নোয়াখালীতে আ.লীগের দু’গ্রুপে গোলাগুলির ঘটনায় পুলিশের মামলা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, গোলাগুলি, পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বাদী হয়ে ৯৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, বসুরহাট বাজারে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় সংঘর্ষকারীরা পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করে। একই সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তিনিসহ (ওসি) বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে আহত করে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আলা উদ্দিন নামের এক অটো সিএনজিচালক নিহত হয়েছেন। নিহত আলা উদ্দিনকে নিজের সমর্থক বলে দাবি করেছেন মিজানুর রহমান বাদল। সংঘর্ষে ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও পাঁচ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এদের মধ্যে জাকের হোসেন হৃদয় নামের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অপর ৯ জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় বুধবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)