খুলনা শহরে প্লট, ফ্লাটসহ অঢেল সম্পদ, চড়েন প্রিমিয়ো গাড়িতে
সাতক্ষীরা বিআরটিএ অফিসের মোটরযান পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
ফারুক রহমান , সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা বিআরটিএ অফিসের মোটরযান পরিদর্শক সজীব সরকারের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি ও অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সরকার পরিবর্তন হওয়ার পরেও তার সিন্ডিকেটের সদস্যরা থেমে নেই। সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের হয়রানী করে অবৈধ অর্থ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে মোটরযান পরিদর্শক সজীব সরকার সাতক্ষীরায় যোগদান করেন প্রায় সাড়ে ৩ মাস পূর্বে। এর আগে তিনি খুলনা বিভাগের মাগুরা জেলায় কর্মরত ছিলেন। সেখানে কর্মরত থাকাবস্থায় ধরাকে সরা জ্ঞান করে একক রাম রাজত্ব চালিয়ে অবৈধ অর্থের পাহাড় গড়েছেন। যে অর্থে তার বসবাসের জেলা খুলনা শহরে প্লট, ফ্লাটসহ নানা ভাবে সম্পদ গড়ে তুলেছেন। একই ভাবে সাতক্ষীরায় দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে দালাল সিন্ডিকেটের হাত ধরে মোটরসাইকেল বিক্রেতা শোরুম ও পুরাতন মোটরসাইকেল বিক্রেতা মালিকদের যোগসাজসে মোটরযানের ফিটনেস সনদ এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে তাকে দেওয়া লাগে অতিরিক্ত ঘুষের টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, সজীব সরকার সাতক্ষীরায় যোগদানের পর থেকে নিজের ইচ্ছা মতো ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানের এডি সহ কেউ তার কিছু করতে পারে না। কেননা তিনি নিজেকে বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় তার পকেটস্থ। তার ব্যক্তিগত ঘুষ বাণিজ্যের কথা বললেই বদলি সহ নানা হয়রানী করবে বলে হুমকি প্রদান করে। সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে দেখা গেছে বিআরটিএ অফিসের যে সমস্থ মোটরসাইকেল সহ অন্যান্য যানবাহান ফিটনেস পারমিট পেতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও ঘুষ ছাড়া তিনি ফিটনেস প্রদান করেন না। সিন্ডিকেট হয়ে যদি গাড়ি আসে তবেই ফিটনেস পান। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ফিটনেসের জন্য আসলে সারাদিন দাড়িয়ে থাকলেও কেউ খবর রাখে না।
এব্যাপারে কাটিয়া এলাকার ইমরান জানান, বিআরটিএ অফিসে টাকা ছাড়া কোন কাজ হয়না। এখানে পিয়ন থেকে অফিসার সবাই যেন টাকার নেশায় মত্ত। আমি লাইনে দাড়িয়েও সেবা নিতে পারেনি। কেউ যেন কথা শোনে না। পরে মটর সাইকেল নিয়ে ফিরে গেছি।
এদিকে, মোটরযান পরিদর্শকের পোস্টিং সাতক্ষীরা জেলায় হলেও সে খুলনাতে তার ঘুষের টাকায় তৈরি নিজের বাড়িতে অবস্থান করেন এবং প্রতিদিন নিজের প্রাইভেট কার (প্রিমিও) গাড়িতে চড়ে সাতক্ষীরা খুলনা যাওয়া আসা করে, এ জন্য নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে যাওয়া আসা করতে পারে না এবং গ্রাহক অফিসিয়াল সেবা থেকে বঞ্চিত হয় কিন্তু তার এই সকল কর্মকান্ড ঘুষ বাণিজ্য অবৈধ ইনকাম এবং এই অফিসে ঠিকমত অবস্থান না করা এগুলো নিয়ে কিছু বলতে গেলে সে ওবায়দুল কাদেরের পিএস এবং বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যানের দোহাই দিয়ে তিনি বলেন চেয়ারম্যান তার পারিবারিক আতœীয়। সে কারনে বিভাগীয় পরিচালক কিংবা দুদক কেউ তাকে কিছুই করতে পারবে না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোটরযান পরিদর্শক সজীব সরকারের সাথে কথা বললে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)