যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক জুড়ে খানানাখন্দ’ বড় দুঘটনার আশঙ্কা
যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বাগুড়ী- কিসমত ইলিশপুর অংশের সড়কে বিভিন্ন জায়গা থেকে পিচ উঠে গিয়ে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। সড়কজুড়ে ছোট বড়-মাঝারি বিভিন্ন আকারের গর্ত। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে এসব খানা খন্দে পানি জমেছে। ফলে গাড়ি চলাচলের সময় কর্দমাক্ত বালু-পাথর মিশ্রিত জমে থাকা পানি ছিটে নষ্ট হচ্ছে পথচারিদের পোষাক এবং দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আহত হয়েছেন অনেকেই, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছোট-বড় যাত্রীবাহী গাড়ির যন্ত্রাংশ। বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শার্শা উপজেলার বাগুড়ী ডাঃ মশিউর রহমান মহিলা ডিগ্রী কলেজের সামনে থেকে শুরু করে কিসমত ইলিশপুর পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কিলোমিটার জুড়ে সড়কের বিভিন্ন জায়গা থেকে পিচ উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক।
পরিবহন চালক কামাল হোসেন ও কামরুল ইসলাম জানান, পদ্মা সেতু হওয়ার পর দ্রুত সময়ে যাত্রী পৌছে দিতে হচ্ছে। কিন্তু সড়ক এভাবে ভাঙার কারণে গাড়ি চালাতে বেগ পেতে হয়। এতে সময় নষ্ট ও গাড়ির যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কাও বেশি থাকে।
কয়েকজন মোটরসাইকেল চালক জানান, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সড়কে গর্ত হয়েছে। যা দূর থেকে বোঝা যাচ্ছে না। এতে অপরিচিত কয়েকজন চালক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আহতও হয়েছেন।
ইজিবাইক চালক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ও আশরাফুল ইসলাম জানান, সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলে চরম ভোগান্তি হচ্ছে। খানাখন্দে গাড়ির চাকা পরে আটকে যায়। যার কারণে স্বাভাবিক ভাবে গাড়ি চালানো সম্ভব হচ্ছে না, গাড়ির যন্ত্রাংশের চরম ক্ষতি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, প্রতিনিয়তই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে এ সড়কে। এ অবস্থায় শিগগিরই সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। এছাড়াও রাস্তার পানি ছিটে নোংড়া হচ্ছে শিক্ষার্থী’সহ যাতায়াত কারীদের পোষাক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। যেখানে রয়েছে সাতক্ষীরা ভোমরা স্থল বন্দর। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় সড়কের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এতে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যেই ওই এলাকায় প্রাইভেটকার, ট্রাক, ও বাস দুর্ঘটনাও ঘটেছে। মহাসড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার হালকা ও ভারী যানবাহন ভোগান্তিতে রয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ মাঝে মধ্যে বালু ও পাথর ফেলে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে জরুরী মেরামত করলেও কোনো সুফল মিলছে না বরং তাতে বালু ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, বিষয়টি আমরা নজরে নিয়েছি, বৃষ্টির কারণে সড়কের কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। বৃষ্টি থেমে গেলে শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংষ্কার করে স্বাভাবিক যান চলাচলের উপযোগী করা হবে বলে তিনি জানান।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)