বলাডাঙ্গা ছয়ঘরিয়া দাখিল মাদরাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের পায়তারা!
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা ছয়ঘরিয়া দাখিল মাদরাসায় সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
গত ৮ জুন ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি (৪র্থ বার) সূত্রে জানা গেছে, বলাডাঙ্গা ছয়ঘরিয়া দাখিল মাদরাসায় শূন্য পদে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং নবসৃষ্ট পদে নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রার্থীদের আবেদনের শেষ দিন ২২ জুন ২০২৪ তারিখে। এদিকে, পুর্বের আবেদনকৃত প্রার্থীদের বয়স শেষ হওয়া একাধিক প্রার্থীকে বহাল রেখে টানা ৪র্থ বারের নিয়োগ বোর্ড কিভাবে সম্পন্ন হবে? এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাবেক সভাপতিসহ স্থানীয়রা।
স্থানীয় আরো জানান, মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন করতে মারিয়া হয়ে উঠেছে ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল কুদ্দুস ও সভাপতি মুকুল।
স্থানীয়রা জানান, ইতোমধ্যে প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ লেনদেন পক্রিয়াও সম্পন্ন করা হয়েছে। এনিয়ে এলাকার সুধীজনদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রে আরো জানা গেছে, একজন সিনিয়র সাংবাদিক মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে এই নিয়োগ পক্রিয়াটি সম্পন্ন করে দিতে কাজ করছেন। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় সাংবাদিকদের নাম ব্যবহার করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বলাডাঙ্গা ছয়ঘরিয়া দাখিল মাদরাসায় মাত্র ৭০-৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। অথচ খাতা কলমে রয়েছে ৪০০ শিক্ষার্থী। প্রতি বছর দাখিল পরীক্ষায় অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী নিয়ে প্রক্সি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী সচেতন মহলের। এছাড়া সম্প্রতি নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করতে এবং সুষ্ঠু পক্রিয়ায় নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করার দাবী অভিভাবক ও সচেতন মহলের।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাতক্ষীরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বোর্ড হলেই অর্থ বাণিজ্যের ঘটনা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলাডাঙ্গা ছয়ঘরিয়া দাখিল মাদরাসায় সাবেক সভাপতিকেও এই নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করে দেওয়ার জন্য ৩ লক্ষ টাকার অফার করা হয় কিন্তু সভাপতি রাজি না হওয়ায় শিক্ষা অফিসারের যোগসাজসে কৌশলে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি ও সুপারের এখন প্রধান মিশন এই নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন করা।
মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি মো. হাফিজুল ইসলাম ক্বারী বলেন, মাদ্রাসাটির কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও কৌশলে তারা শিক্ষা অফিসারের রুমে বসে কমিটি গঠন করে। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল কুদ্দুসের ভাষ্য কোন দক্ষ প্রার্থী লাগবে না। টাকা হলে তাকেই নিয়োগ দেওয়া হবে। সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সুপারের এখন একটাই লক্ষ্য যে কোন মূল্যে নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করবেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)