‘দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস ভয়াবহ ক্যান্সারে পরিনত হয়েছে’


বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক ভয়াবহ ক্যান্সারে পরিনত হয়েছে। এই ক্যান্সার প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক আন্দোলনের কোন বিকল্প নাই।
আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, কাজী আফে ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ ও বঙ্গবন্ধু শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের যৌথ উদ্রোগে “বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে-উন্নত বাংলাদেশ বিনর্মানে মাদক-স্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-ঘুষ-দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়ার দাতিতে” আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে সংহতি প্রকাশ করে জাতীয় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সভাপতি মুশফিকুর রহমান মিন্টুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সংহতি প্র্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিল, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ যুগ্ম মহাসচিব ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম প্রধান সমন্বয়ক মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, ন্যাপ ভাসানী সভাপতি মোসতাক আহমেদ, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ জাসদ নেতা হুমায়ূন কবির, বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার যুগ্ম সম্পাদক আনন্দ কুমার সেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আউয়াল মিয়া, নারী নেত্রী এলিজা রহমান প্রমুখ।
কর্মসূচীতে নেতৃবৃন্দরা বলেন, বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি কার্যকর ও টেকসই সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দুর্নীতি সমাজের প্রতিটি স্তরকে কলুষিত করে তুলেছে। দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজে প্রতিটি মানুষকে তাঁর প্রকৃত মর্যাদা দেওয়া সম্ভব হয় না। দুর্নীতি প্রতিরোধে শুধুমাত্র ব্যক্তি পর্যায়ে নয় বরং সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তরুণ প্রজন্মের মনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঘৃণার চেতনা সৃষ্টি করতে হবে।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, আমাদের জাতীয় অহঙ্কার স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তির বছরে আমাদের শপথ নিতে হবে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় দুর্নীতি, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার।
তিনি বলেন, উগ্র ধর্মীয় মৌবাদ-ধর্ম বিদ্বেষী মৌলবাদি দুই অপশক্তিই রাষ্ট্র ও সমাজেচর জন্য হুমকি। স্বাধীনতার সবর্ণ ঝয়ন্তির বছরে এই দুই অপশক্তির বিরুদ্ধেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার কোন বিকল্প নাই।
মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিল বলেন, শুধু দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় এনেই দুর্নীতি প্রতিরোধ করা যাবে না। বরং এর জন্য আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াতে সামাজিক আন্দোলন দরকার। সচেতনতা বাড়াতে সামাজিক আন্দোলনের পাশাপাশি ধর্মীয় আইন-কানুন বিষয়ে প্রচার, নৈতিকতার প্রচার ও ভালো কাজের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশু কিশোরদের দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। তাদেরকে সৎ মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, আজকের শিশুই আগামী দিনের বাংলাদেশ।
সভাপতির বক্তব্যে মুশফিকুর রহমান মিন্টু বলেন, সরকার পতন আন্দোলনের লক্ষে অপশক্তি নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওয়াতায় আনতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যে কোন ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
