বুধবার, জুন ৪, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

জাতীয় বাজেট ঘোষণা

জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অনিশ্চয়তায় এবং প্রশাসনিক স্থবিরতায় যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তার মধ্যেই আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন।

সংসদ কার্যকর না থাকায় রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যমে বাজেট বক্তব্য একযোগে প্রচার করা হয়েছে।

নতুন অর্থবছরের বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে প্রায় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিগত বছরগুলোতে প্রতিবার বাজেট দেয়া হতো জুনের প্রথম দিকে যে কোনো বৃহস্পতিবার। পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ৭ জুন। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগেই এবার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা। বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেল ৩টায়। বরাবরের মতো এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশ্ন করার সুযোগ পাবেন।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (০২ জুন) বিকেল ৩টায় নতুন অর্থবছরের এই বাজেট পেশ করেন তিনি।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক গতি ধরে রাখতে জ্বালানির পর্যাপ্ত এবং সাশ্রয়ী সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে আপাতত বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় এবং অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় সংসদ না থাকায় এবারের বাজেট রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বিভিন্ন বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে প্রচার করা হয়েছে। এর আগে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেট ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। সেই তুলনায় চলতি বছরের বাজেটের আকার কমেছে ৭ হাজার কোটি টাকা।

এর আগে সবশেষ জাতীয় সংসদের বাইরে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছিল ২০০৮ সালে, যখন ক্ষমতায় ছিল সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই বছরের ৯ জুন তৎকালীন অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন।

জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের দায়িত্ব নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের অধীনে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ উপস্থাপন করলেন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম বাজেট।

দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ১১ মাস পর প্রথমবারের মতো বাজেট উপস্থাপন করতে গিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ব্যয় কমিয়েছেন ৭ হাজার কোটি টাকা। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো অর্থবছরে বাজেটের আকার আগের বছরের তুলনায় ছোট হলো।

প্রায় দেড় দশক আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সালেহউদ্দিন আহমেদের জন্য এটাই প্রথম বাজেট উপস্থাপন করলেন। তিনি বলেন, বাস্তবতা বিবেচনায় রেখেই বাজেটের আকার সংকুচিত করা হয়েছে। ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

উল্লেখ্য, সংসদ না থাকায় আগামী ৩০ জুন রাষ্ট্রপতি বাজেট অধ্যাদেশে সই করবেন, ১ জুলাই কার্যকর হবে নতুন বাজেট। তবে বাজেটের অনেক অংশ, বিশেষ করে ট্যাক্স ও কাস্টমসসংক্রান্ত বিষয়গুলো ২ জুন উপস্থাপনের দিন থেকেই কার্যকর হবে।

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা

২০২৫-২৬ অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের মোট জিডিপির ৯ শতাংশের সমান।

সোমবার (০২ জুন) এ তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। জনবল বৃদ্ধি, কর অব্যাহতির ক্ষেত্রগুলো যৌক্তিকীকরণ, কর জালের সম্প্রসারণ এবং একক হারে ভ্যাট নির্ধারণের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে মধ্যমেয়াদে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেষ্টা চালানো হবে।

তিনি বলেন, নতুন বাজেটে প্রস্তাবিত মোট রাজস্ব আয়ের মধ্যে এনবিআরের মাধ্যমে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। বাকি ৬৫ হাজার কোটি টাকা আসবে অন্যান্য উৎস থেকে। সরকার আশা করছে, এই রাজস্ব পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো আরও দৃঢ় হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন গতি আসবে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট এবং দেশের ইতিহাসে ৫৪তম জাতীয় বাজেট। সোমবার (০২ জুন) বিকেল ৩টায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থ উপদেষ্টা। সংসদ না থাকায় তার বাজেট বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হচ্ছে।

অর্থ উপদেষ্টার ভাষ্যে, একটি টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কিছুটা সংস্কারভিত্তিক এই বাজেটে উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছে দিতে পরিকল্পনা থাকছে।

বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক গতি ধরে রাখতে জ্বালানির পর্যাপ্ত এবং সাশ্রয়ী সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে আপাতত বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাড়ছে ফ্রিজের দাম

রেফ্রিজারেটরের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। ফলে দাম বাড়ছে রেফ্রিজারেটরের।

বর্তমানে রেফ্রিজারেটর ও এয়ারকন্ডিশনের উৎপাদনে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপিত রয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এ হার ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, এতে দেশীয় উৎপাদনকারীদের খরচ বাড়বে এবং বাজারে এসব পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে পারে।

সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বৃদ্ধির প্রস্তাব বাজেটে

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। সোমবার (০২ জুন) বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে এই তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

এদিন বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে অর্থ উপদেষ্টার বাজেটের বক্তব্য সম্প্রচার শুরু হয়। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ।

এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, ২০১৫ সালের পর এখন পর্যন্ত বেতন কাঠামো প্রণীত না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।

নতুন করদাতাদের জন্য সুখবর

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ন্যূনতম করের পরিমাণ এলাকাভেদে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ করবর্ষ থেকে ন্যূনতম করের পরিমাণ পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, নতুন করদাতাদের জন্য ন্যূনতম করের পরিমাণ এক হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার (০২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে স্বাভাবিক ব্যক্তি ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবার করদাতাদের জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম করের পরিমাণ এলাকাভেদে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ করবর্ষে মোট আয়করমুক্ত আয়ের সীমা অতিক্রম করলে ন্যূনতম করের পরিমাণ এলাকা নির্বিশেষে পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে কর প্রদান সংস্কৃতির বিকাশ, কর-নেট সম্প্রসারণ এবং নতুন করদাতাদের কর প্রদানে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নতুন করদাতাদের ন্যূনতম করের পরিমাণ এক হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে করের হার স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা, ফার্ম ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের জন্য প্রথম সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয় করমুক্ত। পরবর্তী এক লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর পাঁচ শতাংশ, পরবর্তী চার লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১০ শতাংশ, পরবর্তী পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২০ শতাংশ, ২০ লাখ টাকার ওপরে ২৫ এবং অবশিষ্ট আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হচ্ছে।

তবে ২০২৬-২৭ এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরের জন্য স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা, ফার্ম ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের জন্য করে ধাপ কমিয়ে বিদ্যমান ১০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে ব্যক্তির আয়ের প্রথম সাড়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয় করমুক্ত। পরবর্তী ১ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ, ২০ লাখ টাকার ওপরে ৩০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হচ্ছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে। এবারের বাজেটটি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, যা পূর্ববর্তী বছরগুলোর বাজেটের তুলনায় ভিন্ন।

বাজেটে স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের জন্য সুখবর, প্রাথমিকে দুঃসংবাদ

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

প্রস্তাবিত বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে অতিরিক্ত ৩ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে ৮৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ এসব স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাব্যবস্থায় কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা করা যাচ্ছে।

অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩৫ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যেখানে গত অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এবার বরাদ্দ কমেছে ৩ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা।

আজ সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচারিত পূর্ব-ধারণকৃত বক্তব্যে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বাজেট ঘোষণার আগে আজ সকালে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেটের অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বড় অঙ্কের বরাদ্দ হ্রাস পাওয়ায় এই খাতে আর্থিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাড়ানো, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তি পর্যায়ে নতুন একটি আয়কর ক্যাটাগরি চালুর ঘোষণা দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামে এই ক্যাটাগরিতে ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ অর্থবছরের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

গেজেটভুক্ত জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এ আহতরা ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে এই সুবিধা পাবেন। একইসঙ্গে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করমুক্ত আয়সীমাও ৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০২৬-২৭ অর্থবছর থেকে ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এই দুই অর্থবছরে স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা হবে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

