তালায় কপোতাক্ষ নদের বাঁধে ভাঙ্গন, ৬/৭ গ্রাম প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা
তালার জেঠুয়া বাজারের সন্নিকটে প্রবল জোয়ারে কপোতাক্ষ নদের বাঁধে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। যে কোনো মুহুর্তে বাঁধটি ভেঙ্গে ২টি ইউনিয়নের ৬/৭টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এই এলাকার মানুষ।
এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, তালার শালিখায় টিআরএম প্রকল্পের সংযোগ মুখ বেঁধে দেয়ার কারণে প্রবল জোয়ারের স্রোত জেঠুয়া বাজারের কাছেই কপোতাক্ষ বাঁকে আঁছড়ে পড়ছে। ফলে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। যে কোনো মুহুর্তে এ বাঁধটি ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে।
এলাকায় বসবাসকারী অধ্যক্ষ রামপ্রসাদ দাস (৪৫), জবেদ আলী (৫৫), অলিউর রহমান (৪৮), সম আহাদ (৫০), মাফাজ্জেল হোসেন (৫২), ব্যবসায়ী সুকুমার ঘোষ (৬০), আবুল কালাম (৫৮), আলতাফ হোসেন (৩৫) বলেন, কপোতাক্ষের প্রবল স্রোতের কারণে জেঠুয়া বাজরের নীচে যে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে এখনই যদি সংস্কারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয় তাহলে জেঠুয়া গ্রামসহ বাজার, জালালপুর, নেহালপুর, ধূলা-া, বারুইপাড়া, চরগ্রাম, কৃষ্ণকাটি, আটঘরা, কানাইদিয়াসহ ১০টিরও অধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়বে। এলাকার ৩টি বাজার, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এতিম খানা, সমজিদ, মন্দির, মাদ্রসাসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। পানিবন্দি হয়ে পড়বে অত্র এলাকার মানুষ।
এসময় বাঁধটি মেরামতসহ স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আতংকিত এলাকাবাসি।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড যশোর এর এসও ফিরোজ হোসেন বলেন, শুনেছি কপোতাক্ষ নদের শালিখা অংশে টিআরএম’র মুখ বেঁধে দেয়ার কারণে জেঠুয়াসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। করোনাকালীন সময়ের কারণে যশোর সাতক্ষীরা লকডাউন থাকায় এলাকায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। লকডাউন উঠে গেলে যত দ্রুত সম্ভব উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার বলেন, এলাকায় সরেজমিনে দেখেছি টিআরএম’র মুখে বাঁধ দেয়ার কারণে কপোতাক্ষের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। যে কোনো মুহুর্তে দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করব।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)