সাম্প্রতিক শক্তির উত্তরসূরীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আছে : স ম রেজাউল করিম
স্বাধীনতাবিরোধীদের কেউ কেউ নব্য আওয়ামীলীগার হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তারা আমাদের চেয়ে বেশি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। কিন্তু মৌলিক চরিত্র তাদের ভেতরে সুপ্ত আছে। সময় হলে তারা সেই সুপ্ত চরিত্র নিয়ে আবারও হাজির হতে পারে।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে আছে। কয়েকজন রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীকে ফাঁসি দিয়ে সব সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বিনাশ করতে পারিনি সরকার। সাম্প্রতিক শক্তির উত্তরসূরিরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে- রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাহিনীতে সব জায়গায় এখনও তারা বিরাজ করছে ছদ্মবেশে।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি হওয়ার পরও বিএনপি অফিসিয়াল রেকর্ড থেকে তাকে সাসপেন্ড করেনি। তারা এখনও সুযোগের অপেক্ষায় আছে। যদি সেই সুযোগ পায়, বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষকে একদিনে মেরে ফেলবে। দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করবে। মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করেন, তাদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। তাদের জেলে পাঠাবে। মৃত্যুদণ্ড দেবে।
বঙ্গবন্ধু বিপ্লবী, জাতীয়তাবাদী, ক্ষণজন্মা নেতা ছিলেন মন্তব্য করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, তারা বিপ্লবের ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছিল ছাত্র জীবন থেকে। যে বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, সেই বাংলাদেশের রূপকার ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি যদি ১০ জানুয়ারি ফিরে না আসতেন, তাহলে আমাদের বিজয় অসম্পূর্ণ থাকতো। তিনি যেদিন বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন, সেদিন বাংলাদেশ পরিপূর্ণতা পেয়েছিল।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযুষ বন্দোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার। বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শামল দত্ত, সম্প্রীতি বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.বিমান বড়ুয়াসহ প্রমুখ।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)