সোমবার, এপ্রিল ২১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

যেখানে সবাই মেলায় জীবনসঙ্গী খোঁজে, বিয়ের আগেই মা হয় মেয়েরা!

জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়ার অনেক উপায় আছে। কেউ দীর্ঘদিনের প্রেমিক বা প্রেমিকাকে বিয়ে করেন। কেউ আবার পরিবারের পছন্দে জীবনসঙ্গী নির্বাচন করেন। তবে অনেক দেশে বা জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়ার নানান রীতি প্রচলিত আছে।

বিশেষ করে মেলায় জীবন সঙ্গী খোঁজা। অর্থাৎ বছরে বা মাসে নির্দিষ্ট একটা সময় এমন মেলার আয়োজন করা হয়, যেখানে বিয়ের উপযুক্ত ছেলেমেয়েরা জীবনসঙ্গী খুঁজে নেন। ভারতের রাজস্থান এবং গুজরাটের গরাসিয়া জাতিগোষ্ঠীর কথা জানেন কি।

এই জাতিগোষ্ঠীতে পুরুষ এবং নারীরা বিয়ে ছাড়াই একসঙ্গে বাস করেন এবং নারীরা বিয়ের আগে মা হয়ে যান। নারীদের নিজের পছন্দের ছেলেকে নির্বাচন করার অধিকার থাকে, যা এই জাতিগোষ্ঠীকে দারুণ বিশেষ গুরুত্ব দেয়। যদিও এদের কর্মকাণ্ড একবিংশ শতাব্দীতে এসেও বাঙালি হিসেবে আমাদের হজম হবে না। তবে এটিও তাদের রীতি বা প্রচলিত সংস্কৃতি।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এই জাতির অদ্ভুত এসব সংস্কৃতি সম্পর্কে-

ভারতের রাজস্থানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যের আদিবাসী গারাসিয়া উপজাতির সদস্যরা অনাদিকাল থেকে বিবাহের বাইরে লিভ-ইন সম্পর্কের মধ্যে সহবাস করে আসছে। এই সংস্কৃতির নাম হচ্ছে দাপা। তাদের ধারণা, এই সংস্কৃতির ফলে তাদের এখানে ধর্ষণ ও যৌতুকের মতো অপরাধ হয় না।

এখানে বিয়ের জন্য দুই দিনের মেলার আয়োজন করা হয়। এই মেলায় ছেলে-মেয়েরা একত্রিত হয় এবং যদি তারা কেউ কাউকে পছন্দ করে, তবে মেলা থেকে পালিয়ে যায়। এরপর তারা বিয়ে না করেই একসঙ্গে থাকতে শুরু করে। এই সময় তারা সন্তানের জন্মও দিতে পারে। পরে, তারা নিজেদের গ্রামের কাছে ফিরে আসে এবং তাদের বাবা-মায়েরা তাদের বিয়ে ধুমধাম করে পালন করেন।

এই জাতিগোষ্ঠীতে লিভ-ইনে থাকার প্রথা শতাব্দী প্রাচীন। বলা হয়, আগে এই জাতির চার ভাই গ্রাম ছেড়ে কোথাও অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে তিনজন ভারতীয় রীতিতে বিয়ে করেছিলেন, কিন্তু একজন ভাই বিয়ে ছাড়াই একটি মেয়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। সেই তিন ভাইয়ের সন্তানের জন্ম হয়নি, কিন্তু চতুর্থ ভাইয়ের একটি সন্তান হয়েছিল। সেখান থেকেই এখানে লিভ-ইনে থাকার প্রথার শুরু।

গরাসিয়া নারীরা যদি চান, তবে প্রথম পার্টনারের পরেও দ্বিতীয় মেলায় দ্বিতীয় পার্টনার নির্বাচন করতে পারেন। এইভাবে তারা স্বাধীনতা পায়, যা আধুনিক সমাজেও অনেক সময় পাওয়া যায় না। এই কারণেই এই জাতিগোষ্ঠী বিশ্বজুড়ে পরিচিত এবং এই ধরনের স্বাধীনতা শহুরে নারীদেরও পাওয়া যায় না।

এই আদিবাসীদের জীবিকা কৃষিকাজ এবং দিনমজুরি করা। তাদের আয়ের একমাত্র উপায় এটি। এখানে যে কোনো পুরুষ চাইলেই কোনো নারীর সঙ্গে লিভইন সম্পর্কে যেতে পারবেন না। এজন্য তাকে যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করতে হবে। কারণ বেকার কোনো পুরুষের সঙ্গে কোনো নারী থাকতে চাইবেন না।

ভুট্টা হল গারাসিয়া পরিবারের প্রধান খাদ্য। এছাড়াও তারা তাদের খাদ্যতালিকায় চাল, জোয়ার এবং গম যোগ করে। এই গারাসিয়া উপজাতীয় সম্প্রদায়ের অনেকেই সবজি, ফল ইত্যাদির মতো বনজ পণ্যও খেয়ে থাকে। রব বা রবডিকে গরাসিয়া জনগণের প্রশংসিত খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তারা তাদের অনুষ্ঠানে লাপসি, মালপুয়া, চুরমা ইত্যাদি তৈরি করে। গারাসিয়া উপজাতিরা বেশিরভাগই নিরামিষভোজী এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহলের প্রতি তাদের তেমন আসক্তি নেই।

সূত্র: আল জাজিরা

একই রকম সংবাদ সমূহ

বাংলাদেশ হয়ে সেভেন সিস্টার্সে যাওয়ার রেল প্রকল্প স্থগিত

বাংলাদেশে রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পে প্রায় ৫ হাজার কোটি রুপির অর্থায়ন ও নির্মাণবিস্তারিত পড়ুন

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা : বাংলাদেশের বক্তব্য নিয়ে ভারতের বিবৃতি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘুবিস্তারিত পড়ুন

ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহবান ঢাকার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়ানোর ভারতের চেষ্টার তীব্র প্রতিবাদবিস্তারিত পড়ুন

  • বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছা নেই ভারতের
  • বাংলাদেশের পরিস্থিতি জানেন না, এত তাড়াহুড়োর কী ছিল: মোদিকে মমতার প্রশ্ন
  • মোদিকে ড. ইউনূসের সঙ্গে চুক্তি করতে বললেন মমতা
  • উত্তেজিত হলে হারবেন, শান্ত থাকলে জিতবেন: ইমাম-মুয়াজ্জিনদের মমতা
  • জামায়াতের ঘোর বিরোধী, বিএনপিকে নিয়ে ভারত কী ভাবছে?
  • পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা বাংলাদেশের থেকেও খারাপ: শুভেন্দু
  • ভারত থেকে এলো ৩৬ হাজার মেট্রিক টন চাল
  • ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাংলাদেশের সমস্যা হবে না : বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • ভারতের চেয়ে বেশি কেউ বাংলাদেশের মঙ্গল চায় না : জয়শঙ্কর
  • বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলো ভারত
  • বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন না হলে যেসব ক্ষতির আশঙ্কা ভারতের
  • ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করার আহবান ড. ইউনূসের