বুধবার, অক্টোবর ১৫, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

বিশ্বসেরা শিক্ষক ফিলিস্তিনি নারী

ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি নারী নাসরিন কুতাইনাহ এই বছরের ভার্কে ফাউন্ডেশনের বিশ্বসেরা শিক্ষক পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রাখা হয়েছে। শনিবার ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়।

নাসরিন অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরের আল-খলিল (হেবরন) শহরের দোরা প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষক।
সপ্তমবারের মতো এই ভার্কে ফাউন্ডেশন বৈশ্বয়িক শিক্ষক পুরস্কার (২০২১) দেয়া হচ্ছে। এ পুরস্কারটি ইউনেস্কোর সাথে যৌথ অংশীদারিত্বে দেয়া হয়। অসাধারণ সব শিক্ষকদের স্বীকৃতি দেয়ার জন্য এ পুরস্কারটির প্রচলন করা হয়েছে। বিশ্বসেরা শিক্ষক পুরস্কারের অর্থমূল্য হলো ১০ লাখ মার্কিন ডলার।

নাসরিন কুতাইনাহ ওই বিশ্বসেরা শিক্ষক পুরস্কারের আয়োজকদের বলেন, করোনা মহামারীর কারণে তার ছাত্রীদের শিক্ষা কার্যক্রম বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। কিন্তু, কুতাইনাহ এ মহামারীকে কোনো বাধা হিসেবে গণ্য করেননি। তিনি শিক্ষা বিষয়ক ভিডিও তৈরি করেন যাতে করে যে সকল শিক্ষার্থীর কম্পিউটার আছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশ করার সক্ষমতা আছে তারা যেন লেখাপড়া শিখতে পারে। এছাড়া যাদের অনলাইন নেই তারাও যাতে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে তার ব্যবস্থা করেন তিনি। তিনি ছোট ছোট বই তৈরি করেছেন যা পরস্পরিক মিথস্ক্রিয়া, বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রম ও শিক্ষামূলক কার্টুন দিয়ে পরিপূর্ণ।

এ বিষয়ে নাসরিন কুতাইনাহ বলেন, আমি একটি মনকে আলোকিত করার চেষ্টা করি। আলোকিত মনের অধিকারীরাই পরে এক দিন পরিপূর্ণ মানুষে পরিণত হবেন।

তিনি আরো বলেন, ‘আমার কাছে কোনো ধরনের বৈষম্যই গ্রহণযোগ্য না, তবে সৃজনশীলতার প্রতি আমি ইতিবাচক।’ এটাই হলো নেসরিন কুতাইনাহর শিক্ষকতা ও জ্ঞান অর্জনের মূলনীতি।

তিনি খেলার মাধ্যমে শিক্ষা দেয়ার নীতিতে বিশ্বাসী। বিশেষ করে তার অনেক ছাত্রীই গণিত ভালোবাসে না এবং স্কুলে আসতে চায় না। এ কারণে তিনি গল্প ও গানের মাধ্যমে ছাত্রীদের বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষা দেন।

করোনা মহামারীর মধ্যেও যদি আমরা একটি সুন্দর পৃথিবী পুনর্গঠন করতে চাই তাহলে আমাদেরকে প্রত্যেক শিশুর শিক্ষা গ্রহণের অধিকার দিতে হবে। কারণ, এ শিশুরাই হলো পরবর্তী প্রজন্ম। এরাই আমাদের ভবিষ্যৎ।

নাসরিন কুতাইনাহকে আন্তর্জাতিক মানের মাইক্রসফট প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে। ওই প্রশিক্ষণের পর তাকে সৃজনশীল শিক্ষক বলে অভিহিত করা হয়। ২০১৯ সালে তিনি ফিলিস্তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেশটির সেরা শিক্ষক হিসেবে মনোনীত হন।

দক্ষ ও অসাধারণ শিক্ষকদের স্বীকৃতি দেয়ার জন্য বিশ্বসেরা শিক্ষক পুরস্কার দেয়া হয়। তরুণ ছাত্রদের জীবন পরিবর্তন করে দেয়ার নায়ক এ সকল শিক্ষকদের জীবনের প্রতি আলোকপাত করাই এ পুরস্কারের লক্ষ্য। ফিলিস্তিনিদের কাছে বিশ্বসেরা শিক্ষক পুরস্কার নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০১৬ সালে ফিলিস্তিনের হানান আল-হরুব বিশ্বসেরা শিক্ষক হিসেবে পুরস্কার পান।

একই রকম সংবাদ সমূহ

শান্তিতে নোবেল পেলেন মারিয়া কোরিনা মাচাদো

চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার মারিয়া কোরিনা মাচাদো। শুক্রবার (১০বিস্তারিত পড়ুন

বিদ্যুতের বকেয়া ৪৬৪ মিলিয়ন ডলার পরিশোধে প্রধান উপদেষ্টাকে আদানির চিঠি

বিদ্যুতের বকেয়া ৪৬৪ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি পাঠিয়েছেন ভারতেরবিস্তারিত পড়ুন

সাধারণ কর্মী নিয়োগে প্রথমবার বাংলাদেশ-সৌদি আরব চুক্তি স্বাক্ষর

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সাধারণ কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিকবিস্তারিত পড়ুন

  • চিকিৎসায় নোবেল পেলেন যুক্তরাষ্ট্র-জাপানের তিন গবেষক
  • গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের সমর্থনে রাস্তায় ইসরায়েলিদের ঢল
  • পাকিস্তানকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুঁশিয়ারি ভারতের সেনাপ্রধানের
  • পাকিস্তানের কোয়েটায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ১০
  • এনআরবি কানেক্ট ডে’তে তারেক রহমানের বার্তা স্থান না পাওয়ায় প্রবাসীদের হতাশা
  • ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিশ্ব নেতাদের পূর্ণ সমর্থন
  • জাতিসংঘে ড. ইউনূসের ভাষণ : জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে, চলমান থাকবে সংস্কারও
  • বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহী ভুটান
  • নাইজেরিয়ায় স্বর্ণখনিতে ভয়াবহ ধস, অন্তত ১০০ শ্রমিকের মৃত্যুর আশঙ্কা
  • ট্রাম্পের সঙ্গে ড. ইউনূস ও তার মেয়ের ছবি প্রকাশ
  • আগামি নির্বাচন হবে গণতন্ত্রের নতুন ভিত্তি : প্যারিসের মেয়রকে ড. ইউনূস
  • রাশিয়াকে ‘কাগজের বাঘ’ বললেন ট্রাম্প, পাল্টা জবাব মস্কোর