রবিবার, মে ১২, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ভয়াল আম্ফানের ১ বছর : এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সাতক্ষীরার কয়েক লাখ মানুষ

আজ সেই ভয়াল ২০ মে। প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের দীর্ঘ এক বছর পার হলেও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার কয়েক লাখ মানুষ। লবণাক্ততার তীব্রতায় কৃষিকাজ হয়না বিধায় তীব্র অভাবগ্রস্থ অধিকাংশ মানুষ। বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের আতঙ্কে এখনও তটস্থ সবাই। যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে বিচ্ছিন্ন। চিকিৎসা, সুপেয় পানি, স্যানিটেশনসহ বিভিন্ন সংকটে বিপর্যস্থ উপকূলীয় এলাকার এখনও লক্ষাধিক মানুষ।

জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয় গোটা সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকা। পানিবন্দী হয়ে পড়ে উপকূলীয় এলাকার ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। ঘর-বাড়ি ধ্বসে পড়ে ২ হাজারেরও বেশি। এখনো ডুবে আছে শতাধিক ঘর-বাড়ি। এতে মাছের ক্ষতি হয় ১৭৬ কোটি ৩ লাখ টাকার। কৃষিতে মোট ক্ষতি হয় ১৩৭ কোটি ৬১ লাখ ৩০ হাজার টাকার। এলজিইডি ও সড়ক বিভাগের ক্ষতি হয় কমপক্ষে ৩০ কি. মি. সড়ক। কাজ না থাকায় সেখানকার লোকজন বর্তমানে বেকার হয়ে পড়েছেন। আম্পানের এক বছর পার হলেও উপকূলীয় এলাকায় গৃহহীনের সংখ্যা এখনও দুই শতাধিক। বেড়িবাঁধের রাস্তার ওপর খুপড়ী ঘরে বসবাস তাদের।

আশাশুনি উপজেলার শুভদ্রকাটি গ্রামের আতাউর রহমান ও কুড়িকাউনিয়া গ্রামের আবু সালেহসহ উপকুলীয় এলাকাবাসী জানান, তাদের এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। নেই চিকিৎসার ব্যবস্থা। সূপেয় পানির সংকট তীব্র। বেড়িবাঁধের অবস্থাও নাজুক। উপকূলীয় এলাকার এসব মানুষ সরকারের কাছে পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ ও টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মাণের দাবি জানান।

আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসিম কুমার চক্রবর্তী জানান, প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড়ের এক বছর পেরিয়ে গেলেও সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার মানুষ এখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেননি। আজও সেখানকার মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের অভাব রয়েছে। একই সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে বিচ্ছিন্ন। আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেঁড়িবাধগুলো রয়েছে ভয়াবহ অবস্থায়। দু’একটি জায়গায় সংস্কার করা হলেও অধিকাংশ জায়গায় রয়েছে ভয়াবহ ফাটল। যে কোন সময় প্রবল জোয়ারের চাপে তা আবারও ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। তিনি টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মাণে এ সময় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছিল এ অঞ্চলের বেড়িবাঁধগুলোর। প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন যে অতিসত্ত্বর ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাধ সংস্কারের। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসন, পানিউন্নয়ন বোর্ড, সেনাবাহিনীসহ জেলার সংশ্লিষ্ট সংস্থা অক্লান্ত পরিশ্রম করাই বেড়িবাঁধগুলো প্রাথমিকভাবে সংস্কার করা সম্ভব হয়েছে। তিনি এসময় সাতক্ষীরা জেলাকে দুর্যোগ ক্ষতিগ্রস্ত জেলা ঘোষণার দাবী জানান।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরার ৬টি ক্লাব ও সংগঠনের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করলেন এমপি সেঁজুতি

সাতক্ষীরায় ৬টি ক্লাব ও সংগঠনের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করেছেন সংরক্ষিত নারীবিস্তারিত পড়ুন

কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর বাজারে রাতের আঁধারে স্থাপনা সহ সরকারি জায়গা দখলের চেষ্টা

কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর বাজারে লোহার ফ্রেম যুক্ত টিনশেডবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় এডভোকেসি নেটওয়ার্ক কমিটির শিখন- বিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জাহাঙ্গীর হোসেন, কলারোয়া: সাতক্ষীরার লেকভিউর কনফারেন্স রুমে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সাতক্ষীরা জেলারবিস্তারিত পড়ুন

  • শ্যামনগরে বিকল্প ফসল এবং সমন্বিত কৃষি বিষয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
  • কলারোয়ার আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ: উন্নয়নের সংযুক্তি পথ
  • কলারোয়া সরকারি জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হলো চিত্রপ্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা
  • সাতক্ষীরায় বয়ষ্ক মানুষদের স্বাস্থ‌্য সুরক্ষায় সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা
  • নগরঘাটায় ঘের নিয়ে দ্বন্দ্বে হামলায় রক্তাক্ত জখম; আটক দুই, পলাতক তিন
  • সাতক্ষীরার মধুবাগে অসহায় পরিবারের মাঝে ভ্যান গাড়ি প্রদান
  • ইন্টারনেট হোক অশ্লীলতা মুক্ত
  • কলারোয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
  • সাতক্ষীরা জেলা পর্যায়ে মাধ্যমিকে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত মোঃ আলামিন
  • সাতক্ষীরায় আম সংগ্রহের উদ্বোধন করলেন সাতক্ষীরা জেলা কৃষি কর্মকর্তা
  • ভারতে এপার বাংলা ও ওপার বাংলার শিল্পীদের সমন্বয়ে রবীন্দ্র জন্মোৎসবের উদ্বোধন করলেন এমপি রবি
  • প্রথম ধাপে সাতক্ষীরার দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা