জামায়াত শুধু মুসলমানদের দল নয়, হিন্দু-খ্রীস্টান-মুসলমান এক হয়ে দেশকে গড়তে চাই: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
সেলিম হায়দার।। বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদ বিদায় নিয়েছে। ২ হাজার শহীদ ও ৪ হাজার আহতের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ জন্ম দিয়েছে। তারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখে যেতে পারেনি। নতুন বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়ে তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলা জামায়াতের বার্ষিক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, দেশ থেকে দখলবাজ, লুটেরা, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করে সকলে মিলে নতুন বাংলাদেশ তৈরী করা জামায়াতে ইসলামের অঙ্গীকার। খুনি হাসিনা সরকার জোর করে সংবিধান থেকে ত্বত্তাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছিলো। সেই আইন, সংবিধানের তোয়াক্কা না করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিলো। এক পরিবার, একদল ও একব্যক্তির কথায় দেশ চলতো। বিরোধীদের মতপ্রকাশের কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি। সে কারণে দেশ থেকে তাকে পালাতে হয়েছে। আমরা বিএনপি জামায়াত এক হয়ে গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করেছি।
তিনি বলেন, সংখ্যানুপাতিক ভাবে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য ত্বত্তাবাধয়ক সরকারের কাছে আবেদন করেছি। এই পদ্ধতি চালু হলে ইচ্ছা মতো ক্ষমতা জাহির করা যাবে না। দেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসবে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারী) বিকাল ৩ টায় পাটকেলঘাটার ফুটবল মাঠে এই কর্মী সম্মেলনে তালা উপজেলা জামায়াদের আমীর মাওঃ মফিদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলীর সঞ্চালনা বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ সহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা নায়েবে আমীর ডাঃ শেখ মাহমুদুল হক, জেলা সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাঃ গাজী সুজায়েত আলী।
বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য অধ্যাঃ রবিউল বাসার, জামায়াতের জেলা সেক্রেটারী মাওঃ আজিজুর রহমান, কেশবপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যঃ মোক্তার আলী, কলারোয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ কামরুজ্জামান প্রমুখ।
মিয়া গোলাম পরোয়ার বলেন, ১৪, ১৮ ও ২৪ সালের নির্বাচনে আমরা ভোট দিতে পারিনি। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশলীগ মিলে জনগণকে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাঁধা দেয়া হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গুম, খুন, হত্যা করেছে। বন্দী করে আয়না ঘরে রেখেছে। ২০০৬ সালে পল্টনে লগি বৈঠার দিয়ে মানুষ খুনের মাষ্টার মাইন্ড ছিলো শেখ হাসিনা। মূলত সেদিন থেকেই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের হত্যা হয়ে ছিলো। এর পর থেকে হাজার হাজার আলেম উলামাদের বন্ধী, হত্যা, নিযাতন করা হয়েছে। এই সাতক্ষীরাতেও ৪০ জন ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তালা-কলারোয়ায় শান্তিতে বসবাস করার জন্য আগামী সংসদ নির্বাচনে আপনাদের কাছে ত্যাগী, গুনী, সেরা ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য অধ্যক্ষ মোঃ ইজ্জত উল্লাহকে রেখে গেলাম।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীতে হিন্দু ভাইদেরও যোগ দেয়ার সুযোগ গঠনতন্ত্রে আছে। জামায়াতে ইসলামী শুধু মুসলমানদের দল নয়। হিন্দু, খ্রীস্টান, মুসলমান এক হয়ে এ দেশকে নতুন করে গড়তে হবে। ইসলামে অন্য ধর্মের লোক আমানত স্বরূপ। ইসলাম ধর্মে তাদেরও অধিকারের কথা বলা আছে।
এর আগে সকাল ৯টায় একই মাঠে জামায়াতে ইসলামীর মহিলা কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)