শুক্রবার, নভেম্বর ২১, ২০২৫
প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

মেট্রোরেলে যুক্ত হচ্ছে ১০ ট্রেন, চলবে রাত ১০টার পরেও

সকাল থেকে রাত নাগাদ রাজধানীর এক প্রান্ত থেকে শহরের কেন্দ্রস্থল পর্যন্ত চলছে মেট্রোরেল। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীসংখ্যা বেড়েছে বহুগুণ। শুধু সকাল-সন্ধ্যা অফিস টাইমে নয়, সারা দিনই নানা কাজে যাতায়াতের জন্য মেট্রোরেলকে বেছে নিচ্ছেন ঢাকাবাসী। এমনকি বিশেষ দিনে সংখ্যাটি সাড়ে চার লাখ ছাড়িয়ে যায়।

এই বাড়তি চাপ সামলাতে শিগগিরই এমআরটি লাইন-৬-এ আরও ১০ ট্রিপ ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, রাত ১০টার পরও চলবে ট্রেন।

ডিএমটিসিএলের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চাহিদা এত বেশি যে অনেক সময় যাত্রীদের জায়গা দেওয়া সম্ভব হয় না। ফলে মন্ত্রণালয় থেকেও ট্রেন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য চাপ রয়েছে। তবে ট্রেনের কোচ সংখ্যা বাড়ানো আপাতত সম্ভব নয়।

কথা থাকলেও মেট্রো ট্রেনে লাগানো যাচ্ছে না ২ কোচ

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, মেট্রোরেলের ৬টি কোচের ২৪ সেট ট্রেন আছে। ভবিষ্যতে এটিকে ৮ কোচে উন্নীত করা যাবে। কিন্তু বর্তমানে চাহিদা থাকলেও ৩টি কারণে প্রতিটি সেট ট্রেনে আরও ২টি কোচ লাগানো যাচ্ছে না। বর্তমানে ৬ কোচের ট্রেনে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০০ মানুষ একসঙ্গে চড়তে পারেন। ফলে নতুন ১০ ট্রিপ ট্রেন বাড়লে আরও ২৩ হাজার মানুষ পরিবহন করতে পারবে মেট্রোরেলে।

দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, মেট্রোরেলের স্টেশনে আরও দুটি কোচ দাঁড়ানোর মতো জায়গা আছে। তবে সেখানে প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর (পিএসডি) লাগানো হয়নি। এটি হচ্ছে প্রথম কারণ। দ্বিতীয়ত, এ সব কিছুর জন্য আরও অনেক টাকা লাগে, যা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। আর তৃতীয়ত, অতিরিক্ত দুটি কোচ লাগালে আরও বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে। যা বিদ্যমান ওভারহেড ক্যাটেনারি লোড নিতে পারবে কিনা, সেটি নিয়ে সংশয় আছে। ফলে আপাতত সেই পথে হাঁটছে না ডিএমটিসিএল।

নতুন ১০ ট্রিপ ট্রেন যে সময়ে চলতে পারে

দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য বর্তমানে আরও ১০ ট্রিপ ট্রেন চালানো যায় কিনা, সেটি নিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে ডিএমটিসিএলে চাপ দেওয়া হয়েছে। এতে আরও ট্রেন চালাতে ডিএমটিসিএল চেষ্টা করছে। বর্তমানে লোকবল যথেষ্ট না থাকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সবকিছু ঠিক থাকলে খুব শিগগিরই এমআরটি লাইন-৬ এ নতুন ১০ ট্রিপ ট্রেন যুক্ত হবে।

দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, যে ১০টি সময়ে ট্রেন চালানো হবে, তার একটি প্রাথমিক পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। এই পরিকল্পনায় যাত্রীরা সকাল ৬টার পর থেকেই ট্রেনে যাতায়াত শুরু করতে পারবেন। আর সর্বশেষ ট্রেনেও যাতায়াত যাবে রাত ১০টার পরে।

প্রতিদিন লাইনের নিরাপত্তা পরীক্ষা করতে সকাল ৬টা ও সাড়ে ৬টায় দুটি ‘সুইপিং ট্রেন’ চালানো হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, দ্বিতীয় সুইপিং ট্রেনেই (সকাল সাড়ে ৬টা) প্রথম ট্রিপ শুরু হবে। এতে শুধুমাত্র এমআরটি পাস ও র‌্যাপিড পাসধারী যাত্রীরা উঠতে পারবেন। তবে ট্রেনটি ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার গতিতে চলবে। এরপর উত্তরা থেকে সকাল ৭টায় দ্বিতীয় ট্রিপ ছাড়বে। মতিঝিল থেকে ছাড়তে পারে যথাক্রমে সকাল ৭টা ১০ ও ৭টা ২০ মিনিটে। বর্তমানে উত্তরা থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়ে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে এবং মতিঝিল থেকে সকাল সাড়ে ৭টায়।

নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাতে আরও ৬টি ট্রেন চলবে। এখন শেষ ট্রেন ছাড়ে উত্তরা থেকে রাত ৯টায় এবং মতিঝিল থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। তবে নতুন সূচিতে উত্তরা থেকে রাত ৯টা ১০, ৯টা ২০ ও ৯টা ৩০ মিনিটে ট্রেন ছাড়বে। মতিঝিল থেকে ছাড়তে পারে রাত ৯টা ৫০, ১০টা ও ১০টা ১০ মিনিটে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ডিএমটিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) মোহাম্মদ ইফতিখার হোসেন বলেন, ‘এটি এখন স্টাডি করছি, স্টাডি চলছে। স্টাডি শেষ হলে বিস্তারিত বলা যাবে। আমরা চেষ্টা করছি।’

ট্রিপ নয়, কোচ বাড়ানো জরুরি : যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ

মেট্রো ট্রেনের কোচ না বাড়িয়ে ট্রিপ বাড়ানোর বিষয়ে জানতে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, মেট্রোর পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হলেও যাত্রীচাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত সরবরাহ দেওয়া যাচ্ছে না। এখন কোচ বাড়ানোর ক্ষেত্রে নানা টেকনিক্যাল কারণ বা অজুহাত সামনে আনা দুঃখজনক। কারণ, মেট্রো যখন পরিকল্পনা ও যাচাই করা হয়েছিল, তখন থেকেই ৮টি কোচের হিসাব ধরে প্রকল্পটি করা হয়। এমনকি প্ল্যাটফর্মগুলোও সে অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়েছে। আর প্ল্যাটফর্ম নির্মাণে সরকারের ব্যয়ও হয়েছে। তাই বর্তমান যে সমস্যার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো আগেই সমাধান করা উচিত ছিল। যাচাই-বাছাইয়ের মূল উদ্দেশ্যই থাকে প্রকল্পটি যেন ভবিষ্যতে কার্যকর থাকে এবং কোনো বড় ধরনের অসুবিধা তৈরি না হয়।

তিনি আরও বলেন, মেট্রোর ক্ষেত্রে বেশি ট্রিপ চালানোর চেয়ে কোচ সংখ্যা বাড়ানো জরুরি। কারণ, যখনই তিন–চারটি অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে, তখনই বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যাবে। মেট্রো আসলে একটি অত্যন্ত এনার্জি-হাঙরি পরিবহন ব্যবস্থা। হেডওয়ে এক মিনিট কমিয়ে দিলেই বিদ্যুৎ খরচ প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। তাই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
সূত্র: ইত্তেফাক

একই রকম সংবাদ সমূহ

ভোটের আগে ঢাকার তিনটি ‘বিশেষ’ আসনে বিশেষ বরাদ্দ, কী বলছেন উপদেষ্টা আসিফ

ফেব্রুয়ারিতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঢাকার ২৭৪টি ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানেবিস্তারিত পড়ুন

অভ্যুত্থানের সময় স্যালুট দেয়া ‘সেই রিকশা চালক’ এনসিপির মনোনয়ন নিলেন

গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি স্যালুট দিয়ে ব্যাপকবিস্তারিত পড়ুন

৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে ‘গণভোট আইন’ করা হবে : আইন উপদেষ্টা

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে ‘গণভোট আইন’ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন ওবিস্তারিত পড়ুন

  • তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন ঠিক করবে পরবর্তী সংসদ : অ্যাটর্নি জেনারেল
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রায়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব : আমীর খসরু
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল নিয়ে জামায়াতের প্রতিক্রিয়া
  • হাসিনাকে ফেরাতে নতুন পথে হাঁটছে সরকার
  • ডিসিদের বাদ দিয়ে ইসি থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি বিএনপির
  • গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে ‘মব ভায়োলেন্স’ থেকে সরে আসতে হবে: মির্জা ফখরুল
  • কেউ ভোট হাইজ্যাক করতে চাইলে যুবক হয়ে বিস্ফোরিত হবো: জামায়াত আমির
  • সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে শক্ত অবস্থানে থাকার আহ্বান মঈন খানের
  • গণভোটের রূপরেখা দ্রুত চায় এনসিপি: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
  • মালয়েশিয়ার দেওয়া সব শর্ত মানতে গেলে সিন্ডিকেট তৈরি হবে: আসিফ নজরুল