জুলাই অভ্যুত্থানের পর বদলে যাওয়া রাজনৈতিক বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে ভিন্ন আঙ্গিকে পেশ হলো ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট। চলমান অন্তর্বর্তীকালীন শাসনব্যবস্থায় সংসদ না থাকায় বাজেট নিয়ে কোনো আলোচনা বা বিতর্কের সুযোগ নেই। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন। প্রক্রিয়াগতভাবে আগামী ৩০ জুন রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে এই বাজেট কার্যকর করা হবে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এই বাজেটে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন ও সহায়তার জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ৫৪তম বাজেট এটি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ, গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশে ইতোমধ্যে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

শিগগিরই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের পরিবার ও আহতদের জন্য ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি।

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ-আহতদের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এই বাজেটে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন ও সহায়তার জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

সোমবার (০২ জুন) বিকেল ৩টায় নতুন বছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ৫৪তম বাজেট এটি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ, গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশে ইতোমধ্যে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

শিগগিরই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের পরিবার ও আহতদের জন্য ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি।

বলপয়েন্ট কলমের দাম কমবে
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বলপয়েন্ট কলমের ওপর সব ধরনের ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে দেশে উৎপাদিত বলপয়েন্ট কলমের দাম কমার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় সাত লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তিনি বলপয়েন্ট কলমের ওপর বিদ্যমান ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব তুলে ধরেন।

বর্তমানে দেশে ম্যাটাডর, অলিম্পিক, ইকোনো, আরএফএল ও মেঘনাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বলপয়েন্ট কলম উৎপাদন করে। এসব কলম তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কালি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

এই কালি আমদানির সময় ১০ শতাংশ কাস্টমস শুল্ক, ৫ শতাংশ উৎসে কর এবং ৫ শতাংশ অগ্রিম করসহ মোট ২০ শতাংশ কর প্রযোজ্য ছিল।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বলপয়েন্ট কলমের উৎপাদনে ১৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়, যা পরবর্তী সময়ে সমালোচনার মুখে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছিল।

তবে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষাখাত সংশ্লিষ্টদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলপয়েন্ট কলমের ওপর সব ধরনের ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলপয়েন্ট কলমের দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাড়তে পারে সিগারেটের দাম

অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন।

এ ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায় ও দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় বেশকিছু পণ্যের ওপর কর, শুল্ক ও ভ্যাট আরোপের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বাজারে বেশকিছু পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরমধ্যে সিগারেটের দাম আরও এক দফা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিগারেটের বিভিন্ন স্তরে ৫-৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল। নতুন বাজেটে তামাক শিল্পে ব্যবহৃত সিগারেট পেপারের সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকতে পারে। ফলে সিগারেটের দাম আরও বাড়তে পারে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ধূমপান বা তামাক ব্যবহার করেন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যা চিকিৎসা ব্যয় ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের সম্মিলিত ফল।

এসির দাম বাড়ছে

এয়ারকন্ডিশনার (এসি) ও কম্প্রেসরের ভ্যাট দ্বিগুণ করা হচ্ছে। এতে বাড়তে যাচ্ছে এয়ারকন্ডিশনারের দাম।

সোমবার (০২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, বর্তমানে এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদনে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপিত রয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এ হার ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, এতে দেশীয় উৎপাদনকারীদের খরচ বাড়বে এবং বাজারে এই পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে পারে।

প্রতি টনে রডের দাম বাড়বে ১৪০০ টাকা

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রড ও স্টিলে ভ্যাট (কর) বাড়িয়েছে সরকার। পাকা বাড়ি তৈরির অন্যতম এই অনুষঙ্গের কর বৃদ্ধির কারণে বাড়ি বানানোর খরচ বাড়বে।

সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রস্তাবিত বাজেটে এ ঘোষণা দেন।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, রড ও স্টিলে ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। দরকারি এই দুই অনুষঙ্গের আমদানিতে ভ্যাট ২০-২৩ শতাংশ ও উৎপাদনে ভ্যাট ২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করে ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি টনে রডের দাম বাড়তে পারে প্রায় ১ হাজার ৪০০ টাকা।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে স্টিলের মূল কাঁচামাল স্ক্র্যাপ আমদানিতে প্রতি টনে ফিক্সড শুল্ক আদায় করা হয় ১ হাজার ৫০০ টাকা। স্টিল থেকে বিলেট ও রড উৎপাদনে প্রতি টনে ফিক্সড ভ্যাট ২ হাজার ২০০ টাকা। সবমিলিয়ে আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট মিলিয়ে সরকার প্রতি টনে পাচ্ছে ৩ হাজার ৭০০ টাকা।

