ঘরে বসে করোনার টিকা নেয়ার ঘটনায় দুইজন রিমান্ডে
চট্টগ্রাম নগরীতে নিজের ঘরে বসে টিকা নেয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুইজনকে একদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে গত মঙ্গলবার খুলশী থানা পুলিশ তাদের প্রত্যেককে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলশী থানার ওসি মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, ঘরে বসে টিকা নেয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. হাসান ও মোবারক আলীকে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
খুলশী থানা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ‘এমডি হাসান’ নামে নিজ ফেসবুক আইডিতে টিকা গ্রহণের ছবি পোস্ট করে লেখেন ‘ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধু মো. মোবারক আলীকে কোভিড ভ্যাকসিন প্রদানে সহায়তা করার জন্য। আলহামদুল্লিাহ মর্ডানার প্রথম ডোজ সম্পন্ন।’
টিকা নিয়ে চরম ভোগান্তির মধ্যে ঘরে বসে টিকা দেয়ার এমন ছবি নিয়ে তাৎক্ষণিক তুমুল সমালোচনা শুরু হয় ফেসবুকে। এর প্রতিক্রিয়ায় রাতেই হাসানকে গ্রেপ্তার করে খুলশী থানা পুলিশ। এরপর সকালে টিকা সরবরাহে সহযোগিতাকারী মোবারক আলীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী বিষু দে’কে (৩৫) বরখাস্ত করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। তবে এ ঘটনায় এখনও তাকে আটক করেতে পারেনি পুলিশ। ওই স্বাস্থ্যকর্মী চুক্তিভিত্তিতে চসিকের মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতালে টেকনিশিয়ানের কাজ করতেন।
এছাড়া ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সেটি বের করতে এবং কিভাবে টিকা চুরি করে নিয়ে গিয়ে বাসায় গিয়ে দিল, এর সাথে আর কে কে জড়িত, তা জানতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
পাঁচ সদস্যের কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে। অন্য সদস্যরা হলেন- জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক ওয়াজেদ চৌধুরী, সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস।
এর আগে আলোচিত এই ঘটনায় চসিকের জোনাল মেডিকেল অফিসার ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোস্তফা হাকিম ডিগ্রি কলেজের স্বাস্থ্যকর্মী বিষু দে’কে ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় ব্যাংকার মোবারক আলী ও টিকা নেয়া হাসান ছাড়াও তাদের আরেক বন্ধু সাজ্জাতকেও আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে বিষু ও সাজ্জাত পলাতক রয়েছেন। মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৮০/৪০৬/৪২০/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, বিষু দে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সরকারঘোষিত কেন্দ্রে টিকা প্রদান না করে সে ও তার অন্যান্য অজ্ঞাত সহযোগীদের সহায়তায় ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য বিনামূল্যে প্রদানকৃত কোভিড ভ্যাকসিন চুরি ও আত্মসাৎপূর্বক বাসায় গিয়ে অর্থের বিনিময়ে প্রদান করেছিলেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)