শেখ হাসিনার রূপকল্পের হাত ধরে হাঁটছে দেশ
৭৫ পেরিয়ে ৭৬ এ শেখ হাসিনা। প্রায় পাঁচ দশকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে গণতন্ত্র মানবাধিকার আর উন্নয়নে বাংলাদেশ হেঁটেছে তার রূপকল্পের হাত ধরে। দেশের দীর্ঘতম সময়ের প্রধানমন্ত্রীর অর্জন স্বীকৃতি পেয়েছে দেশের সীমানা পেরিয়ে।
তুলা রাশির জাতক, পরিবারের বড় মেয়েটি যখন জন্ম নেন টুঙ্গি পাড়ার গ্রামে, বাবা শেখ মুজিবুর রহমান- তার আগেই বুঝেছিলেন ঘরের চেয়ে বড় দেশ। নিজ সন্তানের জীবন নিরাপদ হবে মাতৃভূমি স্বাধীন হলে।
আটপৌড়ে জীবনে মা যেন পরিবারের দলনেতা। বাবা দেশের। স্কুল- কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, বিয়ে সন্তান- সরল রেখা বাঁক নেয় ১৫ আগস্ট ৭৫ এ।
বোন শেখ রেহানাকে আঁকড়ে ধরে শোককে শক্তিতে পরিণত করার এক অনন্য নজির তৈরি করেন শেখ হাসিনা। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
২৮ বছরে বাবাকে হারানো আর ৩৩ বছরে দেশে ফেরা- পাঁচটি বছর দেশ ও দেশের মানুষ আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কতোটা রপ্ত করেছিলেন, তা টের পায় বাঙালি, যখন সব হারানো মানুষটি দেশের জন্য নিজেকে উজাড় করার ঘোষণা দেন।
একের পর এক হামলা, বাবা-মায়ের মতোই হত্যা করার। তিনি তখন পাহাড়ের মতো অটল অনড়। সামরিক-স্বৈর শাসনের কবল থেকে মুক্ত করতে হবে প্রিয় স্বদেশকে। চাই গণতন্ত্র। সংসদীয় সরকার। তত্ত্বাবধায়কের ক্ষমতা কাঠামো দেশের প্রয়োজনে এগুতে থাকেন লক্ষ্যে অবিচল এক নিঃসঙ্গ শেরপা।
জননেত্রীর সাথে যোগ হতে থাকে দেশরত্ন, ভালোবাসার হাসু, কারোর কাছে শেখের বেটি। আবার ফোর্বসের জরিপে ক্ষমতাশালী নারী নেত্রী।
বাতিল করেন ইনডেমনিটি আইন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা- দেশের মানুষের ভরসা আর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানা স্বীকৃতি তলা বিহীন ঝুরি বাংলাদেশকে করে উন্নয়নের রোল মডেল।
চা শ্রমিকদের যেমন বুকে টেনে নেন। রোহিঙ্গাদের জন্য হয়ে উঠনে মানবিকতার মা আবার পৃথিবীকে শক্ত ভাষায় বলতে পারেন, স্বার্থপরতার নিষেধাজ্ঞায় কোনো সমাধান নেই।
কেউ কেউ ডিজিটাল বুঝবার আগেই দেশে রূপকল্প। শত বছরের পরিকল্পনা, উন্নয়ন আর ভাবনাতে উজ্জ্বল, গ্রামের প্রান্তিক মায়ের হাতে কন্যার বৃত্তির টাকা পৌছাতে হলে মোবাইল ফোনটিও কিনে দিতে হবে।
ঘর পেয়ে হিজড়া গৃহহীনরা বলতেই পারেন ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী। আর যখন মেট্রোরেল আদল পায়, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশকে করে নতুন তালিকা ভুক্ত, কর্ণফুলী টানেল আর থাকে না কল্পনা, তখন গড় মাথাপিছু আয় আর ভাতের নিশ্চয়তাই দেশের অর্থনীতির চাকা গতি পায়।
গোটা পৃথিবীর কাছে বাবা হারা এক মেয়ের সফল রাজনীতি আর রাষ্ট্র নায়কের উপন্যাসের নাম হতেই পারে শেখ হাসিনা- যখন মাথা তুলে দাড়ায় পদ্মা সেতু।
৭৫ বছরের শুভ্র কেশ যে বার্ধক্য নয়, সাহসের বাতিঘরের রুপালি আলো- তাইতো একজন শেখ হাসিনা। শুভ জন্মদিন প্রধানমন্ত্রী। তাই সব শুভ।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)