নড়াইলে নদীতে পড়ে যাওয়া শিশুসন্তানকে উদ্ধার করতে গিয়ে পিতার মরদেহ ৪০ ঘন্টা পরে উদ্ধার


নড়াইলে নদীতে পড়ে যাওয়া শিশুসন্তানকে উদ্ধার করতে গিয়ে পিতার মরদেহ ৪০ ঘন্টা পরে উদ্ধার হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের কালনা ঘাটে ট্রলার থেকে নদীতে পড়ে যাওয়া পুলিশ সদস্য ও তার শিশু সন্তান নিখোঁজের ঘটনায় অবশেষে রোববার সকাল ৯ টার দিকে কালনা ঘাটের ১ কিলোমিটার দক্ষিনে মহিশাপাড়া এলাকায় পিতা পুলিশ সদস্য মুসার মরদেহ ভেসে উঠলে এলাকাবাসী লোহাগড়া থানা পুলিশকে খবর দেন।
এরপর খবর পেয়ে কাশিয়ানী থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছায়ে মৃত মুসার মরদেহ উদ্ধার করেন।
তার নিখোঁজ শিশুপুত্র আনাচ এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ পর্যন্ত পুলিশ সদস্য মুসার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু তার সন্তান আনাচ এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
মুসার লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মৃত মুসার পরিবার সূত্রে জানা যায়, রবিবার আসরের নামাজ পরে জানাজা সম্পন্ন করে লাশ দাফন করা হয় তার গ্রামের বাড়িতে।
এদিকে, মর্মস্পর্শী এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গত ২৮ আগস্ট শুক্রবার মধুমতী নদীতে সপরিবারে নৌকা ভ্রমন করতে গিয়ে কালনাঘাট এলাকায় অসাবধানতাবশত ট্রলার থেকে পড়ে নদীর স্রোতে ভেসে যায় পুলিশ সদস্য মুসার শিশু পুত্র আনাচ। তাৎক্ষনিক নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সন্তানকে উদ্ধার করতে গিয়ে পিতাও নিখোঁজ হন।
পুলিশ সদস্য মুসা লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের চাচই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আজাদ মোল্লার ছেলে।
উল্লেখ্য, পুলিশ সদস্য আবু মুসা (রেজোয়ান) ঢাকা পুলিশ হেডকোয়ার্টার্রসে কর্মরত ছিলেন।
মুসার মৃত্যুতে ও তার ছেলের নিখোঁজের ঘটনায় পরিবারসহ লোহাগড়া তে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