বাড়ছে চকলেটের দাম

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অনেক পণ্যের ওপর শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে, যার প্রভাব পড়তে পারে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায়। শুল্কায়নের ন্যূনতম মূল্য চার ডলার থেকে বাড়িয়ে করা হচ্ছে ১০ ডলার। এতে আমদানি করা সব ধরনের চকলেটের দাম বাড়বে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট এবং দেশের ইতিহাসে ৫৪তম জাতীয় বাজেট।

সোমবার (০২ জুন) বিকেল ৩টায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থ উপদেষ্টা। সংসদ না থাকায় তার বাজেট বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টার ভাষ্যে, একটি টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কিছুটা সংস্কারভিত্তিক এই বাজেটে উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌঁছে দিতে পরিকল্পনা থাকছে।

দাম বাড়ছে মোবাইল ফোনের

দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে মোবাইল ফোনের দাম স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে পারে।

আজ সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তিনি মোবাইল ফোনের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব তুলে ধরেন।

উল্লেখ্য, নির্বাচিত সরকার অনুপস্থিত থাকায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এবারের বাজেট ঘোষণা করা হয়। সাধারণত জুন মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার বাজেট ঘোষণা করা হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর ৫ জুন থেকে ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হওয়ায় ব্যতিক্রমভাবে সোমবার (২ জুন) বাজেট ঘোষণা করা হলো।

প্রথা অনুযায়ী বাজেট ঘোষণার দিন থেকেই প্রস্তাবিত অর্থবিলে উল্লিখিত রাজস্ব নীতিমালা, কর, ভ্যাট ও শুল্কহার কার্যকর করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ফলে বাজেট ঘোষণার দিন থেকেই মোবাইল ফোনে ভ্যাট বৃদ্ধির প্রভাব বাজারে পড়তে শুরু করবে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

১ম শ্রেণি থেকেই সামরিক প্রশিক্ষণ চালু করছে ভারতের একটি রাজ্য

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে প্রথম শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক সামরিক প্রশিক্ষণ চালুরবিস্তারিত পড়ুন

অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই সরকারের প্রধান অঙ্গীকার: বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, তাদেরবিস্তারিত পড়ুন

দাম কমতে পারে যেসব পণ্য-সেবার

নতুন অর্থবছরে শুল্কের হারে পরিবর্তন আসায় প্রতিবারের মত এবারও বিভিন্ন পণ্য ওবিস্তারিত পড়ুন

  • দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্য-সেবার
  • ৫০০, ২০০, ১০০ ও ১০, ৫ ও ২ টাকার নোটের নকশায় কী থাকছে
  • স্বাধীনতার পর থেকে কোন বাজেট কত টাকার
  • কমছে চিনি-সয়াবিন তেলের দাম
  • উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদন
  • চীনা ব্যবসায়ীদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান প্রধান উপদেষ্টার
  • জাপান যাবে ১ লাখের মতো কর্মী, বাড়বে বিনিয়োগ: প্রেস সচিব
  • ‘মোদি সরকার জাতিকে বিভ্রান্ত করেছে’, শীর্ষ জেনারেলের বক্তব্য ঘিরে উত্তপ্ত নয়াদিল্লির রাজনীতি
  • বাংলাদেশ নিয়ে মমতার বিরুদ্ধে অমিত শাহের ‘বিস্ফোরক’ মন্তব্য
  • মাতারবাড়ি প্রজেক্টে বড় বিনিয়োগ করবে জাপান : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
  • ১০০ ব্যবসায়ী নিয়ে ঢাকায় চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও