সাংবাদিক না হয়েও যখন প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা! নির্লজ্জতা বেহায়াপনার একটা সীমা থাকা দরকার
উনি পেশায় একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। পরিচয় দেন সাংবাদিক। তার লেখা সংবাদ কেউ কোনদিন পড়েছে বা দেখেছে এমন কোন লোক খুঁজে না পেলেও বেশ দাপটের সাথে স্বঘোষিত ভাবে স্থানীয় একটি প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা সেজে সুকৌশলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে।
বিভিন্ন সুত্র থেকে প্রাপ্ততথ্যে জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের জাহানাবাজ গ্রামের মৃত.আব্দুস সাত্তারের পুত্র ও জাহানাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুল ইসলাম। তিনি কোনদিন কোন পত্রিকায় কাজ না করলেও একটি অদৃশ্য শক্তির উপর ভর করে সুকৌশলে বিডিএফ প্রেসক্লাবের তথাকথিত উপদেষ্টা সেজে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ সুযোগ সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছে।
তিনি সাংবাদিক না হয়েও কিভাবে বিডিএফ প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা হলেন এমন প্রশ্নের জবাবে বিডিএফ প্রেসক্লাবের একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক সভাপতি এম এ হাকিম জানান -তিনি কোন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন না এবং আমি কখনো তার লেখা সংবাদ কোনদিন কোন পত্রিকায় প্রকাশ হতে দেখিনি। তবে সবশেষ গত ৪বছর পূর্বে প্রয়াত সাংবাদিক এম আর মিঠুর কম্পিউটার থেকে সাতক্ষীরার স্থানীয় একটি দৈনিক সাতনদী পত্রিকার পরিচয় পত্র প্রিন্ট করে নিয়ে অভিনব কৌশলে একটি কুচক্রী মহলের মধ্যস্থতায় প্রেসক্লাবের সদস্যপদ বাগিয়ে নিয়ে গঠনতন্ত্রকে উপেক্ষা করে রাতারাতি উপদেষ্টা বনে যান।
বিষয়টি নিয়ে ঐ পত্রিকার সম্পাদকের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান আসাদুল ইসলাম নামে আমার পত্রিকায় ধুলিহর ইউনিয়নে কোন সাংবাদিক নেই। এব্যাপারে মুঠোফোনে তথাকথিত ওই সাংবাদিকের নিকট ফোন দিলে তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করে জানান -আমার স্বামী কোন পত্রিকার সাংবাদিক না।তিনি প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা সাংবাদিক।
তার বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল গনি এ প্রতিনিধিকে জানান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক সাংবাদিকতা করতে পারবেন না এবং আমার জানা মতে তিনি আদৌ সাংবাদিকতা করেন না।তিনি যদি সাংবাদিকতা পেশার সাথে জড়িত থাকেন তবে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)