রবিবার, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

দুই হাত নেই, তাতে কী? থেমে নেই লেখাপড়া

বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে জড়িয়ে দুহাত হারানো ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র হোসেনের লেখাপড়া থেমে থাকেনি। দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে ডান পা দিয়ে লিখে শিক্ষাজীবন চালিয়ে যাচ্ছে। বড় হয়ে সে চাকরি করতে চায়। এ ছাড়া কৃত্রিম দুটি হাত হলে সে তার নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ নিজেই করতে পারবে এমন আশা ব্যক্ত করেছেন তার পিতামাতা।

জানা যায়, গত ২০১৫ সালে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরকচ্ছপিয়া গণস্বাস্থ্য পাঠশালায় প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত মো. হোসেন (১৩)।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দোতলা নির্মাণাধীন ভবনে উঠে খেলাধুলা করার একপর্যায়ে নির্মাণাধীন ভবনের পাশে অরক্ষিত বৈদ্যুতিক খুঁটির ১১ হাজার ভোল্টের তারের সঙ্গে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পর্শ হলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে তার জীবন রক্ষার্থে দুহাত হারাতে হয়। সে বর্তমানে উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

দুহাত না থাকলেও থেমে নেই তার পড়ালেখা। তার জীবনের লক্ষ্য একটি চাকরি করা। হোসেন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড চার্চ কলোনিতে বসবাসরত দরিদ্র কৃষক শাহাবউদ্দিন ও রহিমা বেগমের ছেলে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট সে।

হোসেনের মা রহিমা বেগম বলেন, প্রাইমারি স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করলে তাকে যখন হাইস্কুলে ভর্তি করাতে নিয়ে গেলাম। তখন স্কুলের প্রধান শিক্ষক হোসেনকে ভর্তি করতে চাননি। যার হাত নেই, সে লিখবে কীভাবে এই প্রশ্ন করে প্রধান। হোসেন পা দিয়ে লিখে পঞ্চম শ্রেণি পাস করেছে অনুরোধ করলে পরে স্কুলে ভর্তি করান। আমার ছেলে হোসেন খুব মেধাবী এবং বর্তমানে পড়াশোনা করতে আগ্রহী।

তিনি আরও জানান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্মাণাধীন দোতলা ভবনের অরক্ষিত বৈদ্যুতিক তার জড়িয়ে দুহাত হারালেও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ কোনো খোঁজখবর নেয়নি এবং অদ্যাবধি পর্যন্ত কোনো অনুদান দেয়নি। হোসেনের দুর্ঘটনার পর ভবনের ছাদে ওঠার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

হোসেন জানায়, বাবা-মা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় আমি পড়াশোনা করতে পারছি।

হোসেনের বাবা শাহাবুউদ্দিন জানান, হোসেনের এ দুর্ঘটনায় আমার প্রায় ৮ থেকে ৯ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। বর্তমানে আমি শূন্য, ওরা পাঁচ ভাইবোন অভাবের সংসারে ওদের পড়াশোনা করানোর খরচ জোগাতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়। উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে যদি কৃত্রিম হাত লাগানো যেত তা হলে প্রতিভাবান হোসেন ফিরে পেত আগের মতো স্বাভাবিক জীবন। অন্যদিকে সরকারের কাছে সহায়তার জন্য এমনটাই আশা করছে হোসেনের দরিদ্র পরিবার।

উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন জানান, হোসেন মেধাবী ও প্রতিভাবান। পা দিয়ে লিখলেও অনেকের চেয়ে হাতের লেখা সুন্দর। আমাদের বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক হোসেনের প্রতি আন্তরিক।

একই রকম সংবাদ সমূহ

জনগণ সঙ্গে না থাকলে কী হয় ৫ আগস্ট দেখিয়ে দিয়েছে: তারেক রহমান

জনগণ সঙ্গে না থাকলে কী হয় তা ৫ আগস্ট দেখিয়ে দিয়েছে উল্লেখবিস্তারিত পড়ুন

শিগগিরই ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের (দ্য কমিশন অব এনকোয়ারি অন এনফোর্সড ডিসাপিয়ারেন্স) সদস্যরাবিস্তারিত পড়ুন

আ.লীগ সরকার এতদিন দেশবাসীকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব

সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সিদ্ধান্ত শিগগিরই বাস্তবায়নবিস্তারিত পড়ুন

  • রাজনৈতিক ক্ষমতা-কালোটাকা গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে: গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনপ্রধান
  • অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন: ব্রিটিশ ব্যারিস্টারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হাসিনা
  • দক্ষিণ কোরিয়া ৪৪ কোটি টাকা দিচ্ছে রেলের উন্নয়নে
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি কাল
  • ঐক্যের মাঝে এ সরকারের জন্ম, একতাই শক্তি: ড. ইউনূস
  • জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সর্বদলীয় বৈঠক
  • ১৩ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরানো হলো হাসিনা ও তার পরিবারের নাম
  • ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩’ বাতিল
  • ওষুধ-পোশাকসহ নিত্যপণ্যের ভ্যাট রিভিউ হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা
  • ১৭ বছর পর কারামুক্ত বিএনপির লুৎফুজ্জামান বাবর
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের গেজেট প্রকাশ
  • এমপিদের সুবিধা কমানো, একই সঙ্গে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী নয়