছেন। বিএনপি কখনো সত্য শুনতে চায় না, তাই ঐতিহাসিক সত্য প্রকাশে বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে।
জিয়াউর রহমান নাকি ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হতো না, বিএনপি মহাসচিবের এমন অসত্য প্রলাপে ওবায়দুল কাদের বলেন তার এই বক্তব্যও স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির শামিল। এ ধরনের মিথ্যাচার বিএনপির রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বিএনপি জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রাণান্ত অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা আর ঘোষণা পাঠ করা এক কথা নয়। পাঠক কখনো ঘোষক হতে পারে না। জিয়াউর রহমান, বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণা পাঠকারীদের মধ্যে একজন। জিয়াউর রহমান দেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জনক।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)