সরকারের পতন বেশি দূরে নয়: নোমান
বর্তমান সরকারের পতন খুব বেশি দূরে নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।
তিনি বলেছেন, আজকে ক্ষমতাসীন সরকারের ব্যর্থতার কারণে মানুষ জেগে উঠেছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। দেশে চরম সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবো না। এ সরকার দিনের ভোট রাতে করেছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। ইনশাআল্লাহ্, আমরা আন্দোলনে জয়ী হবো।
নোমান বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ হবে। সেখানে সরকারের পরিবর্তন ঘটাবে সেটা আমরা বলতে পারি না। কিন্তু দেশের মানুষ সরকারের পরিবর্তন ঘটাবে। তাদের প্রত্যাশা বিএনপির প্রতি বেশি। ইনশাআল্লাহ্, সরকারের পতন হবে। তাদের পতন বেশি দূরে নয়।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলার মিলনায়তনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘প্রাণি খাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি: বিপর্যস্ত পোল্ট্রি ও ডেইরি খামার’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব), ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা।
নোমান বলেন, আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে পণ্যের দাম বেশি। আমাদের আমলে ডিমের হালি ছিল ১১ টাকা। অথচ এখন একটি ডিম ১১ টাকার বেশি। মুরগিতে লাভ হচ্ছে না। কারণ গবেষণা নেই। বাজেট স্বল্পতা।
তিনি বলেন, আমরা ইলিশ সংরক্ষণ তথা মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ দিয়েছিলাম। আমাদের আরও বেশি গবেষণা করতে হবে। উৎপাদন ও সরবরাহ সমন্বয় করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার যাবে আসবে, কিন্তু দেশের উন্নয়নের জন্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। বিশেষত রপ্তানিমুখী উৎপাদন বাড়াতে হবে। তা না হলে সংকটের সমাধান হবে না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে গবেষণা কেন্দ্রগুলোকে সংস্কার ও আধুনিক করা হয়েছে। ধান, চাল উৎপাদনের লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎ প্রকল্প করা হয়েছিল। যে কারণে উত্তরবঙ্গের ৯০ শতাংশ এলাকায় ফসল উৎপাদন বেড়েছে। বেগম জিয়া ট্যাক্স মওকুফ করেছিলেন। কৃষির সেচের জন্য খাল খনন করেছিলেন। ফলে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছিল।
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে খাদ্য উদ্বৃত্ত ছিল। জনসংখ্যার অনুপাতে খাদ্য বেশি ছিল। আওয়ামী লীগ যা বলে তা সঠিক নয়। তাদের আমলে ১২০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য রপ্তানি করেছিল। আমরা খালেদা জিয়ার শাসনামলে এসে তো আবার খাদ্য উদ্বৃত্ত রেখেছিলাম। ফিশারিজ ও পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। আজকে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। কারণ, তিনি বাইরে থাকলে আমাদের আন্দোলন আরও জোরদার হতো। কিন্তু আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করছি। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। আজ মানুষ জেগেছে। তাদের ঘুমাতে দেওয়া যায় না। তাদের আরও উজ্জীবিত করতে হবে। আমরা বিজয়ের মুখোমুখি। ইনশাআল্লাহ্, আমাদের জয় হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর এ্যাব সভাপতি কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আহসানুল হক।
এ্যাব ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ সানোয়ার আলমের পরিচালনায় সেমিনারে বক্তব্য দেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, এ্যাব কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন, সদস্য সচিব ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, কৃষিবিদ বিএম আলমগীর কবির, কৃষিবিদ ইয়ার মাহমুদ, কৃষিবিদ ডা. শাহাদাত হোসেন পারভেজ, কৃষিবিদ ডা. আবদুর রহমান নূরী, ডা. মোজাম্মেল হক সোহেল, আবু হেনা মোস্তফা কামাল পান্না, কৃষিবিদ ড. আকিকুল ইসলাম আকিক, কৃষিবিদ একেএম আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আসাবুল হক আশা, কৃষিবিদ শেখ মো. শফি শাওন, কৃষিবিদ নূরুন্নবী ভুইয়া শ্যামল, কৃষিবিদ ড. শফিকুল ইসলাম শফিক ও কৃষিবিদ খন্দকার আসাদুজ্জামান কিটোন প্রমুখ।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)