মাইকেল মধুমেলায় যাদু প্রদর্শনের নামে অশ্লীল নৃত্য!
কেশবপুর (যশোর) সংবাদদাতা: যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়িতে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের মধুমেলায় যাদু প্রদর্শনের নামে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে।
আর্থিকভাবে লাভবান হতে অসাধুরা এই অনৈতিকতা শুরু করেছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, নগ্ন নৃত্য দেখতে যাচ্ছেন নানা বয়সের মানুষ। কেউ যাতে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে না পারে তার জন্য নির্দিষ্ট লোক পাহারা দিচ্ছেন।
জানা গেছে, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মধুপল্লীর আম্রকাননে সপ্তাহব্যপী মধুমেলা চলছে। যশোর জেলা প্রশাসন এই মেলার আয়োজন করে। গত ২৪ জানুয়ারি মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মেলায় প্রথম দিন থেকে যাত্রা ও যাদু প্রদর্শনের নামে অশ্লীল নৃত্য শুরু করা হয়। গভীর রাত পর্যন্ত চলা এই নগ্ন নৃত্য দেখতে ভিড় করছেন কিশোর, তরুণ যুবকসহ নানা বয়সের মানুষ। নৃত্যের নামে এমন অশ্লীলতা চলতে থাকলে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের মুখে পড়বে। টিকিট বিক্রি আর্থিকভাবে লাভবান হতে অসাধুরা যাদু প্রদর্শনের নামে এই অশ্লীলতা শুরু করেছেন।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন বিকালে ৩৫/৪০ জন অপরিচিত নারীর আগমন ঘটেছে যাদু প্যান্ডেলে। তারা পুতুল নাচের নামে প্যান্ডেলে নাচতে মেলায় এসেছে। গভীর রাতে এসব প্যান্ডেলে যাদু প্রদর্শনের নামে চলে মহিলাদের কুরুচিপূর্ণ নৃত্য। স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ওই সব প্যান্ডেলে ভিড় করতে দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাগরদাঁড়ি গ্রামের বেশ কিছু লোক জানিয়েছেন, খুব সতর্কতার সাথে অশ্লীল নৃত্য চালানো হচ্ছে। কোন দর্শক যাতে নৃত্যের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করতে না পারে যার জন্য কয়েকজন লোক পাহারায় থাকছেন।
প্রতিবছর মধুমেলা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় বলা হয়ে থাকে কোন প্রকার অশ্লীলতা, জুয়া চলবে না। এবছরও একই কথা বলা হয়েছে। এসব কথার কোন তোয়াক্কা না করে ইজারাদারের লোকজন এ সমস্ত অপসংস্কৃতি চালানোর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।
যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, মধুমেলায় শান্তি বজায় রাখতে জামায়াত, বিএনপি ও চরমোনাইয়ের কর্মীরা দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সাথে রয়েছে প্রশাসনের কয়েকটি টিম। যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশনের সুযোগ নেই। অশ্লীল নৃত্য পরিবেশনের অভিযোগ সঠিক হলে বন্ধ করে দেয়া হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)