শনিবার, জুন ২১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

মনিরামপুরে একসঙ্গে মানুষ-মৌমাছির বসবাস

হেলাল উদ্দিন : বাড়িটি ঘিরে রেখেছে মৌমাছি। বারান্দাসহ চারপাশে অন্তত ২৩টি মৌমাছির বড় বড় চাক। এসব মৌমাছি বছরের আট মাস ধরে থাকে বাড়িটিতে। বাড়িটি এখন এলাকায় মৌমাছির বাড়ি হিসেবে পরিচিত। কেউ মৌমাছি দেখতে আবার কেউবা ছবি তুলতে যান বাড়িটিতে। পরিবারের সদস্যদের মতোই মানুষের সঙ্গে বসবাস করছে মৌমাছি। প্রাকৃতিকভাবে বনের মৌমাছি আর পরিবারটির সদস্যদের মাঝে এই ভালোবাসার বন্ধন গড়ে উঠেছে ছয় বছর আগে।

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শেখপাড়া খানপুর গ্রামের ইসাহক আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন। বাড়িতে সন্তানের মতো লালন-পালন করছেন মৌমাছির ২৩টি দলকে। পরিবারটির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে কয়েক লাখ মৌমাছি।

চাষি আলমগীর হোসেন বলেন- ছয় বছর আগে হঠাৎ বাড়ির বিভিন্ন স্থানে সাত-আটটি মৌমাছির চাক এসে হাজির হয়। এরপর থেকে প্রতিবছরই নির্দিষ্ট সময়ে মৌমাছির দলগুলো বাড়িতে চলে আসে। দ্বিতলবিশিষ্ট বাড়ির বেলকনি, দেওয়ালসহ বিভিন্ন স্থানে চাক তৈরি করে। প্রতিবছরই এই মৌমাছির দলের আগমনের সংখ্যা বেড়েছে। এ বছর এসেছে ২৩টি মৌমাছির দল। আমাদের পরিবারেরই অংশ তারা।

তিনি আরও বলেন- মৌমাছির সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা মিশে গেছে। আমার বাবা বেশির ভাগ সময় তাদের দেখাশোনা করে। তাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে কি না দেখে, আমিও দেখি। তা ছাড়া আমার মা, স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের অন্যরাও তাদের দেখভাল করে। বছরের নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত মৌমাছির দলগুলো বাড়িতে থাকে। এরপর একদিন হঠাৎ করে সব চলে যায়। তখন মনটা খুব খারাপ লাগে। অপেক্ষায় থাকি আবার কবে মৌমাছিগুলো ফিরে আসবে। ঠিক নির্দিষ্ট সময়ে আবারও চলে আসে মৌমাছিগুলো। এভাবে চলছে গত ছয় বছর। আট মাসে দুইবার মৌমাছির চাক থেকে মধু সংগ্রহ করি। বছরে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মধু বিক্রি হয়।

আলমগীরের ফুফু আছিয়া খাতুন বলেন- প্রথম দিকে কামড়ানোর ভয় পেলেও এখন ভয় লাগে না। কেননা মৌমাছি আমাদের কাউকে আক্রমণ করে না। কামড়ায়ও না।

মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন- এটি মেইলি সিরা প্রজাতির মৌমাছি। এই মৌমাছিগুলো প্রকৃতি ও পরিবেশ বোঝে। যেখানে নিরাপত্তা, বাঁচার পরিবেশ ও খাবারের ভালো সুব্যবস্থা পায় সেখানেই মূলত তারা বাসা বাঁধে। এগুলো সুন্দরবনের মৌমাছি। এক বছর যেখানে বাসা বাঁধে নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর চলে যাওয়ার সময় সেখানে কিছু আলামত রেখে যায়। পরের বছর সেখানেই ফিরে আসে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরার প্রাণসায়র খাল রক্ষায় চ্যানেল আই প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের বৃক্ষরোপন

‘সবুজে সাজাই বাংলাদেশ’ স্লোগানে চ্যানেল আই- প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব সাতক্ষীরার উদ্যোগেবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় অনাবাদী জলাবদ্ধ জমিতে সাফল্যের ‘পানি ফল’

পানি ফল, দেখতে সিংড়ার মতো বলে স্থানীয়দের কাছে ফলটি পানি সিংড়া নামেওবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় পানি ফলের বাম্পার ফলন

মোস্তফা হোসেন বাবলু: কলারোয়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পানিফল।বিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ায় ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ
  • ভরা মৌসুমেও রাজগঞ্জে সবজির দাম বেশি, চরম সংকটে অল্প আয়ের মানুষ
  • সাতক্ষীরায় ভেষজ উদ্ভিদ সংরক্ষণ ও সুষ্ঠ ব্যবহার নিশ্চিতে পাঠচক্র অনুষ্ঠিত
  • কলারোয়ায় প্রথমবারেই শীতকালীন তরমুজে চমক
  • তিন সপ্তাহ পর ইলিশ ধরা শুরু, উচ্ছ্বসিত জেলেরা
  • বাজারে শীতের সবজি, ডাবল সেঞ্চুরির পথে পেঁয়াজ
  • পশ্চিম মনিরামপুরের ৫ সহস্রাধিক পরিবার সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী
  • ঝিকরগাছায় বিনামূল্যের ‘পুষ্টি বাগানে’ উপকৃত ১৭৮ গ্রামের মানুষ
  • কলারোয়ায় রাস্তার ধারে ৫ হাজার তালগাছ রোপন করে এক ব্যক্তির দৃষ্টান্ত
  • প্রথমবারের মতো আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বেঁধে দিলো সরকার
  • সাতক্ষীরায় সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা শুরু