রবিবার, নভেম্বর ২, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

দুই হাত নেই, তাতে কী? থেমে নেই লেখাপড়া

বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে জড়িয়ে দুহাত হারানো ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র হোসেনের লেখাপড়া থেমে থাকেনি। দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে ডান পা দিয়ে লিখে শিক্ষাজীবন চালিয়ে যাচ্ছে। বড় হয়ে সে চাকরি করতে চায়। এ ছাড়া কৃত্রিম দুটি হাত হলে সে তার নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ নিজেই করতে পারবে এমন আশা ব্যক্ত করেছেন তার পিতামাতা।

জানা যায়, গত ২০১৫ সালে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরকচ্ছপিয়া গণস্বাস্থ্য পাঠশালায় প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত মো. হোসেন (১৩)।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দোতলা নির্মাণাধীন ভবনে উঠে খেলাধুলা করার একপর্যায়ে নির্মাণাধীন ভবনের পাশে অরক্ষিত বৈদ্যুতিক খুঁটির ১১ হাজার ভোল্টের তারের সঙ্গে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পর্শ হলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে তার জীবন রক্ষার্থে দুহাত হারাতে হয়। সে বর্তমানে উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

দুহাত না থাকলেও থেমে নেই তার পড়ালেখা। তার জীবনের লক্ষ্য একটি চাকরি করা। হোসেন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড চার্চ কলোনিতে বসবাসরত দরিদ্র কৃষক শাহাবউদ্দিন ও রহিমা বেগমের ছেলে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট সে।

হোসেনের মা রহিমা বেগম বলেন, প্রাইমারি স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করলে তাকে যখন হাইস্কুলে ভর্তি করাতে নিয়ে গেলাম। তখন স্কুলের প্রধান শিক্ষক হোসেনকে ভর্তি করতে চাননি। যার হাত নেই, সে লিখবে কীভাবে এই প্রশ্ন করে প্রধান। হোসেন পা দিয়ে লিখে পঞ্চম শ্রেণি পাস করেছে অনুরোধ করলে পরে স্কুলে ভর্তি করান। আমার ছেলে হোসেন খুব মেধাবী এবং বর্তমানে পড়াশোনা করতে আগ্রহী।

তিনি আরও জানান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্মাণাধীন দোতলা ভবনের অরক্ষিত বৈদ্যুতিক তার জড়িয়ে দুহাত হারালেও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ কোনো খোঁজখবর নেয়নি এবং অদ্যাবধি পর্যন্ত কোনো অনুদান দেয়নি। হোসেনের দুর্ঘটনার পর ভবনের ছাদে ওঠার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

হোসেন জানায়, বাবা-মা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় আমি পড়াশোনা করতে পারছি।

হোসেনের বাবা শাহাবুউদ্দিন জানান, হোসেনের এ দুর্ঘটনায় আমার প্রায় ৮ থেকে ৯ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। বর্তমানে আমি শূন্য, ওরা পাঁচ ভাইবোন অভাবের সংসারে ওদের পড়াশোনা করানোর খরচ জোগাতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়। উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে যদি কৃত্রিম হাত লাগানো যেত তা হলে প্রতিভাবান হোসেন ফিরে পেত আগের মতো স্বাভাবিক জীবন। অন্যদিকে সরকারের কাছে সহায়তার জন্য এমনটাই আশা করছে হোসেনের দরিদ্র পরিবার।

উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন জানান, হোসেন মেধাবী ও প্রতিভাবান। পা দিয়ে লিখলেও অনেকের চেয়ে হাতের লেখা সুন্দর। আমাদের বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক হোসেনের প্রতি আন্তরিক।

একই রকম সংবাদ সমূহ

প্রতীক তালিকায় ‘শাপলা কলি’ যুক্ত করল ইসি

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতীক তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে ‘শাপলা কলি’। এই প্রতীকবিস্তারিত পড়ুন

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। এবিস্তারিত পড়ুন

সারাদেশে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে সমাজসেবা কার্যালয় কাজ করছে: ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বিগত অর্থ বছরে সরকারবিস্তারিত পড়ুন

  • বন্ধ হচ্ছে অননুমোদিত মোবাইল ফোন
  • গভর্নরকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেয়ার প্রস্তাব, যেসব সুবিধা পাবেন
  • আহত না হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’, বাতিল হলো ১২৮ জনের গেজেট
  • দ্রুত বডি-অন-ক্যামেরা ক্রয়ের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের খসড়ায় যা যা রয়েছে
  • সংবিধান সংস্কারে গণভোট আয়োজনের পরামর্শ ঐকমত্য কমিশনের
  • বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান নিয়োগ বন্ধে মাউশির চিঠি
  • সংসদ ২৭০ দিনে ব্যর্থ হলে প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হবে: আলী রীয়াজ
  • নিজেই বাসের টিকিট কেটে পঞ্চগড় গেছেন সেই খতিব: জিএমপি
  • পুলিশের ওপর আক্রমণ সহ্য করা হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • আগামি নির্বাচনে ৩০০ আসনে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ৭৬১
  • বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে আগ্রহী পাকিস্তান, নিতে চায় শিক্ষার্থীও